SANDIP GHOSH and ABHIJIT MONDOL

সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগেই হেপাজতে সন্দীপ-অভিজিত

রাজ্য

দ্রুত বিচারের দাবিতে রবিবার গড়িয়াহাট মোড়ে যোধপুর গার্লস, মিত্র ইনস্টিটিউশনের মতো একাধিক স্কুলের প্রাক্তনীরা।

আপাতত তিন দিন টালা থানার ওসি-কে হেপাজতে পেয়েছে সিবিআই। তবে হেপাজতের এই মেয়াদের মধ্যেই শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। দুর্নীতির পাশাপাশি সরাসরি খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এবার আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে হেপাজতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির দিকে সজাগ নজর রাখবে জনতার আদালত।
টালা থানার ওসি-কে ঘিরে অভিযোগ রয়েছে আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক-ছাত্রীর দেহ মেলার পর থেকেই। ৯ আগস্ট দেহ মেলে ওই ছাত্রীর। সিবিআই-কে কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেয় ১৩ আগস্ট। এর মাঝে তথ্য প্রমাণ লোপাটের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে গোটা কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেই। ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানির দিনও সিবিআই জানায় যে নিয়ম অনুযায়ী দেহের ময়না তদন্তের আগে যে চালান থাকার কথা তা হাতে পায়নি। রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিবালও কার্যত নিরুত্তর থাকেন আদালতের প্রশ্নে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ১৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার শুনানির দিন ঠিক করে। সিবিআই-কে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে বলে।
সিবিআই এর আগে সন্দীপ ঘোষকে আর জি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল ২ সেপ্টেম্বর। শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় সরাসরি ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে। সেই সঙ্গেই গ্রেপ্তার করা হয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। অভিজিৎ মণ্ডলকে তার আগে জেরায় ডাকে সিবিআই। তিনি নিজেকে অসুস্থ দাবি করে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে চান। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করেও তাঁকে ভর্তি নেওয়ার মতো কিছু পাননি। কয়েকটি হাসপাতাল ফিরিয়ে দেওবার পর একটি হাসপাতাল তাঁকে ভর্তি নেয়।
এর মধ্যেই জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস এই ঘটনায় চিঠি দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবকে। প্রতিবাদী চিকিৎসকদের অভিযোগ, সরাসরি স্বাস্থ্য ভবন থেকে হুমকি আসছে সেই হাসপাতালে যেখানে এই ওসি-কে ভর্তি করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীও প্রকাশ্যে ভর্তি না নেওয়াকে ‘ঔদ্ধত্য’ আখ্যা দিয়েছেন। সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাটে সরকারের বিরুদ্ধেও সরব চিকিৎসকরা।

Comments :0

Login to leave a comment