VOTE RAJASTHAN CONG

ডায়েরি-প্রচারে চিন্তিত নন, ভোটের মুখে দাবি গেহলটের

জাতীয়

প্রচারে অশোক গেহলট।

‘লাল ডায়েরি’-র পাতা বলে সোশাল মিডিয়ায় আসছে ছবি। রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার থেকে বরখাস্ত রাজেন্দ্র গুঢা দাবি করছেন, তাঁর কাছে রয়েছে ডাইরি। মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলটের গোপল আর্থিক লেনদেনের তথ্য রয়েছে ডাইরিতে। 
গেহলট যদিও দাবি করছেন যে ‘লাল ডায়েরি’ প্রচারে আদৌ চিন্তিত নন তিনি। ২৫ নভেম্বর এক দফায় ভোট রাজস্থানে। জয়পুরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে গেহলট বলেছেন, ‘‘লাল না কালো জানি না। তবে ডায়েরি নিয়ে প্রচার আসলে ষড়যন্ত্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ষড়যন্ত্রের মাথা।’’
গুঢার নাম না করে গেহলটের মন্তব্য, ‘‘রাজ্যের এক মন্ত্রীকে ধরে ষড়যন্ত্রে শামিল করানো হয়েছে। বিজেপি’র এ ছাড়া উপায় নেই। কাজের বিচারে সরকারের সমালোচনা করতে পারছে না। ফের কংগ্রেসকেই জয়ী করবেন মানুষ।’’ 
বুধবারই রাজস্থানের বারমেরে প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী। এখানেও সন্ত্রাসবাদে ধর্মের পরিচয় খুঁজেছেন মোদী। তিনি বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসের সংখ্যালঘু তোষণের নীতি সন্ত্রাসবাদীদের মনোবল জুগিয়েছে। দাঙ্গাবাজরা সাহস পেয়েছে।’’ 
পালটা বলেছেন গেহলট। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে প্রবীণ কংগ্রেস নেতার মন্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরের পরিস্থিতির গুরুত্বই বুঝতে চাননি। মণিপুর যখন জ্বলছে তখনও চোখ বুঁজে থেকেছেন মোদী আর শাহ। মণিপুরে জাতিগোষ্ঠী সংঘর্ষের পর একবারও রাজ্যে যাননি মোদী।’’
রাজস্থানে কংগ্রেসের মাথাব্যথা থেকে গেহলটের সঙ্গে দলের আরেক নেতা শচীন পাইলটের দ্বন্দ্ব। তবে ফাটল অনেকটাই কংগ্রেস সারিয়েছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের। দুই নেতা যদিও এখনও একসঙ্গে কোনও নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নেননি। বুধবারই জয়পুরে নির্বাচন প্রস্তুতি বৈঠকে একসঙ্গে অংশ নেন গেহলট এবং পাইলট। সোশাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্টও করেন গেহলট। 
বৈঠকে যোগ দেন কংগ্রেসের জাতীয় কমিটির সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। তিনি বলেছেন, ‘‘নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এই বৈঠক নিয়মমাফিক। তবে বিজেপি প্রচার করার চেষ্টা করছে কংগ্রেসের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। আমদের সব নেতা একসঙ্গেই লড়াই করছেন।’’

Comments :0

Login to leave a comment