বিশ্বকাপের চলতি কুসংষ্কার হল, গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নেয়। ২০২২ বিশ্বকাপে সেই সংষ্কারকে ভুল প্রমাণিত করতে বদ্ধপরিকর হয়ে উঠেছে ফ্রান্স। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে কার্যত দুরমুশ করেন এমবাপ্পেরা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্কের মুখোমুখি তাঁরা। কোন কোন খেলোয়াড়ের থেকে নজর ফেরানো যাবে না? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
গ্রিজম্যান: প্রথম ম্যাচে গোল না পেলেও গোটা দলের নিউক্লিয়াসের ভূমিকা পালন করেন গ্রিজম্যান। কখনও ডানদিক, তো কখনও বাঁদিক- সারা মাঠ জুড়ে খেলা তৈরি করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে তাঁর বাড়ানো বল থেকে প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন এমবাপ্পে। ম্যাচেও তাঁর দিকে নজর থাকবে ফুটবল বিশ্বের।
অলিভার জিরু: করিম বেঞ্জিমা দলে থাকলে হয়ত মাঠে নামার সুযোগই পেতেন না ৩৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। তাঁকে দলে রাখায় ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁকে কম সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়নি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে জোড়া গোল করে আপাতত সমালোচকদের মুখ বন্ধ করিয়ে দিয়েছেন জিরু। ডেনমার্ক ম্যাচে তাঁর দিকে নজর রাখতেই হবে।
কিলিয়ান এমবাপ্পে: ফ্রান্স এবারেও কাপ জিতবে কিনা, তা অনেকটাই নির্ভর করছে এমবাপ্পের ফর্মের উপর। যদিও প্রথম ম্যাচে একবারের জন্যও হতাশ করেননি তিনি। নিজে একটি গোল করার পাশাপাশি জিরুকে দিয়ে করিয়েছেন আরও একটি গোল। তাঁর চোরা গতি এবারের বিশ্বকাপে ফ্রান্সের অন্যতম প্রধান অস্ত্র।
আদ্রিয়ান রাবিও: থিও হার্নান্দেজের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছিলেন মাঝমাঠের এই খেলোয়াড়টি। দলের দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন জুভেন্টাসের এই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। মাঝমাঠে বল কেড়ে তিনি বাঁদিক থেকে পাস বাড়িয়েছিলেন জিরুর উদ্দেশ্যে। সেই পাসে পা ঠেকিয়ে গোল করেন জিরু। রাবিও মাঝমাঠে কার্যকরী হলে এবারের বিশ্বকাপে বহু দল চাপে পড়তে চলেছে।
থিও হার্নান্দেজ: বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ জিতেছে ফ্রান্স। প্রথম গোল এসেছে তাঁর ক্রস থেকে। আজকের ম্যাচেও কি দেখা মিলবে গোলের ঠিকানা লেখা পাসের? আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা।
উসমানে দেম্বেলে: তাঁর বাড়ানো প্রায় ১০০ শতাংশ নিঁখুত সেন্টার থেকে গোল করেন এমবাপ্পে। বার্সেলোনার এই উইঙ্গারটির দিকে নজর রাখতেই হবে আজকের ম্যাচে।
Comments :0