MAGRAHAT MURDER SALIM

মগরাহাট তো ভাইপোর মুক্তাঞ্চল, তৃণমূল নেতা খুনে বললেন সেলিম

রাজ্য

‘‘মগরাহাট তো ভাইপোর মুক্তাঞ্চল। দুষ্কৃতীরা তৃণমূল সরকারের পুলিশের পাহারায় ঘুরে বেড়ায়।’’ মগরাহাটে তৃণমূল নেতার খুনে বামফ্রন্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ উড়িয়ে এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে মগরাহাট। গোটা ডায়মন্ড হারবারে একতরফা লুট চালানোর অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব বিভিন্ন অংশ। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তৃণমূল নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জি। 

শনিবার তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘ভাঙড়ে খুনিরা গ্রেপ্তার হয়েছে? ডোমকলে তৃণমূলের কর্মী গাড়ি চাপা দিয়েছে সিপিআই(এম) কর্মীকে। কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে?’’ তিনি বলেছেন, ‘‘বরাবর বিরোধীদের ওপর পানি কেস, গাঁজা কেস চাপানো হচ্ছে তৃণমূল সরকারের মদতে। আর কেন্দ্রে বিজেপি’র সহয়তায় অপরাধীরা পরিবার নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে।’’ 

মগরাহাট পূর্বের গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্জুনপুর এলাকায় প্রধান পদ নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে শুক্রবার রাতে খুন হয়েছেন তৃণমূলের নেতা মৈমুর ঘরামী। মৈমুরের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সিপিআই(এম) প্রার্থী নজরুল ফকির। তাঁর সঙ্গে বামফ্রন্টের তিন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সাজানো অভিযোগে আটক বামফ্রন্ট কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সিপিআই(এম) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী।

লাহিড়ী বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘জমি-বাড়ি বিক্রির দালালি ও অন্যান্য বেআইনি রাস্তায় প্রচুর টাকা উপার্জন করেছেন মৈমুর, বিগত পঞ্চায়েতের সদস্য হিসেবে। পঞ্চায়েতের প্রধান কে হবে, তা নিয়ে তীব্র দ্বন্দ্ব বিরোধ চলছিল তৃণমূলের তিন দাবিদারের মধ্যে। যার মধ্যে একজন নিহত মৈমুর। এসবই এলাকার সাধারণ মানুষ জানেন।’’

সেলিম এই প্রসঙ্গেই বলেছেন, ‘‘সরকারে যখন আসেনি তখন থেকেই যা কিছু অপরাধ সিপিআই(এম)’র নামে চালানো হয়েছে। জ্ঞানেশ্বরী কান্ডে তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবীরা বলেছিলেন সিপিআই(এম) করেছে। ঘটনার তদন্ত হলো না কেন? রেল মন্ত্রক মমতা ব্যানার্জির হাতে ছিল। তবুও তদন্ত হয়নি।’’

সেলিম বলেন, এর আগে প্রার্থী পদ নিয়ে মারামারি হয়েছে। এখন তো প্রধান নিয়ে মারামারি হবে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র হবে।’’ তিনি মনে করিয়েছেন যে বোর্ড দখল করতে সিপিআই(এম) এবং বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের খুন করেছে আসলে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে হাসনাবাদে জাহাঙ্গীর আলমকে খুন এবং ঝালদায় কংগ্রেসের কাউন্সলিরকে খুনের প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। বাস্তবতা তুলে ধরে সেলিম বলেছেন, ‘‘পুলিশ অপরাধীদের সঙ্গী। জয়ী বিরোধীদের সার্টিফিকেট ফেরাতে হুমকি দিচ্ছে। মামলা দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে। সার্টিফিকেট না দিয়েও শান্তি হয়নি, প্রকৃত জয়ীকে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দিয়ে গ্রামছাড়া করার ব্যবস্থা হচ্ছে।’’ 

 

উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও সিপিআই(এম) কর্মীদের থানায় তুলে নিয়ে আসা হয়েছিল, নজরুল ফকিরের হয়ে প্রচার করার দায়ে। নির্বাচনে বুথ দখল করে, সিপিআই(এম) প্রার্থী ও এজেন্টকে মেরে বের করে দেয় বাহুবলী মৈমুরের সশস্ত্র বাহিনী। সিপিআই(এম) বলেছে, ছাপ্পা ভোট দিয়েই জিতেছিলেন এই তৃণমূল প্রার্থী। প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করার দাবি তুলেছে সিপিআই(এম)। 

Comments :0

Login to leave a comment