JAGDEEP DHANKHAR

ফের সুপ্রিম কোর্টকে আক্রমণ উপরাষ্ট্রপতির

জাতীয়

যে আইনসভায় বিজেপি’র গরিষ্ঠতা নেই সেখানে রাজ্যপালকে দিয়ে বিল আটকে রাখা যায়। আর সুপ্রিম কোর্ট বিল পাশের সময় বেঁধে দিলে ‘বিচারবিভাগের অতি সক্রিয়তা হয়’!
ফের এই মর্মে যুক্রি সাজিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে আক্রমণ করলেন উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধনখড়। এদিন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আলোচনাসভায় যোগ দিয়ে ধনখড়ের মন্তব্য, ‘সংসদই সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী’ এবং ‘ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রক’। 
তামিলনাডু এবং কেরালার মতো বিরোধীদের সরকার রয়েছে এমন একাধিক রাজ্যে কেন্দ্রের পাঠানো রাজ্যপালরা আটকে রাখছেন বিল। বিধানসভায় ফেরত পাঠানোর পর সেই বিল ফের পেশ হলেও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য বিল আটকে রাখছে রাজভবন।
তামিলনাডুতে রাজ্যের মানুষের জন্য প্রয়োজনের এমন দশটি বিলকে সংবিধানের ১৪২ ধারা অনুযায়ী আইন হিসেবে ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই একযোগে শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে নেমেছে বিজেপি। 
ধনখড় এদিন বলেছেন, ‘‘কোনও সংশয়ের অবকাশ নেই যে সংবিধান রক্ষার দায়িত্ব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। সংবিধানে কী থাকবে থাঁরাই ঠিক করা অধিকারী। সংসদের ওপর অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানকে জায়গা দেয়নি সংবিধান।’’
কিন্তু রাষ্ট্রপতি বা উপরাষ্ট্রপতি বা সংসদের কোনও কক্ষের অধ্যক্ষ পদে আসীনদের এমন বিতর্কে সরাসরি অংশ নিতে দেখা যায় না। জগদীপ ধনখড় সেটিই করে চলেছেন।  
আইনজ্ঞ এবং বিরোধী নেতারা ধনখড়ের আক্রমণে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়েছেন। কপিল সিবাল বলেছেন, ‘‘সংবিধানে বিচারবিভাগ বা সরকার, কেউই সর্বোচ্চ নয়। সর্বোচ্চ হলো সংবিধান।’’
বিরোধীরা মনে করিয়েছেন যে সুপ্রিম কোর্টকে সংবিধানের ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংবিধানেই। যে কারণে কোনও আইনকে সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে পারে। রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির সম্মতির নামে রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদের বিধানসভায় পাশ বিলকে আটকানো সে কারণেই ‘অবৈধ’ এবং অসাংবিধানিক’ বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। 
কেবল ধনখড় নন, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেরাও সুপ্রিম কোর্ট এবং বিচারপতিদের আক্রমণ করে চলেছেন কেন্দ্রের পাঠানো রাজ্যপালদের সিদ্ধান্ত খারিজ করায়। দেশে নৈরাজ্য তৈরির জন্য প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে দায়ী করেছেন দুবে। বিজেপি দ্রুত জানিয়েছে যে এই বক্তব্য দুবের নিজস্ব দলের নয়। তবে বিরোধীরা বলছেন, বিজেপি পরিকল্পনা করেই দুবের মতো নেতাদের সামনে ঠেলে দিচ্ছে।

Comments :0

Login to leave a comment