GAZA GROUN OPERATION

এবার গাজার মাটিতে শুরু মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভয়ঙ্কর পরিণামের আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক

গাজার মাটিতে স্থলযুদ্ধ শুরু করে দিল ইজরায়েল। ইজরায়েল এবং গাজার ‘হামাস’, দুই তরফের বিবৃতিতেই পরিষ্কার যে শুরু হয়েছে মাটিতে মুখোমুখি লড়াই।

ইরানের হুমকি উপেক্ষা করেই আক্রমণের এই পর্ব শুরু করেছে ইজরায়েল। এমনকি সহযোগী পশ্চিমী দেশগুলিও ইজরায়েলকে এখনই স্থলযুদ্ধ শুরু না করার বার্তা দিয়েছিল। পরবর্তী পর্ব আরও রক্তাক্ত হওয়ার আশঙ্কা সারা বিশ্বে। 

গত চব্বিশ ঘন্টায় বোমা ফেলে ৪০০’র বেশি প্যালেস্তেনীয়কে হত্যা করেছে ইজরায়েল। এদিন তাদের সরকারি ভাষ্যে বলা হয়েছে, ‘‘সীমায়িত স্থল অপারেশন’ শুরু হয়েছে। হামাস’র তরফেও বলা হয়েছে যে সোমবার গাজার একাধিক জায়গায় মুখোমুখি মোকাবিলা হয়েছে ইজরায়েলের সেনা সঙ্গে। 

ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং গাজার আল-শিফা ও আল-কুদস হাসপাতালের কাছাকাছি আবাসিক এলাকাগুলিতে ইজরায়েল বোমাবর্ষণ করছে কাল রাত থেকে। অবিশ্রান্ত বোমাবর্ষণ চলছে। 

অবরুদ্ধ গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ ইজরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে। এই রাফাহতে মিশরের সঙ্গে সীমান্ত দিয়েই সামান্য কিছু ত্রাণসামগ্রী ঢুকেছে গাজায়। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় তা সামান্যই।

৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৫,০৮৭ প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ২,০৫৫ শিশু এবং ১,১১৯ জন মহিলা রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১৫,২৭৩ জন।

ইজরায়েলি হামলা ও জ্বালানি সংকটের কারণে ১২টি হাসপাতাল ও ৩২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে।৮৩০ শিশুসহ প্রায় ১,৫০০ মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে। ইজরায়েলি হামলায় ৫৭ জন চিকিৎসাকর্মী নিহত এবং ১০০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্যালেস্তাইন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ইজরায়েলি হামলায় ১৮২ শিশুসহ অন্তত ৪৩৬ প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছে।

গাজায় প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক মারাত্মক রক্ত সংকটে ভুগছে এমন হাসপাতালের জন্য রক্তদানের জন্য আবেদন করেছে।

মন্ত্রক গাজা জুড়ে বাসিন্দাদের হাসপাতাল এবং ব্লাড ব্যাঙ্কে ভিড় করার আহ্বান জানিয়েছে এবং এই অঞ্চলে রক্ত ​​আনার জন্য রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটিকে আহ্বান জানিয়েছে।

কেবল প্যালেস্তাইন নয়, প্রতিবেশী আরও দুই দেশ লেবানন এবং সিরিয়ার সঙ্গেও সামরিক সংঘাত শুরু করেছে ইজরায়েল। সিরিয়ার দুই বিমানবন্দর, দামাস্কাস এবং আলেপ্পোতে বোমা ফেলেছে ইজরায়েলের যুদ্ধ বিমান। ইজরায়েল বলেছে, ওই দুই বিমানবন্দর যাতে ইরান কোনোভাবে ব্যবহার না করতে পারে তার জন্য আগাম হামলা। তবে ইজরায়েলের এই অভিযানে সামরিক সংঘাত পশ্চিম এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল হয়েছে। লেবানন সীমান্তে সেদেশের হিজবুল্লা গাজায় মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু করলে কঠিন জবাব দেওয়ার ঘোষণা করেছে আগেই। ইজরায়েল তাদের লেবানন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নাগরিকদের সরাতে শুরু করেছে। তা নিয়ে ইজরায়েলীরা ক্ষোভ জানাচ্ছেন।

Comments :0

Login to leave a comment