VAKIL HASAN RAT MINER

‘হিরো’ শ্রমিকও নিও-লিবারেল উন্নয়নে ‘জিরো’

উত্তর সম্পাদকীয়​

বিপর্যস্ত ভাকিল হোসেন।

অর্ণব রায়
ভাকিল হোসেনের এখন ঘর নেই। ছিল। বিগত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালবেলাতেই কয়েক মিনিটের মধ্যে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর ঘর। ভাকিল তখন কাজে বেরিয়ে গিয়েছেন। এখন পরিবার সহ ভাকিল রাস্তায় দাঁড়িয়ে। এই কাজ করেছে দিল্লি ডেভলপমেন্ট অথরিটি, ‘উন্নয়ন’ হবে বলে। ভাকিল এক জন ভারতীয় নাগরিক। তা হোক, কিন্তু গরিব শ্রমিক যে! তাই রাষ্ট্রের কিছু আসে যায় না। এ তো কোনও ‘সেলেব্রিটি’র ঘর নয়। কোনও ধনী, উচ্চবিত্ত, এমনকী মধ্যবিত্তরও ঘর নয়। তাদের ঘর হঠাৎ ভাঙতে গেলে বেশি-কম দম লাগে। তারা প্রশাসনে যাবে, কোর্টে যাবে, মিডিয়ায় যাবে। ভাকিলের সেই সময় নেই, সেই সঙ্গতি নেই, সেই স্বর নেই।‌ দু’বেলা পরিবারের জন্য খাবার যোগাড় করতেই সময় চলে যায়। যদিও আইনের চোখে তার পূর্ণ অধিকার আছে প্রতিবাদ করার, কিন্তু আইন গরিবের জন্য নয় এমন ব্যবস্থায়— তা ভাকিল জানে। তা ছাড়া এত প্রবল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একা যাওয়ার সেই সাহসও ভাকিলের নেই। তাই ভাকিল চোখের জল ফেলেছেন শুধু।
অথচ বেশি দিন আগে নয়। মাত্র তিন মাস আগে ভাকিল হয়েছিল ‘ন্যাশনাল হিরো’। ২৯ নভেম্বরে দেশের সব কাগজে তাঁর ছবি, টিভিতে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই, সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তাঁর সাফল্য। রাজধানীতে জাঁকজমক করে তাঁকে এবং তাঁর টিমের প্রত্যেককে মিডিয়া ডেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নেতারা পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। উত্তরকাশীর সিলিকায়ারায় ৪১ জন শ্রমিকের জীবন বাঁচানোর জন্য, সরকারের মুখ রক্ষার জন্য। সেখানে ১৭ দিন ধরে সেই শ্রমিকরা মৃত্যুগহ্বরে আটকে ছিলেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাধের চারধাম প্রকল্পে সড়ক নির্মাণে ভূপ্রকৃতি, পরিবেশের অবৈজ্ঞানিক ও ইকোসিস্টেম-বিরোধী পরিবর্তনের সুদূরপ্রসারী পরিণামের তোয়াক্কা না করে পাহাড়ের ভিতরে দীর্ঘ সুড়ঙ্গ নির্মাণ চলছিল। তাতে উত্তরকাশীর সিলিকিয়ারায় পাহাড়ে ধস নামে। আটকে পড়েন শ্রমিকরা। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টায় কিছু দূর এগলেও শেষরক্ষা হয় না। ‘ড্রিল’ মেশিন অগার ভেঙে যায়। সেই আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবার উদ্বেগে আশঙ্কায় প্রায় নিদ্রাহীন দিন কাটাতে থাকেন। অবশেষে ‘র্যা ট মাইনার্স’ বলে পরিচিত ভাকিলদের ডাক পড়ে। তাঁরা ১২ জন আসেন, তাঁদের টিম লিডার ভাকিল হোসেন। তাঁরা খনি শ্রমিক। জানেন ভাকিলরা, এমন আটকে পড় শ্রমিকদের জীবন-মৃত্যুর মাঝে জীবন্মৃত হয়ে থাকার যন্ত্রণা। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে, সরু পাইপের মধ্যে একে একে ঢুকে, অক্সিজেন ঘাটতির সতর্কতায় পিঠে ‘ব্লোয়ার’ বেঁধে, হাতের বেলচা দিয়ে খনন করতে করতে এবং তার পাথর-মাটি সরাতে সরাতে ভাকিলরা এগতে থাকেন ইঞ্চি ইঞ্চি করে। বিশেষ দক্ষতা না থাকলে একাজ করা তো দূর অস্ত, একাজে নামার দুঃসাহসই কেউ দেখাতে যাবেন না। সেই ক্রুদ্ধ প্রকৃতির সঙ্গে যুঝে র্যাসট বা ইঁদুরের মতো গর্ত তৈরি করে ধস-বন্দি শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁরা সফল হন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানেন, অদম্য জেদে একে অপরকে জড়িয়ে তাঁরা এত দিন ধরে বেঁচে আছেন সবাই। তারপর এক এক করে ৪১ জন শ্রমিককেই মুক্ত আকাশের নিচে নিয়ে আসা । মৃত্যুর হাত ছুঁয়ে জীবনের দ্বারে ফিরে আসা শ্রমিকদের এবং দূরে তাঁদের পরিবারদের চোখ বেয়ে আনন্দের অশ্রু নেমে আসে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য একবারও যাওয়ার সময় পাননি, বহু খরচ করে তাঁর জন্য কেনা বিশেষ বিলাসী আধুনিক বিদেশি বিমান যদিও প্রস্তুত ছিল। মহাদরদী উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার ভাকিল হোসেনদের টিমের প্রত্যেকের জন্য মাত্র ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করে। দেশের ক্রিকেট টিমের কোনও খেলোয়াড় ভাল খেলে ম্যাচ জেতালে কোটি টাকার পুরস্কারের বন্যা বয়ে যায়। কিন্তু এখানে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। ভাকিলরা সেই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, আটকে থাকা শ্রমিকদের দিয়ে দিতে, ওদের শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজনে। 
সেই ভাকিলের ঘর যখন গুঁড়িয়ে দিল সরকার, তখন ভাকিলের স্ত্রীও বাড়ি ছিলেন না। শুধু তাঁদের তিন ছোট ছেলেমেয়ে বা‍‌ড়িতে ছিল। ভাকিলকে নোটিশ দেওয়া হয়নি আগে। অভিযোগ, অধিগৃহীত জমিতে বাড়ি ছিল, নোটিশ পাওয়ার অধিকার আছে না কি! অভিযোগ যদি সত্যিও হয়, তাহলেও তো এটা সাধারণ জ্ঞান যে, অধিগ্রহণহীন জমিতে বাড়ি করার সঙ্গতি থাকলে কেউ অধিগৃহীত জমিতে বাড়ি বানায় না। এক স্বাধীন দেশের সরকারের কর্তাব্যক্তিরা খোদ রাজধানীর বুকে বসেই সেটুকু বোধও হারিয়ে ফেলেছেন। ভাকিল জানিয়েছেন, তাঁদের এই বাসস্থান উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে এক ‘রেগুলার কলোনি’ হিসাবে স্বীকৃত। তাহলে বেআইনি দখলের প্রশ্ন আসছে কেন? উত্তর মেলেনি। দেশের দরিদ্র মানুষরা, যাঁরা জীবিকার জন্য বিভিন্ন শহরে যেতে বাধ্য হন, তাঁরা এভাবেই মাথা গোঁজেন শহরের পরিধিতে। ভারতের শেষ প্রকাশিত জনগণনা, ২০১১’র ভিত্তিতে দেশে ১ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষের বাসস্থান বলে কিছু নেই। তার মধ্যে ৯৫ শতাংশ গৃহহীন মানুষই দরিদ্র ছিলেন। ‘ইণ্ডিয়ান কাউন্সিল ফর রিসার্চ অন ইন্টারন্যশনাল ইকনমিক রিলেশনস’-এর সমীক্ষা বলছে, ‘আরবান হাউসিং’ বা নগর-আবাসনের ঘাটতি ২০১২ সালে ১ কোটি ৮৭ লক্ষ থেকে ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ কোটি ৯০ লক্ষ হয়েছে। দিল্লি সরকারের ২০২০-২১ সালে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৬৭ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ স্বল্প আয়ের ‘সেটেলমেন্ট’ বা বসতিতে থাকেন, যার মধ্যে রয়েছে ৬৯৫টি বস্তি, ১৭৯৭টি উদ্বাস্তু-কলোনি, ৩৬২টি ‘আরবান ভিলেজ’ বা শহুরে গ্রাম। অটোচালক, নির্মাণ শ্রমিক, রাস্তার ধারে ছোট্ট কিয়স্কের দোকানদার প্রমুখ সেই সমীক্ষায় জানিয়েছেন, তাঁদের গোটা জীবনই কাটল দিল্লিতে, কিন্তু এর চেয়ে ভাল ঘর জোগাড় করা তাঁদের সাধ্যের বাইরে। ভারতে দশ লক্ষাধিক নাগরিকের বসবাস, এমন বড় শহরগুলিতে ১ কোটি ৩৭ লক্ষ বস্তিতে ৬ কোটি ৫৫ লক্ষ মানুষ বাস করেন। সরকারের কম দামে বাড়ি তৈরির অত্যন্ত ধীর গতি, জমির স্বল্পতা, চটজলদি ও বিপুল  মুনাফার স্বার্থে ধনী-উচ্চবিত্তদের জন্য বিলাসবহুল আবাসন গড়ার বর্ধিত উদ্যোগ, ধ্বংস ও উচ্ছেদের উদ্যোগের প্রভূত বৃদ্ধিতে গোটা দেশে সব মেট্রো শহরেই বিশেষত গরিব ও নিম্নবিত্তদের আবাসন সমস্যা এখন গুরুতর আকার নিচ্ছে। 
ভাকিল হোসেন আর তাঁর স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে, তাঁদের তিন শিশু সন্তানকে ঘর থেকে ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করে দিয়ে ঘর ভাঙা হলো। তাতে শিশুমনকে আতঙ্কগ্রস্ত করা হ‍‌লো। তার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হৃদয়হীন প্রশাসক তথা প্রকল্প আধিকারিকরা জানেন, তাঁরা কোনও শাস্তির সম্মুখীন হবেন না। কারণ, তাঁরা বোধবুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে চলতি হাওয়ার পালে ভিড়েছেন। আগে বিকল্প ঘর দিয়ে তারপর তাঁর ঘর ভাঙা হলো না কেন, সে প্রশ্ন করে কে? মেইন স্ট্রিম মিডিয়া বা মূল স্রোতের সংবাদ মাধ্যমের কত কাজ! কিংবা বলা যায়, মূল স্রোতের সংবাদ মাধ্যমের কাজ কি কম পড়িয়াছে? দিল্লির ইঞ্জিনিয়ার-মুখ্যমন্ত্রী সেই সময়ে হয়ত ব্যস্ত থেকেছেন তাঁর প্রিয় হনুমান চালিশা পাঠে।‌ শ্রমিকের ঘর অদৃশ্য করে দিলে তাঁর দেবতা হনুমান রেগে যাবেন, এমন কোনও কথা তিনি সেখানে খুঁজে পাননি। তাই তিনি নির্লিপ্ত ছিলেন এবং আছেন। ভাকিল খবর পেয়ে ছুটে গেলে তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, তাঁর ফোন আটকে রাখা হয়।‌ দিল্লি শহরের এক প্রান্তে ১২ বছর আগে কোনওক্রমে তৈরি করা ভাকিলের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুকে নিও-লিবারেল, উদ্ধত, দয়ামায়াহীন উন্নয়ন-যজ্ঞে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার আগে কোনও বিকল্প ঘর দেওয়ার কথা বোধহয় ভাবেননি নগরবিশারদরাও। এমনকী কোনও ঘর ভাড়া নিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সময়ও ভাকিলদেরকে দেওয়া হয়নি। নগর বাড়বে, সম্প্রসারিত হবে, গোছানো হবে, তাতে নিও-লিবারেল পুঁজির বাজার আরও জমে উঠবে ।‌ তাই ভাকিল হোসেনদের আশ্রয়হীনতার কথা ভাবতে বয়েই গিয়েছে রাষ্ট্রের আর তার পাত্য-অমাত্যদের। স্থানীয় বিজেপি'র সাংসদ অবশ্য বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস-যোজনায় তাঁকে ঘর দেওয়া হবে। কোথায় দেওয়া হবে, তা কিন্তু বলেননি। এমন সপরিবারে কেন ভাকিল ও অন্যান্যদেরকে রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হলো, তার উত্তর দেওয়ার দায়ও অনুভব করেননি সংসদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।‌
প্রায় এক সহস্রাব্দ আগে পুঁজিবাদ যখন গড়ে উঠছে, তখন পুঁজির আদিম সঞ্চয়ন এবং তার নৃশংসতার ইতিহাস উল্লেখ করেছিলেন কার্ল মার্কস। উনবিংশ শতাব্দীতে পুঁজিবাদের সদর দপ্তর ইংল্যান্ডের লন্ডনের প্রান্তে শ্রমিকরা তাঁদের মহল্লায় কত কষ্টে কোনওরকমে মাথা গুঁজে থাকেন, সেই চোখে দেখা অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন এঙ্গেলস। তারপর টেমস, মিসিসিপি, ভলগা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। সোভিয়েত এবং অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের প্রবল জনপ্রিয়তায় সমাজ কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ার কথা বলতে হয়েছে, কিছু সংস্কারমূলক উদ্যোগও নিতে হয়েছে শক্তিশালী পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলিকে। গণতন্ত্র, ব্যক্তিস্বাধীনতা, মানবাধিকার, নাগরিক সমাজ, সমতা, বাসস্থান সহ অন্যান্য মৌলিক অধিকারবোধ প্রভৃতির ধারণা কিছুটা বিকশিত হয়েছে। ‘ধ্রুপদী’ পুঁজিবাদ কিছু ভদ্রস্থ জামাকাপড়ও পরেছে। কিন্তু সোভিয়েতের বিদায় পুঁজিবাদকে সেই চাপ থেকে মুক্ত করেছে এবং আজকের পুঁজিবাদ নিও-লিবারেল কর্মসূচীতে আবার নগন হয়ে পড়ছে। তাই ভাকিল হোসেনদের মতো ‘হিরো’ শ্রমিকদের ঘর মুহূর্তের মধ্যে ভাঙতে অমানবিক, হিংস্র হয়ে উঠতে নিও-লিবারেল পুঁজির বিন্দুমাত্র দ্বিধা হয় না। ভাকিল হোসেনের নেতৃত্বে টিম আটকে পড়া যে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে প্রাণ বাজি রেখেছিল, তাঁরাও তো অত্যাচারের শিকার। হিমালয়ের ভঙ্গুর মাটিতে ওই ধরনের প্রকল্প অবাস্তব, গা-জোয়ারি, বিপর্যয়কর। প্রতিদিন অজস্র বিভিন্ন রকমের অত্যাচার চালানো হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষদের উপর। পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালি তারই আরেক কুৎসিত রূপ। ফিনান্স ক্যাপিটাল বা লগ্নি পুঁজি, ফাটকা পুঁজি, লুম্পেন পুঁজি প্রতিনিয়ত আক্রমণ নামিয়ে আনছে সাধারণ মানুষের উপর, নানা কৌশলে। আর তা আড়াল করতে শাসকশ্রেণী সংগঠিত করছে মৌলবাদ, উগ্রজাতীয়তা, সাম্প্রদায়িকতা, পরিচিতি সত্তা, অনুদান-নির্ভরতা, উত্তর-সত্য প্রভৃতির জোয়ার।
রবীন্দ্রনাথের ‘সামান্য ক্ষতি’ কাব্যে নিজের আমোদপ্রমোদের নেশায় রানি বহু প্রজার জীর্ণ কুটীরে আগুন লাগিয়ে উল্লসিত হয়েছিলেন। রাজা কঠিন শাস্তি দিয়েছিলেন, দুয়ারে ভিক্ষা করে সেই অর্থ দিয়ে আগুনে পোড়ানো প্রজাদের ঘরগুলি পুনরায় তৈরি করে দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন রানিকে। কিন্তু কঠোর, নিষ্করুণ নিও-লিবারেল পুঁজিবাদের বাস্তবে সে রাজাও মেলে না।‌ তবু  বাঁচতে হলে, নিও-লিবারেল পুঁজির মালিকশ্রেণী এবং তাদের পাহারাদার  শাসকদের অজস্র অত্যাচারের বিরুদ্ধে  শ্রমজীবী মানুষদেরই আঙুল তুলতে হবে এক হয়ে, স্পর্ধিত সাহসে। এ ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই।‌ যেমন তুলেছে সন্দেশখালি— অন্য ফর্মে বা আঙ্গিকে, অন্য রূপে, অন্য চেহারায়, অন্য আঙিনায়।

Comments :0

Login to leave a comment