পরের রাউণ্ডে যেতে গেলে এই ম্যাচ জিততেই হত জার্মানিকে। তারা জিতল কিন্তু তাও সম্ভব হল না। কারণ, অন্য ম্যাচে স্পেনকে জাপান ২-১ গোলে হারায় ফলে গোলপার্থক্যের হিসেবে জার্মানি পারেনি। যদিও এই ম্যাচে প্রথম থেকেই চাপ বজায় রাখে জার্মানরা।
প্রথমার্ধেই বেশ কয়েকটি কর্নার পায় জার্মানি যদিও সেগুলি কাজে লাগাতে পারেনি তারা। থমাস মুলার এবং গ্যানব্রি কিছু সহজ সুযোগও নষ্ট করেন। ম্যাচের ঠিক ১০ মিনিটে গ্যানব্রির গোলে ১-০ তে এগিয়ে যায় জার্মানি। এপরেই আক্রমণের গতি বেগ আরও বেড়ে যায় তাদের। এই ম্যাচের উত্তাপ বেশ উপভোগ করছিলেন মাঠে আসা দর্শকরাও, স্টেডিয়াম জুড়ে শুরু হয় মেস্কিকান ওয়েভ। শুধু তাই নয়, গ্যানব্রির আরও কয়েকটি জোরালো শট হয় বাইরে যায় নাহলে সেভ হয়। এক্ষেত্রে কোস্টারিকা গোলরক্ষকের কথা বলতেই হয়। নাভাস বেশকিছু দুর্দান্ত সেভ করেন নাহলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম কিছু হতেই পারত। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ফলাফল নিয়েই।
দ্বিতীয়ার্ধে কোস্টারিকাও চেষ্টা করে কিছুটা ম্যাচে ফেরার। তবে জার্মানি ক্রমাগত চাপ বজায় রাখছিল। কিন্তু ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ইয়েলটসিনের গোলে সমতা ফেরায় কোস্টারিকা। ফলাফল ১-১। অসাধারণ গোল এবং ম্যাচে ফিরেই পাল্টা আক্রমণে যেতে শুরু করে তাঁরা। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে মুসিয়ালার শট বারপোষ্টে লেগে ফিরে আসে, ফলে জার্মানি এগিয়ে যেতে পারেনি।
কিন্তু ৭০ মিনিটে জুয়ান পাবলো ভারগাসের গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় কোস্টারিকা। ম্যাচটি পুরো পেন্ডুলামের মতো একবার এদিক তো আরেকবার ওদিকে দুলছিল। কিন্তু ৭৩ মিনিটেই পাল্টা গোল জার্মানির। কার্ল হারভারটজের গোলে সমতা ফেরায় জার্মানরা। ফলাফল দাঁড়ায় ২-২। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ চলছিল, এরই মধ্যে আবারও কোস্টারিকা গোলরক্ষক নাভাসের অসাধারণ সেভ। কোস্টারিকা ফরোয়ার্ড ফুলক্রাগের আক্রমণ আবার প্রতিহত। বিশেষত শেষ কোয়ার্টারে আক্রমণের ঢেউ তুলে এনেছিল কোস্টারিকা। এবং জার্মানিও পাল্টা অ্যাটাকে গোল তুলতে চাইছিল। আর এই সূত্রেই আবার গোল।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে গ্যানব্রির ক্রস থেকে গোল করলেন আবারও সেই কার্ল হারভারটজের এবং জার্মানি লিড নেয় ৩-২ গোলে। তবে এরপরেও দুবার একেবারে গোলের কাছে পৌঁছে গেলেও পারেননি কার্ল। এরপরই আবার ৮৯ মিনিটে ফুলক্রাগের গোল। শেষপর্যন্ত ৪-২ গোলে জয়লাভ করেই পরের রাউন্ডে পৌছতে পারল না জার্মানি।
Comments :0