নির্বাচনী আচরণ বিধি উড়িয়ে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। কমিশনও নীরব। আবার ভোটের দু’দিন আগে কৃষক তহবিলের টাকা দিল কেন্দ্র। পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে কিছু বাকি রাখছে না বিজেপি।
এই মর্মে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের অভিযোগ, হিসেব করেই দেরি করে ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের টাকা দেওয়া হচ্ছে।
কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বুধবারই মধ্য প্রদেশে নির্বাচনী সভা করেছেন। কংগ্রেস প্রসঙ্গে তাঁর প্রচার, দেশে বাঁধ থেকে সবুজ বিপ্লব বা শীর্ষস্তরের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান তৈরিতেই জোর দেওয়া হয়েছে বরাবর।
দেশের জন্য কংগ্রেস কী করেছে, প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী লাগাতার এই প্রশ্ন তুলে প্রচার চালাচ্ছেন পাঁচ রাজ্যে।
বুধবারই প্রচার শেষ হয়েছে ছত্তিশগড় এবং মধ্য প্রদেশে। খাড়গে বলেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়ে নিজের কাজ করছেন না। কেবল এক নির্বাচন থেকে আরেক নির্বাচনে দলের প্রচারে ব্যস্ত।’’ এরপরই বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর বিজেপি’র মতো শক্তি সরকার গড়লে মনু শাস্ত্র অনুযায়ী দেশ চালাতো। দলিতদের জল, রাস্তার সুযোগ থেকে সরিয়ে রাখত।’’
১৭ তারিখ নির্বাচন মধ্য প্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে। ৭ নভেম্বরে ছত্তিশগড়ে প্রথম দফার ভোট হলেও মধ্য প্রদেশে ভোট হবে এক দফায়। ৩০ নভেম্বর ভোট রয়েছে তেলেঙ্গানায়, ২৫ নভেম্বর রাজস্থানে।
বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ‘প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি’-র ১৫ নম্বর কিস্তির টাকা ছেড়েছে কেন্দ্র।
কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ মনে করিয়েছেন যে এই প্রকল্পের ৬ষ্ঠ কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল ২০২০’র ১ আগস্ট। ৯ম কিস্তি মেটানো হয় ২০২১’র ৯ আগস্ট। ১২ নম্বর কিস্তির টাকা দেওয়া হয় গত বছরের আগস্টে। ১৫ নম্বর কিস্তির টাকা দেওয়া হলো ভোটের মুখে।
রমেশের অভিযোগ, ইচ্ছে করেই দেরি করেছে কেন্দ্র। যাতে ভোটের মুখে টাকা দেওয়া যায়।
VOTE MP Chhattisgarh
ভোটের মুখে কেন কিস্তির টাকা? দু’রাজ্যে প্রচারের শেষদিনে সরব কংগ্রেস
×
Comments :0