Post Editorial

গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণে প্রাণহানি দায় কর্পোরেশনের, সরকারেরও

উত্তর সম্পাদকীয়​


বিকাশ ভট্টাচার্য
কলকাতা শহরের বুকে গার্ডেনরিচের ঝুপড়ির ওপর ভেঙে পড়েছে নির্মীয়মাণ বেআইনি বহুতল। সারা রাজ্যের মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে দেখেছেন এই ঘটনায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৯ বছরের যুবক থেকে ষাট বছরের প্রৌঢ়াও রয়েছেন। অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন, তার মধ্যে ১২জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এত বড় ঘটনা তো এমনি এমনি ঘটেনি, এটা নিছক দুর্ঘটনা বা পুরানো বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা নয়। বেআইনিভাবে নির্মীয়মাণ একটি বাড়ি ভেঙেছে। কার গাফিলতিতে ঘটেছে? এর দায় কে নেবে?
ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে গার্ডেনরিচের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কারণ বেআইনি নির্মাণ নিয়ে স্থানীয়রা বার বার জানানো সত্ত্বেও কাউন্সিলর চুপ করেছিলেন। তাঁর চোখের সামনেই বেআইনি নির্মাণ ঘটেছে, কলকাতা কর্পোরেশন এবং পৌরদপ্তর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তার জন্যই ১০ জনের প্রাণ চলে গেল। এর দায় কে নেবে? গার্ডেনরিচের ঐ ঘটনাস্থলের কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদ সব জনপ্রতিনিধিই তৃণমূলের। একই ব্যক্তি সরকারের পৌরমন্ত্রী এবং তিনিই কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র। অর্থাৎ তিন স্তরের যে শাসন ব্যবস্থা তাতে রাজ্যস্তরের পৌর বিভাগেরও মাথায় তিনি, আবার কলকাতা শহরের স্তরেও মাথায় তিনি। এটাই তো গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক এবং দুর্নীতির ব্যবস্থা। একই ব্যক্তি সব কথা এবং শেষ কথা বলবেন, সে তো স্বৈরতন্ত্র, তাহলে দুর্নীতিটা ধরবে কে? এই জন্যই আমরা বলছি, অবিলম্বে পৌরমন্ত্রীকে গার্ডেনরিচের ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে।

 

ঘটনা ঘটার পরে এখন মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা নানা কথা বলে মানুষের ক্ষোভ চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁরা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন, ঠিকই সেটা তো দিতেই হবে। কিন্ত ক্ষতিপূরণের টাকা সরকারি কোষাগার থেকে না দিয়ে বেআইনি নির্মাণের প্রোমোটারের থেকে আদায় করা হোক। যারা বেআইনি নির্মাণ করছিল এবং যাদের ঘুষ দিয়ে এসব কাজ করতে গিয়ে প্রাণহানি ঘটালো তাদের থেকেই ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। তাছাড়া  ১০ জনের প্রাণহানির পরে শুধু ক্ষতিপূরণের কথা বললে হবে না, কাদের গাফিলতিতে বেআইনি নির্মাণ সেটা বলতে হবে সরকারকে। এটা আসলে এক ধরনের খুন। কারণ, সাধারণ নাগরিকরা বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বারবার জানানো সত্ত্বেও তৃণমূলের কাউন্সিলর, বিধায়ক তথা মেয়র ও মন্ত্রী সেটা বন্ধ করতে কোনও তৎপরতা দেখাননি। হয়তো কাটমানি যুক্ত বলেই তাঁরা চুপ করেছিলেন। এখন পৌরমন্ত্রী বেআইনি নির্মাণকে সামাজিক ব্যাধি বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন। এটা সামাজিক ব্যাধি তো বটেই, কিন্তু তৃণমূলের সর্বাত্মক দুর্নীতিই এই সামাজিক ব্যাধি তৈরি করেছে। প্রোমোটার এবং অবৈধ নির্মাণকারী ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা নিয়ে বেআইনি নির্মাণের অনুমতি না দিলে সর্বত্র এমন অজস্র বেআইনি নির্মাণ কাজ চলতে পারত না। এখন সামনেই লোকসভা নির্বাচন, সেই কারণে নিহতদের টাকা দিয়ে সাহায্য করায়, কয়েকজন পৌরসভার কর্মীকে ধমক দিয়ে তৃণমূল সরকার এখন যে তৎপরতা দেখাচ্ছে সেসবই লোকদেখানো। ভোট মিটে গেলে ওরা সব ধামাচাপা দেবে, তারপরে হয়তো ছয়মাস পরে আবার একটা বাড়ি ভেঙে পড়বে। কারণ তৃণমূল সরকার গোটা সমাজেই এমন একটা দুর্নীতির বিপজ্জনক ভঙ্গুর ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।

 

তৃণমূলের এই দুর্নীতির সাম্রাজ্য এখন মানুষের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সামনে নির্বাচন বলেই তৃণমূলকে তাই মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টাও করতে হচ্ছে। ওরা এখনও পুরানো সময়ে ফিরে গিয়ে বামফ্রন্ট সরকার, বামফ্রন্টের পৌরবোর্ডকে দোষারোপের চেষ্টা করছে। কলকাতা কর্পোরেশন থেকে ১৪ বছর আগে এবং মহাকরণ থেকে ১৩ বছর আগে বামফ্রন্ট চলে গেছে, আর দু’বছর আগে গার্ডেনরিচের এই বেআইনি নির্মাণটি শুরু হয়েছে। তবুও বাচ্চাদের মতো বাম আমলকে দায়ী করছে! এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে? পৌরমন্ত্রী এখন বলছেন, বিকাশ ভট্টাচার্য মেয়র থাকাকালীন কর্পোরেশনে অডিট হতো না। সম্পূর্ণ অসত্য কথা।  তৃণমূলের ডিএনএ’তে অসত্য আছে, ওরা সবসময় অসত্য বলে। বামফ্রন্টের বোর্ড থাকাকালীন কলকাতা কর্পোরেশনে অডিট হয়েছে, এমনকি সুব্রত মুখার্জির আমলের বকেয়া অডিটও হয়েছে। আমি যখন মেয়র পদে বসি তখন পূর্ববর্তী মেয়র সুব্রত মুখার্জি কলকাতা কর্পোরেশনে দেনা রেখে গিয়েছিলেন, আর আমি মেয়র পদ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় কর্পোরেশনের তহবিলে সেই দেনা শোধ করে ৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রেখে আসি। ওরা এখন বলার চেষ্টা করছে যে বামফ্রন্টের পৌরবোর্ড থাকাকালীন বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনে সময় লাগতো, জুতোর তলা ক্ষয়ে যেত। ওরা এসে সহজসাধ্য কী করেছেন? বামফ্রন্টের বোর্ড থাকাকালীন কাটমানি দিয়ে বিল্ডিং প্ল্যান পাস করানো যেত না, তাই হয়তো সময় লাগতো। ওরা এসে যে ব্যবস্থা করেছে তাতে বেআইনি কনস্ট্রাকশন করে যাও, কাউন্সিলরকে টাকা দিয়ে যাও, যদি ভাঙে ভাঙবে, না ভাঙলে থেকে গেল। এটা হলো ওদের নিজস্ব ফর্মুলা। 
তৃণমূল আমলে টাকা দিয়েই সব হয়, সহজে তাড়তাড়িও হয়তো হয়। পৌরমন্ত্রী এখন বলছেন যে ৮২৩টি বেআইনি নির্মাণ ওঁরা আটকে দিয়েছেন। সেটাই যদি সত্যি হয় তাহলে গার্ডেনরিচের বেআইনি নির্মাণ ওরা আটকায়নি কেন? প্রোমোটারের থেকে টাকা আদায় হতো বলে? সরকারে বসে তৃণমূল যে কাটমানির মাসোহারা বন্দোবস্ত কায়েম করেছে এবং তার ফলেই সর্বত্র দুর্নীতিতে কাজ হচ্ছে তার ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখা দিয়েছে নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে মানুষের প্রাণহানিতে। বেআইনি নির্মাণ শুধু গার্ডেনরিচের একটা নয়,  তৃণমূল আসার পরে কলকাতা কর্পোরেশনে দুর্নীতি ব্যাপক হয়ে গেছে,  জলাভূমি বুজিয়ে বেআইনি নির্মাণ চলছে, পরিবেশ আইনের কোনও তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। কত সংখ্যায় বেআইনি নির্মাণ ঘটছে তা কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা থেকেই বোঝা যায়। প্রায় প্রতিদিন মানুষ অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছেন, অথচ সরকার ও পৌরসভা বেআইনি নির্মাণ দেখতে পাচ্ছে না।
গার্ডেনরিচের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ কি তদন্ত করবে?  যে পুলিশ স্বাধীনভাবে নিরপেক্ষ তদন্তই করতে পারে না, তারা কীভাবে বেআইনি নির্মাণের পিছনে কাদের হাত ছিল, কারা টাকা নিয়ে বেআইনি নির্মাণে সাহায্য করতো, কেন পৌরসভা থেকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সবাই চুপ করে বসে থাকতো সেগুলো খুঁজে বের করবে। এই পুলিশকে তো নিয়ন্ত্রণ করেন মমতা ব্যানার্জি। চিট ফান্ডের তথ্য লোপাটের অভিযোগে যে পুলিশ অফিসার অভিযুক্ত, যে পুলিশ অফিসারকে ইডি ডেকে পাঠিয়েছিল, সেই রাজীব কুমারকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নেমেছিলেন, কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদে বসিয়েছিলেন এবং তারপরে ডিজি পদে বসিয়েছিলেন। এদের ওপরে তো মানুষেরও ভরসা নেই, নির্বাচন কমিশনেরও নেই, তাই পদ থেকেই সরিয়েও দিয়েছে।
আমি যতদূর জানি, বরো এলাকায় কতগুলি বাড়ি হচ্ছে, এবং তার মধ্যে কটা বৈধ আর কটা অবৈধ তার তালিকা করা হয়। বরো বৈঠকে সেই তালিকা তুলে দেওয়া হয় কাউন্সিলরদের হাতে। তাই মেয়র যখন বলছেন, কাউন্সিলর কিছু জানেন না, তিনি কিছু জানেন না, এটা সর্বৈব মিথ্যা কথা। নিজের প্রিয় কাউন্সিলরকে বাঁচাতে মিথ্যা কথা বলছেন মেয়র।
গার্ডেনরিচ কাণ্ডে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তৃণমূলতন্ত্রের ফলে দুর্নীতি হলো, ১১ জন মানুষ প্রাণ হারালেন, কিন্তু গোটা দায়টা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড এবং বরো'র ইঞ্জিনিয়ারদের উপরে। মেয়র ভাবছেন এইভাবে তিনি সস্তা হাততালি পাবেন। সেটা তো হবেই না, বরং সমাজে ইঞ্জিনিয়ারদের সম্পর্কে একটা অনাস্থা তৈরি হবে। আগামীদিনে ইঞ্জিনিয়াররা যখন বেআইনি বাড়ি নির্মাণ  আটকাতে যাবেন, বা সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে যাবেন, তখন তাঁরা আক্রান্ত হবেন। একজন প্রশাসনিক প্রধান কর্মচারীদের জনসমক্ষে এইরকমভাবে হেয় করলে তাঁদের মনোবল নষ্ট হয়। আগামীদিনে কর্মচারীরা কোনও কাজ করার উদ্যোগী হবে না। ফিরহাদ হাকিম একেবারেই মেয়র সুলভ আচরণ করছেন না। ঘটনার দায়ভার অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নিজে বাঁচতে চাইছেন। এটা চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞান হীনতার পরিচয়।

আইন অনুযায়ী বেআইনি নির্মাণ আটকাতে কলকাতা কর্পোরেশনের কাছে যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। সততার সঙ্গে কাজ করলে সেই আইন দিয়ে বেআইনি নির্মাণ অনেকটাই আটকানো যায়। নিয়মটা কি? যখনই বেআইনি নির্মাণের খবর মিলবে,  আইনের ৪০৮ ধারায় সেই বাড়িতে নোটিস দিতে হবে। সম্পূর্ণ বেআইনি হলে এই ধারায় পুরো বাড়ি ভেঙে দিতে হবে। এই সংক্রান্ত বহু মামলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট ৪০৮ ধারার বৈধতা দিয়েছে। সমস্যা হলো, কর্পোরেশন বর্তমানে কাজ করছে না। শহরের ১৬টি বোরো'র প্রত্যেকটিতে তৃণমূলের বোরো চেয়ারপার্সনরা অফিসারদের একেবারে নিজেদের তাঁবে রেখেছেন। বোরো চেয়ারপার্সনরা যতক্ষণ না কিছু বলছেন, ততক্ষণ কোনও কাজ হবে না। এটা মারাত্মক ক্ষতিকারক বিষয়। এখন যদি প্রশাসন, বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়াররা বিক্ষোভ শুরু করে, কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে কর্পোরেশনের প্রশাসন। আমি তো দেখেছি, কিভাবে কলকাতা কর্পোরেশনের প্রশাসন কাজ করে। কত বড় বড় কাজ আমরা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে করেছি। আসলে তাঁদের ভরসা জোগাতে হয়, পাশে থাকতে হয়। নইলে প্রশাসন চালানো যায় না। ফিরহাদ হাকিম গোটা বিষয়টিকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি শুনেছি তিনি বলেছেন, অবৈধ নির্মাণ আটকানোর দায় থানার। থানার কোনও দায় নেই। মূল দায় কর্পোরেশনের। কর্পোরেশন সেটা কার্যকরী করতে থানার সাহায্য নিতে পারে।
মেয়র প্রশাসনিক সুরক্ষা নিয়ে, সাজগোজ করে ঘুরে বেড়াতে বেশি পছন্দ করেন কাজ করার থেকে। এই অপকর্ম ঠেকানোর জন্য কোন কাজটা কার্যকরী হবে, সেটা বাদ দিয়ে সবকিছু করেছেন তিনি। তাই দায় এড়াতে  কখনো ইঞ্জিনিয়ারের ঘাড়ে দোষ আবার কখনো থানার ঘাড়ে দোষ। তার ফলেই ২০১১ সালের পর থেকে কলকাতা শহরে বিপুলভাবে অবৈধ নির্মাণ বেড়েছে।
মেয়র সম্প্রতি  বলেছেন, তারা নাকি ৮০০'র বেশি অবৈধ নির্মাণ ভেঙেছে। কিন্তু এর কোনও তালিকা নেই। আমরা খবর পাচ্ছি, বহুক্ষেত্রে  ভেঙে দেওয়া নির্মাণের জায়গায় ফের বাড়ি উঠছে। স্বাভাবিক নিয়মে সেই বাড়ি উঠছে কাটমানি দিয়ে। কর্পোরেশনের কাউন্সিলর এবং আধিকারিকদের একটা অংশের মদতেই কিন্তু এটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গোটা প্রক্রিয়ায় একটা নেক্সাস কাজ করছে। তাই এর নিবিড় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এই তদন্ত রাজ্যের পুলিশ করতে পারবে না। কারণ মেয়র নিজেই তো একাধিকবার বেআইনি নির্মাণের দায় পুলিশের কাঁধে  চাপিয়েছেন। পুলিশ যুক্ত হওয়া মানে পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীরও যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। 
তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা কর্পোরেশন রেগুলারাইজ করার নামে অবৈধ নির্মাণকে ছাড়পত্র দিয়ে চলেছে। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, কোনোভাবেই অবৈধ বাড়িকে রেগুলারাইজ করা যাবে না। কোন ক্ষেত্রে রেগুলারাইজেশন হতে পারে? হয়তো সামান্য একটা ক্যান্টিলিভার বেরিয়ে রয়েছে, বা বিল্ডিং প্ল্যান থেকে সামান্য বিচ্যুতি ঘটেছে, সেইসব ক্ষেত্রে রেগুলারাইজেশন হতে পারে। কিন্তু তিন তলা বাড়ির ছাড়পত্র নিয়ে  ছয়তলা বাড়ি বানিয়ে সেটাকে রেগুলারাইজ করা অবৈধ। তৃণমূল সেটাই করছে। 
তৃণমূল ঠিকা  টেনেন্সি অ্যাক্ট-এ  বদল এনেছে। কিন্তু সেই আইন সরলীকরণ করতে গিয়ে এরা বেআইনি প্রোমোটারদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। কলকাতা শহরের বুকে, বস্তিবাসী গরিব মানুষের বাসস্থানের জমি ব্যবহার করে বেআইনি বাড়ি তৈরি হচ্ছে। ভাড়াটিয়াদের থাকতে দেব, এই যুক্তি খাড়া করা হচ্ছে। প্রোমোটারদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনিকভাবে ভয়ঙ্কর একটা অন্যায় করা হয়েছে। বিল্ডিং আইন না মেনে, বাড়ির সামনে কোনও ছাড় বাদ না রেখে, নিকৃষ্ট মানের মাল মশলা দিয়ে বাড়ি তৈরি হচ্ছে। পাঁচজন ভাড়াটিয়াকে ঘর দিয়ে, ২৫ জন থাকার ফ্ল্যাট বানিয়ে বিক্রি করছে। তৃণমূল এখন সেখান থেকে স্কোয়ার ফিট মেপে  কাটমানি  খাচ্ছে।

Comments :0

Login to leave a comment