সিকিমের সিংটমে হরপা বানে সব স্বপ্ন শেষ চোপড়ার কিছু যুবকের। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে রাজ্য সরকার ও চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে , চোপড়া থানার পশ্চিম কালিকাপুর এলাকার বেশ কয়েকজন শ্রমিক সিকিমের সিংটমে নিজেদের একটি গ্যারেজ ছিল। সেই গ্যারেজে প্রায় ১২ টি গাড়ি ছিল। সোমবার গভীর রাতে হঠাৎ বান আসে। সেই বানে কোনো রকম প্রাণে বাঁচলেও তাদের সমস্ত কিছু শেষ হয়ে যায়। জলের স্রোতে ভেসে যায় তাদের গ্যারেজে থাকা গাড়ি গুলো। গোটা গ্যারেজে ২০ ফুট উপর পর্য্ন্ত পলিতে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না তারা। এখন তাঁরা রাজ্য সরকার ও চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের কাছে সাহায্যের আবেদন করছেন।বিধায়ক জেলা তথা রাজ্যে নেই। তিনি আজমের শরিফ গেছেন। ফলে বিপদগ্রস্ত শ্রমিকেরা দিশা খুজে পাচ্ছেন না। সিপিআই(এম) উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হক রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা তীব্রভাবে কটাক্ষ করে বলেন, একজন বিধায়ক বাইরে থাকতেই পারেন কিন্তু রাজ্য সরকার বা প্রশাসন রয়েছে তারা কি করছে। আসলে মুখে বড় বড় কথা বললেও এই সরকার ঘোরতর শ্রমিক বিরোধী। সিকিমের শুধু ওই এলাকাতেই নয়, প্রচুর নির্মাণ শ্রমিক আটকে পড়েছে সিকিমের বিভিন্ন এলাকাতে। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি এবং তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। রাজ্য প্রশাসন উদ্ধার কাজে রীতিমতো ব্যর্থ।
এদিকে হামিদুর রহমান জানান, ‘‘আমি আজমির শরীফ রয়েছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাউকে বলে কয়ে আসে না। আমি শিলিগুড়ি কমিশনারেট ও সিকিম প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। তাদের যেন কোনো রকম সমস্যা না হয় পুরো বিষয়টি দেখতে বলেছি’’।
Comments :0