Insaf Yatra Howrah

আনিস খানের গ্রামে পৌঁছালো ইনসাফ যাত্রা

রাজ্য

মনিরুল হক - হাওড়া

আনিস খুনের ইনসাফ চেয়ে ৩৭ দিনের মাথায় ইনসাফ যাত্রা পৌঁছালো প্রতিবাদী আনিসের জেলা হাওড়ায়। আনিসের গোটা পরিবার হাঁটলো ইনসাফ যাত্রায়। শনিবার দুপুর একটা নাগাদ কোলাঘাট ব্রীজ থেকে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের ইনসাফ যাত্রা হাওড়ার নাওপলায় প্রবেশ করে। পূ্র্ব মেদেনীপুরের যুবনেতারা এদিন হাওড়া জেলার যুব নেতাদের হাতে ইনসাফ যাত্রার ব্যাটন তুলে দেন। ছিলেন ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, সংগঠনের রাজ্য নেতা শেখ ইব্রাহিম, হাওড়া জেলা সভাপতি সুভাষ দে, সম্পাদক সরোজ দাস, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা দিলীপ ঘোষ, নিরঞ্জন সিহি প্রমুখ। সেখানে ইনসাফ যাত্রার পদযাত্রীদের সংবর্ধনা জানানো হয়। এছাড়াও একটি সংক্ষিপ্ত সভা হয়। এরপর পদযাত্রাটি যায় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। সেখানে শরৎচন্দ্রের মূর্তিতে মাল্যদান করেন যুব নেতৃত্ব।


ইনসাফ যাত্রা আসে বাইনান ষষ্টীতলা মোড়ে। পথে অগনিত জায়গায় যুবদের ইনসাফ যাত্রাকে সংবর্ধনা ও পুষ্পবৃষ্টি অভিবাদন জানায় অসংখ্য মানুষ। বিকালে প্রতিবাদী ছাত্রনেতা আনিস খাঁনের বাড়িতে যায় যুব নেতৃবৃন্দ। তাঁর পরিবারের সাথে কথা বলেন মীনাক্ষী মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এরপর তারা যান আনিসের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে। সঙ্গে ছিলেন আনিসের বাবা সালেম খাঁন ও দাদা সাবির খাঁন। পরে বাইনান ষষ্ঠীতলা মোড়ে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মীনাক্ষী মুখার্জী। সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে শেষ বাগনান লাইব্রেরী মোড়ে। সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে উলুবেড়িয়া গরুহাটা মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশগুলিতে ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যত লাশ পড়েছে তার সওদা করেছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু ওরা জানেনা সব লাশের সওদা হয়না। বিক্রী হওয়াতো দূরের কথা চোখে চোখ রেখে লড়াই করছে তৃণমূল সরকারের সাথে আনিসের বাবা সালেম খাঁন। ১০০০ দিন রাস্তায় বসে আছে রাজ্যের বেধাবী ছেলেরা। একটা সরকার কতটা অমানবিক ও দুর্নীতিগ্রস্থ হলে, মেধাবী ছাত্রদের পরিবর্তে টাকার বিনিময়ে সাদা খাতা জমা দেওয়া ছেলেদের হাতে চাকরী তুলে দেয়। এর জবাব দিতে আগামী ৭ জানুয়ারী ব্রিগেড ভরাতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment