Islampur

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ইসলামপুরে

জেলা

 ইসলামপুর স্টেট ফার্ম কলোনি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক তচ্ছরূপের অভিযোগ তুলে গার্জিয়ান ফোরাম কমিটির অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার স্কুলে তদন্ত করতে আসেন মহকুমা (মাধ্যমিক) স্কুল পরিদর্শকের আধিকারিকরা। এদিন দুপুরে তদন্তে আসেন স্কুল পরিদর্শকের আধিকারিকরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কানাইলাল কর্মকার ও স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রেম কমল রায় চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে গার্জিয়ান ফোরাম কমিটির সাথে বৈঠক করা হয়। প্রায় কয়েক ঘন্টা ধরে চলে বৈঠক। বৈঠকে দুই পক্ষের অভাব অভিযোগ শুনেন আধিকারিকরা। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল স্কুলের প্রায় ৯ লক্ষ  টাকা আর্থিক তচ্ছরূপ করেছেন এবং স্কুলের সভাপতি কে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। বৈঠক চলাকালীন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়ের গার্জিয়ান ফোরাম কমিটির সদস্য। এরপর আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাধান শিক্ষকের কাছে স্কুলের আর্থিক তছরূপের প্রায় ৯ লক্ষ টাকার মধ্যে কিছুদিন আগেই প্রায় ৫ লক্ষ টাকা তিনি স্কুলের একাউন্টে জমা করে ছিলেনএবং বাকি চার লক্ষ টাকা ১৫ জানুয়ারি মধ্যে স্কুলের একাউন্টে জমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেই টাকা জমা না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষকের অফিসের দরজা সিল করে স্কুলে না আসার ফতোয়া জারি করে ছিল গার্জিয়ান ফোরাম কমিটির পক্ষ থেকে। সেই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে মহকুমা মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শকের আধিকারিকরা এসে সমস্ত কিছু তদন্ত করে দেখেন এবং আগামী ৩১ জানুয়ারি মধ্যে স্কুলের বাকি টাকা স্কুলের একাউন্টে টাকা জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে গার্জিয়ান ফোরাম কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক কানাইলাল কর্মকার এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতেঅস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার পরিবার আছে -সন্তান আছে ,আমাকে এখানে চাকরিটা করতে হবে এর বাইরে কিছু বলবো না।

সমস্ত কিছু তদন্ত করে ডি আই কে, রিপোর্ট জমা করার কথা জানিয়েছে মহকুমা মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শকের আধিকারিক প্রসেনজিৎ রায়। পরিচালন কমিটির সভাপতি জানান, বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আমাকে অন্ধকারে রেখে সব কাজ করে গেছেন। এ বিষয়ে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির ইসলামপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত দে বলেন ,ওই স্কুলে সঠিকভাবে তদন্ত হলে মিড ডে মিল থেকে শুরু করে ছাত্রদের দেওয়া অর্থ তছরুপের বিরাট দুর্নীতির খতিয়ান বেরিয়ে আসবে । ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খরচ না করে সেই টাকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন কমিটির সভাপতি তছরুপ করেছেন। পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাত গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালালেও তিনি দায় অস্বীকার করতে পারেন না।আসলে তৃণমূল যেখানে চুরি সেখানে।

Comments :0

Login to leave a comment