Gefneral Strike

ধর্মঘটের প্রভাব সর্বাত্মক, গ্রেপ্তার বহু

রাজ্য জেলা

ধর্মঘটের প্রভাব দেখা যাচ্ছে রাজ্যের সমস্ত জেলায়। বুধবার সকাল থেকে রাস্তায় নেমে পড়েছেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। 

আলিপুরদুয়ারে রাস্তা অবরোধ করে সরকারি বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। সকাল থেকে ওই জেলায় দোকান বাজার বন্ধ, শুনসান রাস্তাঘাট। 

ধর্মঘট রুখতে সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ অতি সক্রিয়। জোরকরে বনধ সমর্থনকারীদের পুলিশ সরিয়ে দিচ্ছে। আবার কোথাও ধরপাকড় করছে। 

ইসলামপুরেও বুধবার সকাল থেকে বনধের সমর্থনে পথে নামে বামফ্রন্ট কর্মীরা। এদিন সকালেই শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে অবরোধ করেন। এদিন সকাল থেকেই বন্ধের প্রভাব পড়েছে ইসলামপুর শহরে। চৌরঙ্গী মোড় থেকে পুলিশ বনধের সমর্থকদের হটিয়ে দিতে বল প্রয়োগ করে। বনধ সমর্থকরা রাস্তায় শুয়ে পড়লে ইসলামপুর থানার আইসি হীরক বিশ্বাসের নেতৃত্বে তাদের জোর করে তুলে দেওয়া হয়।

কেন্দ্রের শ্রম কোড বাতিলসহ মানুষের জনজীবনের ১৭ দফা দাবিতে এদিন বামেদের সাথে যোগ দেয় কংগ্রেস, শিক্ষক, শ্রমজীবী মানুষ।

সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে কাঁথিতে। বন্ধকে সমর্থন করেতে কাঁথিতে সকাল থেকে তো রুপশ্রী বাইপাসে ১১৬ বি জাতীয় সড়কে রাস্তা অবরোধ যান চলাচল আটকে যায়। কাঁথি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাংক ও দোকানগুলোতে পিকেটিং শুরু করেছে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের গণসংগঠন। সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে গাড়ি। রাস্তায় বসে পড়েছে বন্ধ সমর্থকরা। নেতৃত্ব দিচ্ছেন খেতমজুর ইউনিয়ন রাজ্য নেতৃত্ব হিমাংশু দাস , শ্রমিক নেতা কানাই মুখার্জী ,জয়দেব পন্ডা,মহিলা নেত্রী ভবানী বেরা ,দীপক প্রধান। ১৭ দফা দাবির ভিত্তিতে রুপশ্রী বাইপাসে মিছিল সমানে চলছে। পুলিশ অবস্থানকারীদের হঠাতে চাইলে বসচা শুরু হয়। মহিলা পুলিশ ধর্মঘটী মহিলাদের উপর আক্রমণ চালায়। ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য নেতৃত্ব হিমাংশু দাস সঞ্জিত রঞ্জন দাস সহ হিমাদ্রি মাইতি সহ পাঁচজনকে পুলিশ তাদের গাড়িতে তোলে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।‌ কাঁথিতে ১১৬ এর বি জাতীয় সড়ক পুলিশ জোর করে নটা কুড়ি নাগাদ অবরোধ উঠিয়ে দেয়। মিছিল গোটা শহর পরিক্রমা করছে। মিছিলের কিছু অংশ থানায় নেতৃত্বদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।

কাটোয়া ব্যান্ডেল লাইনের সমুদ্রগড় স্টেশনে ধর্মঘটের সমর্থনে রেল অবরোধ শুরু হয়েছে সকাল থেকে।

বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের কর্মীরা এদিন সকাল থেকে আরামবাগ-কলকাতা রাজ্য সড়কে পথ অবরোধ করে।

ধর্মঘটীরা বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

মেদিনীপুর শহরের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের সামনে বার্জটাউন। সরকারী বাসে সাদা পোশাকের পুলিশ। বুকে ক্যামেরা। সড়ক রাস্তায় ধর্মঘটের পিকেটিং এর সময়  বাস থেকে নেমেই ধর্মঘটীদের টেনে  হিঁচড়ে  আটক করে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে যায়। 

ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় নেমে জলপাইগুড়ির ১৫  জন ছাত্র যুবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দিয়া সাহা, লিপি ভৌমিক, স্নেহা দত্ত ,আয়ুসমিতা সেন, পঞ্চম ঘোষ, অর্নব সরকার, উজ্জ্বল সাহা, বেদব্রত ঘোষ, সুবায়ূ পাল, সান্নিধ্য চক্রবর্তী, দেবরাজ বর্মন , নিলাঞ্জন নিয়োগী , সাগর ভৌমিক , পাপাই মহম্মদ, সুদীপ দত্ত।

রায়গঞ্জে ট্রেন বন্ধ। লাইনের উপর ধর্মঘটের সমর্থকরা। দেশের সরকারি সম্পত্তি বিক্রির প্রতিবাদে আওয়াজ তুলতেই রাজ্য পুলিশ ও আরপিএফ ঘিরে ফেলেছে ধর্মঘট সমর্থকদের।

রায়গঞ্জের রাস্তা থেকে ১৬ জন সিপিআই ষ(এম) কর্মী সমর্থকদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছেন পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য উত্তম পাল, জেলা সদস্য প্রদ্যোত নারায়ণ ঘোষ, সিআইটিইউ জেলা সভাপতি রঞ্জন দাস, যুব সম্পাদক ইন্দ্রজিত বর্মন সহ অনেকে।

প্রসঙ্গত ডিএসপি হেড কোয়াটার রোহন ভৌমিক সকাল থেকেই সিপিআই(এম) কে ওকেথ্য ভাষায় গালাগালি দিয়েই চলছে। রাস্তায় মিছিল করতে বাধা দিতেই মোহনবাটিতে প্ররোচনা সৃষ্টি করে ডি এস পি হেড কোয়াটার। উত্তেজনায় সবাই কে গ্রেপ্তার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

ধর্মঘটকে সফল করতে বি টি রোড প্রবর্তক জুটমিলের মুখে আন্দোলনকারীরা। অচল করে দেয় রাস্তা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কিছুটা বসচা শুরু হয় গাড়ি চালকদের।

ভদ্রেশ্বরে শ্যামনগর নর্থ জুটমিলে ধর্মঘট সর্বাত্মক।

 

Comments :0

Login to leave a comment