Deportation Supreme Court

কাশ্মীরের পরিবারকে পাকিস্তানে পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা সুপ্রিম কোর্টের

জাতীয়

আধার কার্ড এবং ভারতীয় পাসপোর্ট রয়েছে। ভাইবোনরা পড়াশোনা করেছেন এদেশে, জম্মু ও কাশ্মীরে। তবু জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানে।
জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা আহমেদ তারিক ভাটের আবেদনের ভিত্তিতে আপাতত তাঁকে এবং পরিবারের সদস্যদের পাকিস্তানে পাঠানোর ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
পহেলগামে সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ এপ্রিল পাকিস্তানের নাগরিকদের দেশে ফেরানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তার জেরেই এই পরিস্থিতি।
শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং এনকে সিংয়ের বেঞ্চ শুক্রবার বলেছে, আবেদনকারী ভাট এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নথিপত্র খতিয়ে দেখতে হবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। তবে সময়সীমা এখনই ঠিক করা হচ্ছে না।
আদালতের চূড়ান্ত রায়ে আপত্তি থাকলে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ হাইকোর্টে আবেদন জানানোর অনুমতিও দিয়েছে বেঞ্চ।
ভাটের বক্তব্য, ১৯৯৭ সালে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মীরপুর থেকে বাবা চলে এসেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরে। ২০০০ সালে পরিবারের বাকি সদস্যেরা চলে আসেন। সেখানেই পড়াশোনা। আধার কার্ড এবং ভারতীয় পাসপোর্টও রয়েছে। কিন্তু ২৫ এপ্রিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নোটিশ পাঠায় বিদেশী নথিভুক্তি দপ্তর। ২৯ এপ্রিল পরিবারের সদস্যদের জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিদেশী নথিভুক্তি দপ্তর বা এফআরও’র যুক্তি, পাকিস্তানের যে ভিসা নিয়ে এদেশে এসেছিল ভাটের পরিবার, তার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। 
ভাট আদালতে জানান যে তাঁর বাবা, মা, বোন এবং ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ। ৩০ এপ্রিল নিয়ে যাওয়া হয় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে।

Comments :0

Login to leave a comment