West Bengal Weather

বৃষ্টির ঘাটতি সঙ্কটে কৃষিকাজ

রাজ্য

West Bengal Weather

আগামী পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই উত্তর কিংবা দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি নেই, আগামী পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টি না হলেও সমস্যা নেই উত্তরের। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে মরশুমী বৃষ্টির ঘাটতি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বর্ষার এক মাস চলে যাওয়ার পরেও দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩৬ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। এই খাটতি মিটিয়ে দক্ষিণবঙ্গে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়াটার সম্ভাবনা বেশ কম। মোটেই স্বস্তির নয় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, আগামী পাঁচদিন দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, যা বৃষ্টি হবে তা সাময়িক এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি মিটবে না। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়তে পারে ২০ ও ২১ জুলাই। ২১ জুলাই হালকা বৃষ্টি বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। 
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এখনো পর্যন্ত মাত্র ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলে জেলায় ১৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। চলতি মাসেই বৃষ্টির ঘাটতি ৪৬ শতাংশ। বৃষ্টিতে ঘাটতি রয়েছে জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলে ৪৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা। বৃষ্টি হয়েছে ৩০১ মিলিমিটার। এবছরে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৩৬ শতাংশ।

গত বর্ষার পর কার্যতঃ কোন বৃষ্টি বলতে কিছু হয়নি মালদা জেলায়। তীব্র গরম। যেটুকু বৃষ্টি হচ্ছে তাতে ভ্যাপসা গরম আরও বাড়ছে। ভরা বর্ষাতেও বৃষ্টির ঘাটতি থেকেই যাবে দক্ষিণবঙ্গে। ফলে ধান চাষের জন্য এই সময়ের যে পরিমান বৃষ্টি প্রয়োজন তা মিলছে না। ফলে সমস্যায় পড়বেন কৃষকেরা। বৃষ্টির ঘাটতির কারণে আমন চাষে ভরাডুবির আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে জমে থাকা জলেই আমন চাষ হয়। আষাঢ় শেষ হয়ে শ্রাবণ শুরু। অথচ বৃষ্টির দেখা নেই। মাঝেমধ্যে সামান্য বৃষ্টি হলেও তা ফসলের কোনো কাজে আসছে না। আমনচাষীরা পড়েছেন বিপাকে। বৃষ্টি না থাকলেও সব্জি চাষ ভালোই হলেও দাম কিছুতেই কমছে না। কৃষকরা সব্জিতে যে দাম পাচ্ছেন তার চার থেকে পাঁচ গুণ দামে তা বিক্রি করছে খুচরো ব্যবসায়ীরা। একদিকে বিভিন্ন সবজির দাম বাড়ছে। যেমন, বেগুন, বিনস, ঢ্যাঁড়স, লঙ্কা, আদা, ক্যাপসিকাম প্রভৃতি সবজির দাম বেড়ছে। টমেটো, আদা দাম বাড়ছে। বৃষ্টি যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে বাড়বে সব্জির দাম। আমন উৎপাদন ব্যাহত হবে আশঙ্কা কৃষকদের। কৃষি কাজের জন্য চাহিদার তুলনায় বৃষ্টি না হওয়াতে এখন পর্যন্ত আমন ধানের বীজ রোপণ করা যায়নি অনেক জায়গায়। কৃষকদের বক্তব্য সাধারণত জুন ও জুলাই মাসে আমন ধাণের বীজ রোপণের উপযুক্ত সময়। কিন্তু এবার   চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি হচ্ছেনা। জমিতেও জল নেই। তীব্র রোদে ধান চাষের সোনালী ফসলের মাঠগুলো জলের জন্য খাঁ-খাঁ করছে।


পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে বিপন্ন কৃষিকাজ। বাড়ছে সবজি বাজার দর। মরশুমি সবজির দাম প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। সমস্ত সব্জির সঙ্গে দাম বাড়ছে আলু ও পিঁয়াজেরও। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কম হওয়ায় আমন উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
বৃষ্টির অভাবে পাট চাষিরাও সমস্যায় পড়েছেন। যদিও বর্ষা ঠিকমতো হয় তাহলে হয়তো সমস্যা সুরাহা হবে কৃষকদের। বৃষ্টির ঘাটতি‌ অব্যাহত থাকলে ধান চাষে প্রভাব পড়বে।
বৃষ্টির ঘাটতি সঙ্কটে কৃষিকাজ, পাটচাষে অনিহা চাষিদের।
আগামী পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই উত্তর কিংবা দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি নেই, আগামী পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টি না হলেও সমস্যা নেই উত্তরের। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে মরশুমী বৃষ্টির ঘাটতি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

আষাঢ় থেকে শুরু করে শ্রাবন মাস পর্যন্ত আমন ধান জমিতে রোপণ করা হয়। কিন্তু এবার আষাঢ় মাস শেষ হয়ে শ্রাবণ মাস চলছে তারপরও দেখা নেই বৃষ্টির। বাড়তি আর্দ্রতার জেরে ঘামের সঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তি। আবহাওয়া দপ্তর তবুও বৃষ্টির সুখবর দিতে পারেনি।

Comments :0

Login to leave a comment