বারবার বলেছেন শ্রমিক-কর্মচারীদের। বলেছেন সাধারণ মানুষকে। বলেছেন, ধর্মঘটের অধিকার কারও হাতে ছেড়ে দেবেন না।
শ্রমিক আন্দোলনের নেতা, কিংবদন্তী কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসুর ১১২-তম জন্মদিবস পালিত হচ্ছে তাঁরই দেওয়া সেই বার্তাকে স্মরণ করে।
মঙ্গলবার জননেতা জ্যোতি বসুর জন্মদিবসে রক্তদান হয়েছে প্রমোদ দাশগুপ্ত মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে। উদ্বোধন করেছেন বামফ্রন্টের সভাপতি এবং প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা বিমান বসু। ছিলেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম, কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদারও। বিভিন্ন জেলায় স্মরণ করা হচ্ছে জ্যোতি বসুকে।
বুধবার সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ১০ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং কর্মচারী ফেডারেশনের জাতীয় মঞ্চ। মুখ্য দাবি, কেন্দ্রের শ্রম কোড। যেখানে ধর্মঘটের অধিকার তো বটেই, কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে ব্রিটিশের সঙ্গে যুদ্ধ করে আদায় করা সংগঠিত শ্রমিক আন্দোলন করার অধিকার।
এ রাজ্যে মমতা ব্যানার্জিত নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার প্রতিবারের মতো ধর্মঘটকে বানচাল করতে একের পর এক নির্দেশিকা জারি করছে। সোমবারই সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে জারি হয়েছে সার্কুলার।
মঙ্গলবার রাজ্যের শ্রম দপ্তর পরিবহণ ক্ষেত্রকে ধর্মঘটে যোগ দেওয়া থেকে বিরত করতে জারি করেছে নির্দেশিকা। এমনকি মেট্রো রেল সহ কেন্দ্রের রেলের বিভিন্ন বিভাগকে দেওয়া হয়েছে বার্তা। নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা ব্যানার্জির যৌথ প্রয়াসের বিরুদ্ধেই লড়াই জারি রাখার বার্তা দিয়েছেন শ্রমজীবীরা।
এদিন মালদহে পালিত হয়েছে সম্প্রীতি দিবসও। সিআইটিইউ পালন করেছে জ্যোতি বসুর জন্মদিবস। আবার সিপিআই(এম) জেলা দপ্তরে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
Jyoti Basu and Strike
ধর্মঘটের অধিকারের সেই বার্তায় জননেতাকে স্মরণ মহাসংগ্রামের মুখে

×
Comments :0