কর্ণাটক সরকারকে পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী, বিবিএমপি জানিয়েছে, এর আগে সরকারের তরফে ৩৪৫ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছিল। সেই টাকায় ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৬৩টি লেক সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী, বৃহত্তর বেঙ্গালুরু শহরে ২০১টি লেক রয়েছে। এরমধ্যে চলতি বছরে ৬৯টি লেকের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে চাইছে বিবিএমপি।
বিবিএমপি’র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষে এই ৬৯টি লেকের পাশাপাশি আরও ৩৮টি লেক লেক স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর কাজ শুরু হবে। তার টেন্ডার প্রক্রিয়া কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে।
বিবিএমপি’র তরফে এই লেক বাঁচানোর উদ্যোগ নিয়ে যদিও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। বেঙ্গালুরু’র পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরেই শহরের ফুসফুস হিসেবে চিহ্নিত এই লেকগুলি অযত্নে পড়ে ছিল। বিবিএমপি’র তরফে রক্ষণাবেক্ষণের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তারফলে ২০১ থেকে কমে বর্তমানে বেঙ্গালুরু শহরের লেকের সংখ্যা ১৮২তে নেমে এসেছে। সরকারি রেকর্ডেও এই তথ্য উঠে এসেছে।
তাঁরা জানাচ্ছেন, গত ৩ থেকে ৪টি বর্ষায় ভয়াবহ জল জমার ছবি দেখেছে বেঙ্গালুরু। ২০২২ সালের আগস্টে প্রবল বর্ষণের ফলে বেঙ্গালুরু শহরে এক সপ্তাহের বেশি সময় জল জমে ছিল। এর মূল কারণ , শহরের জলাশয় এবং নালাগুলির যথাযত সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়া। জমা জলের সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে শহরের শ্রমজীবী মানুষের বাসতি গুলিতে। তারফলে বিজেপি পরিচালিত বিবিএমপি’র বিরুদ্ধে সারা শহরের মানুষ ক্ষোভ উগড়ে দেন। কতকটা চাপে পড়েই শহরের জলাশয় বাঁচাতে তৎপর হয়েছে বিবিএমপি।
ওয়াকিবহাল মহল জানাচ্ছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বেঙ্গালুরুতে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে ১০ মে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচনে দুই প্রতিপক্ষ কংগ্রেস এবং জনতা দল সেকুলারের কাছে কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে বিজেপি। পরিস্থিতি সামলাতেই পরিবেশ রক্ষায় ময়দানে নেমেছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে শেষবার কর্পোরেশন নির্বাচন হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। ১৯৮ আসনের কর্পোরেশনে বিজেপি ১০০ এবং কংগ্রেস ৭৬টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়। জনতা দল সেকুলার জয়ী হয় ১৪ আসনে।
Comments :0