সুখরঞ্জন দে
আজ শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের অধিকারগুলি আক্রান্ত। দীর্ঘ লড়াই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শ্রমজীবী মানুষের যে মর্যাদা ও অধিকারগুলি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কেন্দ্রের মোদী ও রাজ্যে মমতার সরকার সেই অধিকারগুলি কেড়ে নিতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে গ্রাম-শহরে খেটে খাওয়া মানুষের ঐক্যকে সুদৃঢ় করে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুর-বস্তিবাসী একসঙ্গে আন্দোলনে নেমেছে। সকলে মিলে আরও জোরালো কণ্ঠে দাবি জানাতে আমরা ২০ এপ্রিল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সমাবেশে মিলিত হব। আপনিও আসুন এই নজিরবিহীন সমাবেশে। থাকুন এই ঐক্যবদ্ধ নতুন লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে।
কেন্দ্রের মোদী সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষদের উপেক্ষা করে কর্পোরেট মালিকদের সেবা দাসত্ব করতে ২৯টি শ্রম আইনকে ভেঙে দিয়ে ৪টি এনকোডে পরিণত করেছে। ফলত আট ঘণ্টা কাজের পরিবর্তে ১২ ঘণ্টা কাজ চালু করতে চাইছে মালিকপক্ষ। দেশের জল, জমি, জঙ্গল প্রাকৃতিক সম্পদ বেসরকারি কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। দেশের ব্যাঙ্ক বিমা সহ রাষ্ট্রয়ত্ত ক্ষেত্রের লাভজনক সংস্থাগুলিতে বেসরকারি মালিকানার অংশীদারিত্ব বাড়ছে।
এরাজ্যের সরকার একই পথে চলছে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, সামাজিক-সুরক্ষার বিষয়গুলিকে গুরুত্ব না দিয়ে মালিকদের দালালি করছে। রাজ্যে নতুন শিল্প নেই, অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না। শ্রমিক ও খেতমজুররা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছে না। স্থায়ী কাজে ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে। মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। এর সঙ্গে লাগামহীন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি খেটে খাওয়া মানুষের জীবন যন্ত্রণাকে বাড়িয়ে তুলেছে। তাই সংসার প্রতিপালনে পরিবারের সকলে মিলে রোজগারে বাধ্য হচ্ছে।
এরাজ্যে এখন মূল্যবোধ, ন্যায় নীতির কোনও বালাই নেই। সন্ত্রাস ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে সব কিছু লুটে-পুটে খাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করেছে, রাজ্যের শাসকদল। এরাজ্যের গণতান্ত্রিক অধিকার শুধু নয়, জাত-পাত ধর্মের সম্প্রীতির ঐতিহ্য, কেন্দ্রের বিজেপি দেশজুড়ে হিন্দুত্ববাদের জিগির তুলে হিন্দুদের তোষণের রাজনীতি এবং বাংলায় ঠিক একইভাবে ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মিশিয়ে মানুষ ভাগ করতে চাইছে তৃণমূল। দেশ ও রাজ্যে এই অস্থির পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। এসময়ে মহিলাদের ওপর আক্রমণ বাড়ছে, তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত। কতদিন মানুষ এই পরিস্থিতিতে দমবন্ধ করে থাকবেন। শ্রমজীবী মানুষকে ঐকবদ্ধ করেই নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে।
আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা নানা ধর্ম, নানা ভাষা ও সংস্কৃতির শ্রমজীবী মানুষ শহর বা আধা শহরের বস্তিতে থাকে। এদের অধিকাংশ গ্রামচ্যুত কৃষক পরিবার থেকে এসে রুজি-রোজগারের জন্য ঘর বেঁধেছেন শহরের গরিব অঞ্চল বস্তিতে। এরা, অসংগঠিত ক্ষেত্রের বিভিন্ন পেশাতে যুক্ত শ্রমিক। এসময়ে এরা অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের পরিবেশে বহুমুখী আক্রমণের মুখে উন্নত জীবনযাপনের আশায় প্রতিদিন লড়াই করছে। এরাজ্যে বড় শহরের ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ বস্তিবাসী।
উদার অর্থনীতি ও নগরায়নের ধাক্কায় বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাজের আক্রান্ত শ্রমিক, কৃষক ও খেতমজুরদের মতন রাজ্যের বস্তিবাসীরা একই জীবন-যন্ত্রণার শিকার। তাই আমাদের রাজ্যের গ্রামীণ ও শহরের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকার আন্দোলন এবং বস্তিবাসীদের বাসস্থানের নিরাপত্তা, রুটি রুজি ও অর্জিত অধিকার রক্ষার সংগ্রাম-যুক্তভাবে হওয়াটাই প্রাসঙ্গিক।
এসময়কালে উৎপাদন কেন্দ্রিক শিল্প শহর আজ বাণিজ্যিক শহরে রূপান্তরিত হয়েছে। শহরের বন্ধ কল-কারখানাগুলির জমিতে বহুতল গড়ে পরিষেবা ভিত্তিক বাণিজ্য শহর গড়ে উঠেছে। রিয়েল এস্টেটের লাভজনক ব্যবসায় ফাটকা পুঁজি ব্যবহারে শহরে জমির চাহিদা বেড়েছে। জমি হাঙরদের চোখ-শহরের গরিব অঞ্চলগুলির বস্তির জমির উপর। বর্তমানে একদিকে রাজ্যের শাসকদলের বদান্যতায় বেসরকারি উদ্যোগে নানা কৌশলে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদের আশঙ্কা বাড়ছে অপরদিকে শহরের অসংগঠিত ক্ষেত্রের নানা পেশায় যুক্ত শ্রমিকদের— রুজি-রোজগার, সামাজিক সুরক্ষা সহ শ্রমজীবীদের আর্থিক দাবিতে সংগঠিত করতে তাদের আবাসস্থলে যেতে হবে। এই অসংগঠিত শ্রমিকদের ঠিকানা বস্তি। এর ফলে বস্তিবাসীদের চেতনা বাড়বে, বস্তি আন্দোলন সমৃদ্ধ হবে।
আজকের পরিস্থিতে বস্তিবাসীদের কাছে জমির বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাদী বৈষম্যমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সব মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা হওয়া অসম্ভব । আবাসনের চাহিদা থাকবে। মুনাফা সর্বস্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ফাটকা পুঁজি জমি কেনা বেচায় ব্যবহার হবে। উচ্ছেদের আশঙ্কায় বস্তিবাসীদের থাকতে হবে। তাই ‘জমির’ বিষয়টি রাজ্যের শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ৷ যা শ্রমজীবী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে সহায়ক হবে।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েই জমি সংক্রান্ত আইনগুলি ইতিমধ্যে বিত্তবানদের স্বার্থে পরিবর্তন করেছে। এরাজ্যে কলকাতা ও হাওড়ার ঠিকা বস্তির জমির দখল নিতে ২০১৫ সালে বস্তিবাসীদের রক্ষাকবচ ঠিকা প্রজাস্বত্ব আইনের ২০০৪ সালের বিধির ৩(১)এ উপধারাকে অবলুপ্তি এবং ২০১৯ সালে ‘সংশোধিত ঠিকা প্রজাস্বত্ব অধিকার ও নিয়ন্ত্রণ আইন—পরিবর্তন ঘটিয়ে বস্তিতে বাড়ি নির্মাণে প্রোমোটারকে যুক্ত করা হয়।
রাজ্য সরকার এসময়ে ‘লিজ হোল্ড’ জমিকে বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহারে উন্মুক্ত করতে ‘ফ্রি হোল্ড’ করে। উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চল চা বাগিচা সহ রাজ্যের শহরাঞ্চলে ঠিকা বস্তির জমি রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে বস্তি অঞ্চলে ‘উত্তর :” বোর্ড লাগানা হচ্ছে। শ্রমজীবী বস্তিবাসীদের শহরে বসবাসের অধিকারকে এরা কেড়ে নিতে চাইছে।
এসময়ে বেড়েছে নিরাপদ বাসস্থান ও রুজি রোজগারে অনিশ্চয়তা, চড়া হারে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি, বস্তি উচ্ছেদ, আগুন লাগার সংখ্যা। এরাজ্যে নতুন সংস্কৃতি হলো শাসকদলে নাম না লেখালে ও টাকা না দিলে আবাস প্রকল্পে বাড়ি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, রেশন কার্ড, বিধবাভাতা, বার্ধক্য ভাতা, ১০০ দিনের কাজ, স্বাস্থ্যসাথী, অটো-টোটো চালনায় অনুমতি, হকারির সুযোগ সহ কোনও কাজ নয়। প্রশাসনিক ক্ষমতার জোরে এরা বস্তিবাসীদের সম্পদ, বাসস্থান ও জীবিকা সহ সমস্ত সামাজিক ও উন্নয়নমূলক সরকারি সুযোগ কেড়ে নিতে চাইছে।
আমাদের লড়াই প্রধানত জমির লড়াই। আমরা মনে করি জমিতে যারা বসবাস করে সেই জমিতে তারই অধিকার স্বত্ব থাকা উচিত। জমিতে যে বাস করে সেই জমি তার বাকিরা ঠিকাদার। তাই লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বস্তির জমিতে বস্তিবাসীদের আধিপত্য বজায় রেখে পাট্টার দাবিতে আন্দোলন চলছে।
সম্প্রতি আমাদের রাজ্যে রেল ও সড়ক সম্প্রসারণের নামে নির্বিচারে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, বারাকপুর-কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে, ৩৫নং জাতীয় সড়ক এবং মালদহ-ফরাক্কা ব্যারেজ সংলগ্ন সরকারি জমিতে দীর্ঘদিনের বসবাসরত কয়েক হাজার বস্তি ও কলোনিবাসী পরিবার আজ উচ্ছেদের মুখোমুখি ।
আমাদের অভিজ্ঞতা— রেল তার অব্যবহৃত ফাঁকা জমিগুলিতে ব্যবসায়িক স্বার্থে রিলায়েন্স-আদানি শিল্পগোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়েছে। রেলের জমিতে দীর্ঘকাল ধরে বসবাসরত বস্তিবাসীদের বাস্তুচ্যুত করতে ও স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলের হকারদের উচ্ছেদে রেল কর্তৃপক্ষ বাড়তি তৎপরতা শুরু করেছে। শুধুমাত্র শুনানির জন্য নোটিস নয় রাজ্যের একাধিক জায়গায় রেল পুলিশকে দিয়ে বস্তিবাসীদের বিরুদ্ধে গায়ের জোর ফলানোর চেষ্টা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, নদীয়ার ধুবুলিয়া, বীরভূমের রামপুরহাট ও বোলপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, বরাকর, উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণেশ্বর, কলকাতার ঢাকুরিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া এবং খড়গপুর রেল শহরে বস্তি উচ্ছেদ করতে এলেও সমবেত বস্তিবাসীদের প্রতিবাদে সাময়িকভাবে তারা পিছু হটে। কিন্তু প্রায় সর্বত্র রেল বস্তিগুলিতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
দুর্গাপুর সেইল কর্তৃপক্ষ- শিল্প সম্প্রসারণের নামে সেইলের জমিতে বসবাসরত বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ ঘটাতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ বিষয়ে বস্তিবাসীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে বস্তিবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করে ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে। জাতীয় সড়ক, রেলপথ ও শিল্প কারখানার সম্প্রসারণ সহ যে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বা কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতি তার পক্ষে। এই উন্নয়মূলক কাজের সঙ্গে বস্তিবাসীদের রুজি রোজগারের স্বার্থ যুক্ত। আমরা চাই, জনহিতকর এই উন্নয়নের সুফল সকলে ভোগ করুক। কিন্তু এই উন্নয়নে যদি শ্রমজীবী, গরিব মানুষকে বাস্তুচ্যুত হতে হয়- আমরা তার বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে আমাদের নির্দিষ্ট দাবি— উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থিক প্যাকেজের সঙ্গে বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের প্যাকেজ যুক্ত করা। প্রকল্প রূপায়ণের শুরুতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।
বাসস্থান মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার রক্ষার দায়িত্ব রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। উন্নয়নমূলক কাজে বিকল্প পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ নয়— এই নীতি মেনে পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার ঢাকুরিয়ার গোবিন্দপুরের রেল বস্তির বস্তিবাসীদের বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা নোনাডাঙায় করে। বর্তমান রাজ্য সরকার কেন এই দায়িত্ব নেবে না?-
১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া সরকারের ‘স্ল্যাম’ সম্পর্কিত যে নীতি ভারত সরকার গ্রহণ করেছিল- ‘জীবন-জীবিকার জন্য শহরের শ্রমজীবী গরিব মানুষ অস্থায়ী আস্তানা গড়তে বাধ্য হয়। উন্নয়নের নামে এই বস্তিগুলি উচ্ছেদ নয়, সরকারি খরচে পাকাবাড়ি করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।' এ নীতি আজ মানা হচ্ছে না। এসময়কালে গরিব বস্তিবাসীদের শহরে অবস্থান সম্পর্কে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যে বৈরিতার মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তা খুবই উদ্বেগের।
একদিকে রাজ্যজুড়ে বস্তি উচ্ছেদের পরিকল্পনা একই সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বোঝাপড়ায় নতুন বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় চালু হওয়া প্রি-পেইড স্মার্ট মিটার, প্রাত্যহিক জীবনে বিদ্যুৎ ব্যবহার গরিব মানুষের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাবে। গরিব বস্তিবাসীদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের অধিকার যা লড়াই করে আদায় হয়েছে— বস্তির ঘরে ঘরে নিজের নামে মিটার তা গরিব বস্তিবাসীদের পক্ষে রক্ষা করা কঠিন হবে। নতুন বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বিদ্যুতের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়বে, যখন বেশি বিদ্যুতের চাহিদা হবে, যেমন রাতে আলো জ্বালাতে বা গরমকালে ফ্যান ব্যবহারে বিদ্যুতের বেশি মাশুল গুনতে হবে।
পুরানো বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় কম বিদ্যুৎ ব্যবহারে ছাড় সহ বিদ্যুৎ বিল মেটানোর যে সুবিধা পাওয়া যেত বা প্রান্তিক গরিব মানুষ প্রতিদিনের জমানো টাকা যা মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল মেটাতে ব্যবহার করতেন, তা চিরতরে বন্ধ হবে। প্রিপেইড স্মার্ট মিটারে চড়া হারে বিদ্যুতের দাম আগাম জমা দিতে হবে। টাকা শেষ হলে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে যাবে।
মানব জীবনে বিদ্যুৎ শুধুমাত্র পরিষেবাই নয় এটি একটি অধিকারও বটে। পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতি বিনামূল্যে মাসিক ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাবিতে অনেক দিন ধরে লড়াই করছে। আমাদের দেশের অনেকগুলি রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে এই ব্যবস্থা চালু করেছে।
বস্তিবাসীদের উল্লিখিত দাবিগুলি ছাড়াও সকলের জন্য সস্তার রেশন, আবাস যোজনায় সবার জন্য বাড়ি, নিকাশি, পানীয় জল সহ উন্নত পুর পরিষেবা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সহ স্থানীয় ভিত্তিক দাবিগুলি নিয়ে বস্তিবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করে বস্তির ভিতরে দমবন্ধ পরিবেশ ভাঙতে রাজ্যজুড়ে বস্তিগুলিতে নিবিড় প্রচার চলছে। শাসক দলের দুর্নীতি-দুষ্কৃতী চক্রের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে আগামী ২০ এপ্রিল শ্রমজীবীদের ব্রিগেড সমাবেশে বস্তিবাসীরা সপরিবারে শামিল হওয়ার স্পর্ধা দেখাবে।
Comments :0