Erasing GAZA

গাজাকে মুছে ফেলছে ইজরায়েল, বন্ধ ৫ হাসপাতাল

আন্তর্জাতিক

শহরের দক্ষিণ অংশে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েল। বলেছিল, দক্ষিণ অংশে বোমা ফেলা হবে না, ‘নিরাপদ অঞ্চল’। গাজায় সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণে ধিক্কার বিশ্বজুড়ে। সে সব উপেক্ষা করে গাজার সব অংশে বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। 

সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে যে গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক, ১০ লক্ষ মানুষ এর মধ্যেই ঘরবাড়ি ছেড়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা। শিশু, মহিলা, বৃদ্ধেরা অনেকেই গুরুতর অসুস্থ। 

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে প্যালেস্তাইনের এই অংশে ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দিতে হয়েছে ইজরায়েলকে। তবে তা অত্যন্ত সীমিত, প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। মিশরের সীমান্ত দিয়ে মুখ্যত রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী, কিছু ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হয়ত যাবে গাজায়। 

মঙ্গলবার রাতে গাজার আল আহলি হাসাপাতলে বোমা ফেটে নিহত হয়েছে পাঁচশোর বেশি রোগী। সারা বিশ্ব ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। এমনকি ইজরায়েলের পশ্চিমী মিত্ররা দেশের মধ্যেই জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ছে। 

গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে লাগাতার বোমায় প্যালেস্তাইনের এই অংশে নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৮৫। সাড়ে ১২ হাজার প্যালেস্তিনীয় গুরুতর আহত। তাঁদের চিকিৎসার উপায় পর্যন্ত নেই। চারদিক ঘিরে গাজায় জল, খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে ইজরায়েলের সেনা আইডিএফ। আকাশ থেকে বোমা ফেলার পর এবার স্থলসেনার অভিযান শুরু করতে চাইছে ইজরায়েল। 

সমর্থনের বার্তা নিয়ে ইজরায়েলে ছুটেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার গিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। তিনি অবশ্য নিজের দেশে সংসদের দু’টি উপনির্বাচনে বেকায়দায় পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় পিছিয়ে রয়েছে লেবার পার্টির থেকে।  

গাজায় বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দিতে হয়েছে আরেকটি হাসপাতাল। মোট পাঁচটি হাসপাতাল বন্ধ। গাজা কর্তৃপক্ষ ডিজেল সরবরাহের আবেদন জানিয়েছে। বন্ধ হাসাপাতালগুলির মধ্যে রয়েছে শিশু হাসপাতালও। জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একোর পর এক হাসপাতাল। ৮ অক্টোবর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইজরায়েল। 

Comments :0

Login to leave a comment