মাঝরাতে বৃষ্টির সময় গরীব মানুষের মাটির ঘরটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন পরিবারের ৬ জন মানুষ। ঘর ভেঙে পড়ার শব্দ শুনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরা দেখতে পান ভাঙা মাটির ঘরের মধ্যেই আটকে পরেছেন পুরো পরিবারটি। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করেন স্থানীয়রাই। ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের শ্যামগঞ্জ গ্রামে। ভেঙে পড়েছে নূর মহম্মদ আলীর ঘরটি। এখন আশ্রয়হীন পরিবারটি। ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র ভেঙে পড়া ঘরের মধ্যেই মাটির দেওয়াল চাপা পড়া। আবাস যোজনার বঞ্চনার কারণে বছরের পর বছর এমন দূর্বল মাটির ঘরেই বাস ফেরি করে সংসার চালান পরিবারটির। পুরো পরিবার নিয়ে এখন প্রতিবেশীদের উঠানই ভরসা নূর মহম্মদ আলীর। এই নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে পরপর তিন দিনে ১১টি ঘর ভেঙে পড়লো। মৃত্যু হয় একজনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন জন চিকিৎসাধীন। আহত হয় নয়জন।
ভুক্তভোগী পরিবারের বক্তব্য, ‘‘বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও মেলেনি আবাস যোজনার বাড়ি। চোখের সামনে দেখলাম হুড়মুড়িয়ে সব ভেঙে পড়ল। বৃষ্টির জলে মাটির তলায় নষ্ট হয়ে গেছে পোশাক সহ সবকিছু। নেই রান্না করে খাবর মতো উপকরণ। এখনো পর্যন্ত প্রসাশনের কেউ ঘটনাস্থলে আসেনি। কোনো সাহায্যও পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা খাবার দিচ্ছেন তাই খাচ্ছি। এর পর কোথায় থাকবো, কী খাবো ভেবে কূল পাচ্ছি না।
Comments :0