কবিতা
শিকড়ের সন্ধানে
দেবাশিস আচার্য
মুক্তধারা
নতজানু হয়ে বসেছিল কর্ণ
সামনে বরাভয়দাত্রী কুন্তী
পেছনে যুদ্ধের মাঠ।
সাথে শিবির বদলের ডাক
আর জয়ের হাতছানি
উপেক্ষা করে কর্ণ চেয়েছিল
বীর হতে।
সালকু সোরেনের মা
ছিতামনী সোরেনের
ছিল না হস্তিনাপুর কুরুক্ষেত্র,
যুদ্ধ ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে আছেন
বীর পুত্রের সহযোদ্ধাদের পাশে।
ইতিহাস লেখা হয় রক্ত দিয়ে
মাটি জঙ্গল আর ফসলের গায়ে।
আফিমের নেশা শেষকথা
লেখেনি কোনো দিন।
আগুন কিংবা যুদ্ধের বারুদ
ফসলের সাথে পুড়িয়েছে
উপাসনা ঘরের শেষ স্পর্ধা।
তবুও নতুন মাটিতে
অঙ্কুরিত হয় ফসলের ফরমান,
ধানের গন্ধ মেখে
মাটিতেই মিশে যেতে হবে
শিকড়ে শিকড়ে গভীর অতলে
তারপর একদিন কেটে যাবে
আফিমের ঘুম।
নেশাখোর মানুষ ও
খুঁজে নেবে বীরত্বের শিবির
বেজে উঠবে ফসলের গান
নদী জঙ্গল খামার
কিংবা কারখানার গেটে
উঠবে পাথর ভাঙার শব্দ
সালকু সোরেনের লাশ
অপেক্ষারতা ছিতামনী
ডাক পাঠাবেন ঘরে ঘরে
শেষ যুদ্ধের সাইরেন।
এখন কবিতা গান মিছিল
প্রতিদিন শিকড়ের সন্ধানে ।
Comments :0