Purulia Balarampur Hospital

হাসপাতালের শৌচালয় বন্ধ, বিপাকে রোগীরা

জেলা

শৌচালয় আছে তালা বন্ধ। তাই এভাবেই স্যালাইনের বোতল ঝুলিয়ে রোগীকে বাইরে এসে শৌচকর্ম করতে হয়।

কোথাও ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের শৌচালয়ে রোগী ঢুকতেই পারেন না পচা গন্ধে। নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। কোথাও আবার শৌচালয় থাকলেও তা থাকে তালা বন্ধ। যার ফলে রোগীদের প্রাকৃতিক কাজকর্ম সারতে বাইরে যেতে হয়। যেভাবে তারা বাইরে যান সে দৃশ্যটা দেখলে চমকে উঠতে হয়। রোগী হাতে স্যালাইনের বোতল ঝুলিয়ে বেড ছেড়ে শৌচকর্ম করতে যাচ্ছেন ওয়ার্ডের বাইরে। খুঁজছেন কোন ঝোপঝাড়। হাতে তার স্যালাইন বোতল ধরা। পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকের বাঁশগড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীকে এভাবেই শৌচকর্ম করতে হয় প্রত্যেকদিন। কারণ ওয়ার্ড এর শৌচালয় তালাবদ্ধ। কেন তালা বন্ধ? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখিয়ে দেন  ব্লক প্রশাসন কে, ব্লক প্রশাসন দেখায় জেলা প্রশাসনকে, জেলা প্রশাসন দেখায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য কারা দেখভাল করবে সেটা ঠিক না হওয়ার কারণেই শৌচালয় থাকে তালাবদ্ধ‌ আর হাতে স্যালাইনের বোতল ঝুলিয়ে রোগীকে যেতে হয় বাইরে। এটাই হচ্ছে উন্নয়ন! এটাই হচ্ছে সু-পরিষেবা!
অনুন্নয়ের নাম করেই একসময় এই বলরামপুর ব্লকেই আজকের শাসক দল মাওবাদীদের হাত ধরে এনে নির্বিচারে খুন করেছিল সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকদের। সরকার পরিবর্তনের পথ কতটা উন্নয়ন হয়েছে জঙ্গলমহলের সেই বলরামপুরে- তা সেখানকার বাঁশগড় গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলেই জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র। শুধু মাত্র বলরামপুর ব্লকের মানুষজনই নন পার্শ্ববর্তী ঝাড়খন্ড থেকেও রোগীরা আসেন সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করানোর জন্য। কয়েক মাস আগে জেলা পরিষদের অর্থানুকুল্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি শৌচালয় তৈরি করা হয়েছিল। তৈরি হবার পর থেকেই সেই শৌচালয় তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা, সেই শৌচালয় ব্যবহার করতে পারেন না ।তাদেরকে বাধ্য হয়ে হাতে স্যালাইনের বোতল ঝুলিয়ে ওয়ার্ডের বাইরে এসে শৌচ কর্ম সারতে হয়। দেখার কার্যত কেউ নেই। তাই এভাবেই দিনের পর দিন রোগীদের বিপদকে সঙ্গী করে শৌচ কর্ম সারতে হয়। আর শৌচালয় থাকে তালা বন্ধ।

Comments :0

Login to leave a comment