Strike Jiaul Alam

পুলিশের হুজ্জুতি-বিক্ষোভ, ধর্মঘটের গুরুতর প্রভাব পড়েছে, বললেন আলম

রাজ্য জেলা

কাঁথিতে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল থেকে মহিলাদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।

সারা রাজ্যে পাঁচশোর ওপর জায়গায় তৃণমূল এবং বিজেপি সঙ্গে জনসংঘর্ষ চালিয়ে ধর্মঘট করেছেন শ্রমজীবীরা। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ডাকা ধর্মঘট ভাঙতে পুলিশ এবং তৃণমূলের বাহিনী নামিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। 
বুধবার এন্টালিতে ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের কেন্দ্রীয় মিছিল থেকে একথা বলেছেন সিআইটিইউ রাজ্য সম্পাদক জিয়াউল আলম। তিনি বলেছেন, ‘‘শ্রমিক কর্মচারীরা প্রতিরোধ গড়েছেন সর্বত্র। 
সারা রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবহণ সহ ব্যাঙ্ক-বিমা-সরকারি দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ছে ধর্মঘটের। 
এদিন মালদহের চাঁচলে টেনে হিঁচড়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সিআইটিইউ কর্মীদের। এলআইসি দপ্তরে পিকেটিং করতে গেলে পুলিশ গ্রেপ্তার করে সিআইটিইউ-র জেলা কার্যকরী সভাপতি মানওয়ারুল আলমকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিল্পী কুন্ডু ও আনসার আলিকে। এঁদের পুলিশ কলার ধরে টেনে ভ্যানে তুলেছে।
কাঁথিতে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় সিপিআই(এম) নেতা হিমাংশু দাস সহ পাঁচজনকে। তাঁদের মুক্তির দাবিতে কাঁথি থানার সামনে পথ অবরোধ হয়। এসডিও অফিস থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক, এলআইসি দপ্তরে যায় মিছিল। কর্মচারীরা বেরিয়ে এসে ধর্মঘটের সমর্থনে স্লোগান দিয়েছেন। 
কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ, পিকেটিং হয়েছে। পোস্তায় মুটিয়া, মজদুররা রাস্তা অবরোধ করেন। লেক মলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সিআইটিইউ কর্মীদের।  
মেদিনীপুর শহরের মেদিনীপুর শহরের কেরানীতলা চৌমাথার মোড়ে যাত্রীবিহীন থেকেছে সরকারি বাস। বেলা বারোটাতেও খোলেনি মেদিনীপুর কলেজের গেট। শেষ পর্যন্ত গেট খোলে আইসি সহ পুলিশ বাহিনী। ক্যাম্পাসের ভেতর তখন জনমানব শূন্য থেকেছে। 
কোনো ক্লাস রুম খোলেনি।
পিকেটিং থেকে জলপাইগুড়ির সিপিআই (এম) মাল এরিয়া কমিটির সম্পাদক রাজা দত্ত ও তেসিমলা থেকে সুশীল রায় সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে  পুলিশ। তাঁদেরদের মুক্তির দাবিতে বামপন্থী সমর্থকরা মাল থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। 
কোচবিহারে বেলা এগারোটা পর্যন্ত সিপিআই(এম)’র সমর্থক ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বামপন্থী দলগুলির সমর্থক ও কর্মীদেরও। মোট ৮৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্যে মহিলারাও রয়েছেন। 
আলিপুরদুয়ার জেলাতেও পুলিশ গ্রেপ্তার করা হয় বামপন্থী ৩৬ কর্মীকে। দর্মঘটের সমর্থনে পিকেটিং করছিলেন তাঁরা। 
এদিন সকালের দিকে সুনসান থেকে শ্রীরামপুরের হকার্স কর্নার। 
জিয়াউল আলম বলেছেন, মোদী সরকার দেশ বিক্রির পাশাপাশি শ্রমজীবীর মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করছে। শ্রমজীবীর অধিকার কেড়ে নেওয়ার তৎপরতা দেখাচ্ছে। তা থেকে তিনি পিছু হটতে হবে। সারা দেশে ধর্মঘটের প্রভাব থেকে স্পষ্ট জনতা মোদী সরকারের এই ভূমিকা মেনে নিচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতির জোট।

Comments :0

Login to leave a comment