Panchayet Election Result

আমডাঙ্গায় সিপিআই(এম) প্রার্থীকে অপহরণ

রাজ্য

Panchayet Election Result

আমডাঙ্গায় দুই সিপিআই(এম) প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। শুরু আগে থেকেই অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে জেলায় জেলায়। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গার চণ্ডীগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে ৫৭ নম্বর বুথের সিপিআই(এম) প্রার্থী মহম্মদ কুতুবউদ্দিনকে অপহরণের অভিযোগ। গণনাকেন্দ্রের সামনে থেকেই তাঁকে অপহরণ করে মারুতি ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এছাড়াও বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৯ নম্বর বুথের সিপি‌আই(এম) প্রার্থী বিশ্বজিত সামন্ত তাঁকেও এদিন গনণা কেন্দ্রের সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেছে জানিয়েছেন স্থানীয় সিপিআই(এম) নেতা আহমেদ আলি খান। তিনি বলেন,‘‘ তিনটি কেন্দ্রের হার নিশ্চিত জেনেই গনণা কেন্দ্রে সামনে থেকে দুই সিপিআই(এম) প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তিনি বলেন, এই অপহরণের বিষয়ে সিপিআই(এম)’র পক্ষ থেকে এসপি, এসডিও আমাডাঙার থানার আইসি ও বিডিও জানানো হয়েছে। যদিও প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেবেন তা জানা যাচ্ছে না। এই দুই কেন্দ্রে গনণা বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়েছে।’’


অভিযোগ গলসী ১ নম্বর ব্লকের স্ট্রং রুমের ভিতর থেকে মারধর করে তৃণমূল বিরোধীদের বের করে দিয়েছে। বুদবুদ মহাকালী বিদ্যালয়ে স্ট্রং রুম। ভোর থেকে সশস্ত্র প্রচুর বহিরাগত গুন্ডা বাহিনী স্ট্রং রুম যাবার রাস্তার দখল নিয়েছে। মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক কংগ্রেস প্রার্থীকে স্ট্রং রুমে ঢোকার সময় ঘিরে ধরে বেদম প্রহার করা হয়। তার মাথায় ১৯টি সেলাই পড়েছে। পা ভেঙে দিয়েছে। অনেক সিপিআই (এম) প্রার্থী আক্রান্ত। ঘটনায় পুলিশ, পরিদর্শক নীরব।


এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা। ৩৩৯টি কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে। ২২টি জেলার মধ্যে ২০ জেলায় পঞ্চায়েতে ত্রিস্তরে গণনা হবে। প্রথমে ইডি ব্যালট গোনা , তারপর গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং সবশেষে জেলা পরিষদের গণনা হবে।
মঙ্গলবার সকালে গণনা শুরু হওয়ার আগে ডায়মন্ড হারবার কলেজের বাইরে সিপিআই(এম), কংগ্রেস এবং আইএসএফের কাউন্টিং এজেন্টরা জড়ো হলে তাদের গণনা কেন্দ্রের ভিতরে যেতে বাঁধা দেওয়া হয় তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীর পক্ষ থেকে। 
 

 

ভোট গণনার আগে উত্তেজনা হুগলির জাঙ্গীপাড়ায়। ডিএন হাই স্কুলের গণনা কেন্দ্র থেকে সিপিআই(এম) ও আইএসএফের এজেন্টদের মেরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মারধর করা এবং গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ফুরফুরা পঞ্চায়েতর তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান ও জেলা পরিষদের বর্তমান প্রার্থী সামিম আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। লাঠি চালিয়েছে পুলিশও। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের জাঙ্গীপারা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জাঙ্গীপাড়ায় গণনা কেন্দ্রে শাসক দলের আক্রমণের পর রাস্তার উপর বিক্ষোভ চলাকালীন পার্টি অফিসের সামনে ও ভিতরে ঢুকে পুলিশের অমানবিক লাঠিচার্জ করে। সিপিআই(এম) ও আইএসএফের এজেন্টদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা অস্বীকার করেছে শাসকদল।

 



গনণা কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা সাংবাদিকদের। রায়গঞ্জে ডিসিআরসিতে সাংবাদিকদের ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জেলা প্রশাসনের। ঘটনায় প্রতিবাদ সাংবাদিকদের দের। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিচয় পত্রে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ। উত্তর দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অলিপ মিত্র সভাপতি অমিত সরকার সমস্ত কার্ড পুড়িয়ে বিক্ষোভের সুচনা করেন। সাংবাদিকদের অভিযোগ কাউন্টিং হলের মধ্যেও চলছে অনৈতিক কাজ। সেই ঘটনা ক্যামেরা বন্দী যাতে না করেতে পারে তাই সাংবাদিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা। এদিন প্রশাসনের নক্কার জনক কাজের প্রতিবাদে রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজে গণনা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ঢুকতে না দেওয়ার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনের পরিচয় পত্র পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানালেন সাংবাদিকরা।


 

Comments :0

Login to leave a comment