কী ধরনের নোংরামি পুলিশ করেছে প্রথম দিনই বুঝেছলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর কোনও লজ্জা নেই। শিয়ালদহ আদালতের রায় দেখছেন, তবুও তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে বসে রয়েছেন।
শনিবার সোদপুরে এই ভাষাতেই ক্ষোভ জানিয়েছেন আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষিতা এবং নিহত চিকিৎসকের বাবা ও মা। অভয়া মঞ্চের ডাকে বিচারের দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে এদিন সন্ধ্যায় যোগ দেন তাঁরা।
তাঁরা বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন যে আমরা প্রভাবিত হয়ে কথা বলছি। তিনি আমাদের অভিভাবক। বিষয়টি ভালো করে বুঝুন তিনি। আজকে অভিভাবকের যদি এই রকমের চরিত্র হয় তা’হলে সমাজের কী হবে।’’
মা বলেন, ‘‘বলা হচ্ছে আমাদের জন্য সঞ্জয়ের ফাঁসি হলো না। বলা হচ্ছে যে আমরা কেসটাকে জলে ফেলে দিয়েছি। হাইকোর্টের বিচারপতি কী কোনোকিছুর বোঝেন না। তিনি পুলিশকে বলছেন সিবিআই-কে কোর্টের মদ্যে কেস ডায়েরি হস্তান্তর করতে। পুলিশকে এতটুকু বিশ্বাস করছেন না বিচারক। তা’হলে সেই মামলা সম্পর্কে আমি কী বলব মুখ্যমন্ত্রীকে!’’
পরিবারের অভিযোগ, আর জি কর হাসপাতালের আটতলার একটি ঘর তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সিবিআই-কে বলা সত্ত্বেও সেখানে যায়নি। তদন্তকারী আধিকারিক বা আইও, রায় এবং সাজা ঘোষণার দিন আদালতে ছিলেন না।
তীব্র ক্ষোভে চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘‘এরপর সিবিআই সম্পর্কে আর নতুন করে কী বলার আছে। সিবিআই’র এক আধিকারিক এমনও বলেছেন যে মে মারা গিয়েছে আপনার, দায় নিতে হবে আপনাকে, কেউ কিছু করে দেবে না! দেবাশিস তার নাম।
কলকাতা পুলিশের থেকেও জঘন্য কাজ করেছে সিবিআই।’’
প্রশ্নগুলি সকলকে বলেছেন। সেই প্রশ্নের প্রতিফলন শিয়ালদহ আদালতের রায়ে আছে। তাঁরা বলেন, ‘‘তৃণমূলের মুখপাত্রের মন্তব্যের জবাব দেওয়া প্রয়োজন মনে করি না। উনি চোখের জল দেখবেন কী করে‘ উনি কী এসেছিলেন? আমার স্ত্রী পায়ে ধরেছেন মেয়েকে দেখার জন্য। দেওয়া হয়নি। (তৃণমূল নেতা) সঞ্জীব মুখার্জি ডিসি নর্থকে নিয়ে আসেন। আমাদের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আদালতের রায়ে তার ইঙ্গিত রয়েছে।’’
বিভিন্ন প্রশ্ন প্রথম থেকেই ছিল। তার উত্তর পাইনি, বলেছেন মৃতার বাবা। অভয়া মঞ্চের ‘দ্রোহের প্রজাতন্ত্র’ কর্মসূচিতে তাঁদের তোলা প্রশ্ন জানিয়ে সেগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানান নির্যাতিতার বাবা। উল্লেখ্য, তদন্ত প্রক্রিয়া ঘিরে এমন একগুচ্ছ প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে বিচারের আবেদন জানিয়েছে পরিবার।
এদিন ‘দ্রোহের প্রজাতন্ত্র’ কর্মসূচিতে অংশ নেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরসের যুগ্ম আহ্বায়ক ডাঃ পুণ্যব্রত গুন, আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক আশফাকুল্লা নাইয়াও। কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন প্রিয়াঙ্কা কাঞ্জিলাল।
RG Kar Family
মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা নেই, ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছেন: ক্ষোভে বলছে নিহত চিকিৎসকের পরিবার
×
Comments :0