বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে ৯ বার জয়ী হন আচারিয়া। রেলওয়ে স্ট্যাণ্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। লোকসভায় সিপিআই(এম) দলনেতা হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সিআইটিইউ ’র সর্বভারতীয় স্তরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। শ্রমজীবীর ক্ষোভ, যন্ত্রণা সংসদে তুলে ধরতেন সকলের ‘বাসুদা’।
তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১। ২০০৪ সালে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় লোকসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ার পর বাসুদেব আচারিয়াকে লোকসভার দলনেতা নির্বাচিত করে সিপিআই(এম)। ন’বারের সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া বাঁকুড়ার মানুষের উন্নয়নের জন্য একাধিক কাজ করেছেন। বস্তুত রাজ্যের একের পর এক প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্তরে যাওয়া, সংসদে দাবি তুলে গিয়েছেন বরাবর। রাজ্য বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ইউনিট চালু করার পক্ষেও টানা লড়াই চালিয়েছেন। ২০১৪’র নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। ২০১৯ সালে নির্বাচনে প্রার্থী না হলেও প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন।
গত সেপ্টেম্বর মাসে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। আচারিয়া শ্রমজীবী জনতার প্রান্তিকতম অংশের সমস্যা বারবার তুলে ধরেছেন সংসদে। অংশ নিয়েছেন সংসদের বাইরের লড়াইয়ে।
বর্ষীয়ান নেতার প্রয়ানে সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। শোক জানিয়েছেন পার্টি রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং পলিট ব্যুরো সদস্য সূর্য মিশ্র। মিশ্র জানিয়েছেন, হায়দরাবাদে তাঁর পরিবার রয়েছে। সেখানেই রয়েছে দেহ। কিছুদিন আগে প্রয়াত হন তাঁর স্ত্রী। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কেন্দ্রীয় কমিটি। রয়েছেন তেলেঙ্গানায় সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ।
Comments :0