কলকাতা কর্পোরেশনের বিরোধী কাউন্সিলরা নিজেদের এলাকায় কাজ করতে পারছেন না। তাঁদের সঙ্গে অসহযোগিতা করা হচ্ছে। অপরদিকে সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পরে তৃণমূল কাউন্সিলররা বাজেট অধিবেশনে হাজির থাকার প্রয়োজন বোধ করেন না। মঙ্গলবার কলকাতা কর্পোরেশনের বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন। সেই দিনের আলোচনায় এমন চিত্রই উঠে এল।
মঙ্গলবার অধিবেশনের প্রথমার্ধে বাজেটের উপর বক্তব্য রাখেন ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক। তিনি অভিযোগ করেন, বরোর চেয়ারম্যান ৬ মাস আগে ওয়ার্ড অফিস এবং হেলথ অফিস খালি করিয়ে দিয়েছেন। এরফলে নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন একটা বড় অংশের মানুষ। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে পরিশ্রুত পানীয় জল পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। কর্পোরেশনের নল থেকে নোংরা জল বেরোচ্ছে। স্থায়ী কর্মীদের একটা বড় অংশ অবসর গ্রহণ করেছেন। তাঁদের জায়গায় নতুন কর্মী নিয়োগ হয়নি। চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং ১০০ দিনের শ্রমিকদের সংখ্যাতেও ঘাটতি থাকছে। তারফলে জঞ্জাল নিষ্কাশন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওয়ার্ডের মানুষ।
সন্তোষ পাঠক অভিযোগ করেন, কেবলমাত্র বিরোধী দলের কাউন্সিলরকে নির্বাচিত করার জন্য শাস্তি দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ডের মানুষকে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাংসদ তহবিল থেকেও সাহায্য মেলেনা।
এর উল্টোদিকে প্রায় ১৫ শতাংশ তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপস্থিত ছিলেন বাজেট অধিবেশনে। বাধ্য হয়ে উইপ জারি করেন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। কারণ, কোরাম বা পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য অধিবেশনে উপস্থিত না থাকলে অধিবেশন বাতিল হয়ে যেতে পারে।
Comments :0