Post editorial

ঐক্যের ফাটলে মহারাজের পদ্ম-সন্মান

উত্তর সম্পাদকীয়​

চন্দন দাস

রঘুনাথগঞ্জের ম্যাকেঞ্জি মোড়ে বড় ফেস্টুন ঝুলছে—‘হিন্দু রক্ষী দল।’ রঘুনাথগঞ্জ মুর্শিদাবাদের একটি শহর। মুর্শিদাবাদের অনেক এলাকাতেই এমন পোস্টার আছে। যে জেলায় একরের পর একর মাটি ধসিয়ে গ্রাস করার আগে গঙ্গা, পদ্মা, ভাগীরথী বিপন্ন মানুষের ধর্মীয় পরিচয় বিবেচনা করে না, যে জেলা থেকে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া কয়েক লক্ষ যুবকের ধর্মের উপর তাঁর মজুরি আর নিরাপত্তা নির্ভর করে না, সেই এলাকায় আলাদা করে হিন্দুদের রক্ষী দলের দরকার কী?
প্রশ্ন স্বাভাবিক। অনেকেরই আছে এই প্রশ্ন। সাধারণতন্ত্র দিবসে সেই প্রশ্ন মুর্শিদাবাদ ছাড়িয়ে আরও বিস্তৃত এলাকার প্রশ্ন হিসাবে হাজির হয়েছে। 
কারণ— ২৬ জানুয়ারি, সাধারণতন্ত্র দিবসে পদ্মশ্রী সন্মানের জন্য যাঁদের নাম নয়াদিল্লি থেকে ঘোষিত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন কার্তিক মহারাজের। বেলডাঙায় তাঁর আশ্রম। ‘হিন্দু রক্ষী দল’ তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত। হিন্দুত্ববাদী তিনি। হিন্দুরাষ্ট্র তাঁর সঙ্কল্প। গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এই কার্তিক মহারাজ সম্পর্কে প্রকাশ্যে, সভামঞ্চ থেকে বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কী বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী? গত মে’তে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মুর্শিদাবাদে মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন,‘‘এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেকদিন ধরে, কার্তিক মহারাজ। কিন্তু যে লোকটি বলে, তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না।’’ 
কী চমৎকার কৌশল। তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেবো না, এমন ঘোষণা করছে কে? তৃণমূলের দুর্নীতি, অত্যাচারে অতিষ্ট মানুষ মমতা ব্যানার্জির এই ঘোষণায় উৎসাহী হয়ে পড়বেন, সেই লোকটি যে পক্ষে সেই পক্ষকেই তৃণমূলের একমাত্র প্রবল বিরোধী হিসাবে মনে মনে গ্রহণ করে ফেলবেন—মমতা ব্যানার্জি সেটিরই রাস্তা বানিয়ে দিলেন। এইভাবে গড়ে উঠছে বাইনারি— দুটি মেরু—তৃণমূল বনাম বিজেপি—হিন্দু বনাম মুসলমান। ভাঙনের সমস্যা, কাজের সঙ্কট, বিড়ি শ্রমিকের মজুরি ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে এই কৌশলে।
রাজ্যে নিজেদের প্রভাব, সংগঠন তৈরি করতে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলি বরাবর বামপন্থীদের বিরোধিতা করেছে। রাজ্যে মমতা ব্যানার্জিকে মুখ্যমন্ত্রী করার পিছনে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলি প্রবল তৎপর ছিল। তারা নানা প্রচার চালিয়েছে বামপন্থীদের বিরুদ্ধে। এখনও চালাচ্ছে। মমতা ব্যানার্জিও তো বিজেপি’র, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরোধিতা জোরের সঙ্গে করছেন না, তাই তো কার্তিক মহারাজের সমালোচনা করেছেন— এমন প্রচার তৃণমূল এবং মিডিয়া করেছে। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির সমালোচনার কারণ কী? ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ তাঁর ‘শ্রদ্ধার্ঘ্যের তালিকায়’ জানিয়ে রেখে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে একটিই অভিযোগ ছিল মমতা ব্যানার্জির কার্তিক মহারাজ তৃণমূলের বিরোধিতা করেছেন। 
সেই মহারাজের বিরুদ্ধে লাগাতার সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ আছে। তা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী কিছু বলেননি। নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে আরএসএস’র ‘গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠানে হিন্দুত্বর পক্ষে সওয়াল করা গেরুয়াধারী কার্তিক মহারাজকে নেহাতই ‘তৃণমূল বিরোধী’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার মধ্যে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট ভাঙার একটি অঙ্ক ছিল। যা শুধু তৃণমূলেরই অঙ্ক নয়, বিজেপি’রও অঙ্ক। নির্বাচনের সময়েই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখেছে রাজ্য, মুর্শিদাবাদেরই শক্তিপুর এলাকায়। তখন থেকেই রাজ্যের রাজনীতিতে একটি পরিচিত মুখ করে তোলা হয়েছিল কার্তিক মহারাজকে।
আসলে কার্তিক মহারাজ কিংবা মমতা ব্যানার্জি, একে অপরের বিরোধিতা করছিলেন না। দু’পক্ষই জানতেন যে, তারা দু’জনেই দু’জনের পক্ষে আছেন। একে অপরের সহায়ক। বামপন্থী সহ ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সমর্থন, তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী মানুষের ভোট ভাঙতে সেই সময়ে কার্তিক মহারাজের প্রচার জরুরি ছিল তৃণমূলের এবং বিজেপি’র। 
কার্তিক মহারাজের কথা এই কৌশলের কিছুটা স্পষ্ট করে। ২০২৪-র ১৯ মে একটি বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে সাংবাদিক কার্তিক মহারাজকে জিজ্ঞাসা করেছেন, রাজনীতি করলে কোন দলে যোগ দেবেন? কার্তিক মহারাজ জানাচ্ছেন,‘‘আমাকে তৃণমূল ও বিজেপি, উভয় দলই প্রার্থী হওয়ার জন্য বারবার প্রস্তাব দিয়েছে। এর আগের বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল। আমি সবিনয়ে সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করি। এ বছর বিজেপি’র প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। তৃণমূলের শীর্ষনেতারাও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।’’
এমনই হয় বারবার। কখনও জঙ্গলমহলে তৃণমূলের নেতা ছত্রধর মাহাতো হয়ে ওঠেন মাওবাদীদের মুখপাত্র। বামফ্রন্টকে পরাস্ত করার ‘মিশন’ শেষ করে মাওবাদীরা হয়ে ওঠে তৃণমূলের নেতা, কর্মী। আবার কখনও যে তৃণমূল নেতার উদ্যোগে নন্দীগ্রাম, খেজুরিতে মাওবাদী-বিজেপি-তৃণমূল মিলে সশস্ত্র অবরোধ তৈরি করা হয় স্থানীয় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, একসময় সেই শুভেন্দু অধিকারীকেই হাজির করা হয় পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি’র মুখ হিসাবে। 
কার্তিক মহারাজও তেমনই এক উদাহরণ। তিনি বিজেপি’র বিশ্বস্ত। তৃণমূলের বন্ধু। তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনাতেও ছিল দু’পক্ষের অঙ্ক। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বামপন্থী সহ ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির কয়েকটি আসনও কার্তিক মহারাজের দুই বন্ধু দলের গোপন বোঝাপড়ার পক্ষে বিপজ্জনক ছিল। ভাঙনের জেলায়, কাজের অভাবে ভিন দেশে ছুটে চলা কয়েক লক্ষ পরিযায়ীর জেলায় তৃণমূল আর বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অঙ্কের নৌকার হাল তাই গেছিল কার্তিক মহারাজদের মতো ব্যক্তিদের হাতে। পদ্মশ্রীর জন্য নাম ঘোষণার পর সেই সাধারণতন্ত্র দিবসে কার্তিক মহারাজ বলেছেন,‘‘নিশ্চিতভাবেই দিদি (অর্থাৎ মমতা ব্যানার্জি) আমার উপর তাঁর আশীর্বাদ প্রকাশ করেছেন। তিনি আমার নাম প্রচার করেছেন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী আমার সম্পর্কে বলেছেন।’’
মুর্শিদাবাদের লাগোয়া মালদহ, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান। পশ্চিম দিকে ঝাড়খণ্ড রাজ্য, পূর্ব সীমায় বাংলাদেশ। মালদহ, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলায় সংখ্যালঘু অনেক মানুষের বসবাস। শুধু সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরুর বিবেচনায় কোনও এলাকার সমস্যা, সম্ভাবনা, আশা, আশাভঙ্গের হদিশ পাওয়া যায়। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়ার একাংশে নদী ভাঙন বড় সমস্যা। হাজার হাজার একর জমি তলিয়ে যাচ্ছে নদীর আগ্রাসনে। ২০২০ থেকে ২০২৪—এই সময়ে শুধু মুর্শিদাবাদের নিমতিতা, চাচণ্ডা, প্রতাপগঞ্জ, বোগদাদনগর, তিন পাকুরিয়া এবং ধুলিয়ান পৌরসভার প্রায় তিন হাজার একর চাষযোগ্য জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ঘর ছাড়া হয়েছেন অনেকে। ফারাক্কা, লালগোলার তারানগর, সাগরদিঘি, ইসলামপুর সহ বিপর্যস্ত আরও কিছু ব্লক। লাগোয়া মালদহেও একই সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা। এই সমস্যাকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ হিসাবে বিবেচনার দাবি আছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পুনর্নির্মাণের দাবি আছে। কৃষকের জমির ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন আছে। রাজ্যের সরকারে তৃণমূল। কেন্দ্রে বিজেপি। সংসদে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৪১ জন সাংসদ এই দুই দলেরই। তাঁদের কোনও ভূমিকা দেখা যায়নি। বিড়ি শ্রমিকদের সিংহভাগ মহিলা। তাঁরা সরকার নির্ধারিত মজুরিও পান না। অথচ বিড়ি কারখানার মালিকদের বেশিরভাগ তৃণমূলের সাংসদ, নেতা, রাজ্যের মন্ত্রী। এই বিস্তীর্ণ এলাকার প্রধান সমস্যা কাজের অভাব। প্রতিটি জেলা থেকে মানুষ কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে যেতে বাধ্য হন।
সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছে সঙ্ঘ পরিবার। বাংলাদেশে হিন্দুরাই শুধু আক্রান্ত—  এই প্রচার হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যে বিজেপি’র সংগঠন বলে কিছু নেই। তার উপর দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব যথেষ্ট। অন্যদিকে আর জি কর হাসপাতালে ট্রেনি তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গে যে গণআন্দোলন দেখা গেছে, তাতে বামপন্থার পুনর্জাগরণের লক্ষ্মণ স্পষ্ট। আন্দোলনের প্রথম সন্ধ্যা থেকে বামপন্থী ছাত্র, যুব, মহিলা সংগঠনের কর্মীরা যে ভূমিকা পালন করেছেন, তা এই আন্দোলনের সংগ্রামী মেজাজের সুর বেঁধে দিয়েছিল। এই আন্দোলনের পথে গানে, কবিতায়, ফেস্টুন, গ্রাফিতিতে যা উঠে এসেছে, তাতে স্পষ্ট বামপন্থার অনুরণন। এই আন্দোলনে কোনও হস্তক্ষেপ বিজেপি করতে পারেনি। তাই আশঙ্কিত বিজেপি নেতারা এই আন্দোলনের সমালোচনা করেছেন। নিহত চিকিৎসকের বাবা, মা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। শাহ সময় দেননি। সর্বোপরি সিবিআই যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে তৃণমূল-বিজেপি’র বোঝাপড়াই আবার স্পষ্ট হয়েছে। আদালতেই সিবিআই’র ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। 
শুধু আর জি কর হাসপাতালের হত্যাকাণ্ডই নয়। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি, জাল স্যালাইনের প্রভাবে মেদিনীপুরে প্রসূতির মৃত্যু, আবাস যোজনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যে লড়াইয়ের সামনের সারিতে বামপন্থীরা। পাশাপাশি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, মুর্শিদাবাদ-মালদহে নদী ভাঙন, খেতমজুরের কাজ, মজুরি, রেগার কাজ, কৃষকের ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে আন্দোলন চলছে লাগাতার। আগামী ২০ এপ্রিল ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে খেতমজুর, কৃষক, বাস্তুহারা, বস্তিবাসী, শ্রমজীবীরা। মেহনতি, অত্যাচারিতদের সার্বিক ঐক্য ক্রমশ গড়ে উঠছে সংগ্রামে। ঠিক তখনই তাকে ভাঙার জন্য, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার জন্য কৌশল শুরু হয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপি, দুইয়েরই পছন্দের বেলডাঙার মহারাজকে পদ্ম সন্মানে বেছে নেওয়ার জন্য এটিই যথার্থ মুহূর্ত!
মুর্শিদাবাদে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল শাসনে রাজ্য অনেকগুলি দাঙ্গা দেখেছে। মুর্শিদাবাদের শিক্ষকদের একাংশের অভিজ্ঞতা, সাম্প্রদায়িকতা ক্লাসরুমেও ঢুকেছে। ধর্মীয় বিভাজনের ছায়া বেঞ্চে পড়ছে। যা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। 
এমন সময়ে কার্তিক মহারাজকে ‘পদ্মশ্রী’ বেছে নিলো কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কেন্দ্রের সরকারের সামনে বিজেপি, সুতো উপরে ধরা আরএসএস’র আঙুলে। সঙ্ঘের অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনায় গত ১৩-১৪ বছরে পশ্চিমবঙ্গে তাদের সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি ঘটেছে উত্তরবঙ্গে। মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, বীরভূম, দুই বর্ধমান, হুগলীতে তারা আরও এগতে চাইছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনায় শেখ হাসিনার দেশ ছাড়া পর্যন্ত দু’পার বাংলার মার্কিন আগ্রাসনের সমর্থক হিন্দুত্ববাদী শক্তি চুপ করেছিল। তারপর শুরু হয় চিন্ময়ানন্দকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি। আপাতত সেটি স্তিমিত। চিন্ময়ানন্দ-ইস্যু উধাও। নিজেদের পারস্পরিক স্বার্থে ভারত-বাংলাদেশ আলোচনার পথে কিছুটা এগিয়েছে। সামনে এপার বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এপারেও তবে একজন ‘প্রভু’ দরকার। যে জেলার ১২৫ কিমি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া, যার বেশিরভাগটাই জল সীমান্ত, যেখানে গত লোকসভা নির্বাচনে বামপন্থীরা সহ তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলি আসন না পেলেও কিছুটা ভালো ফল করেছে, তার আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও লড়াই হয়েছে জোরদার, সেখানকার বাসিন্দা, আশ্রম প্রধান, ‘হিন্দু রক্ষী দল’র প্রধান উদ্যোক্তা কার্তিক মহারাজের এমন সময়ে ‘পদ্ম’ প্রাপ্তি।
শুধু মুর্শিদাবাদের পরিপ্রেক্ষিতেই বিষয়টি দেখার নয়। বাংলার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকের অধিকারী এই জেলা। তার আলোকে পশ্চিমবঙ্গের ছবিটি দেখে নেওয়া সম্ভব। লড়াই শুধু দুটি শক্তির নয়। এখন লড়াই দুটি ধারণার। একদিকে বিভাজনের অঙ্ক। সেই বিভাজন সফল হলে আমরা প্রজা হয়ে পড়বো পিছিয়ে থাকা ভাবনার, প্রতিক্রিয়ার। আর একদিকে সাধারণের সার্বিক ঐক্যর প্রয়োজনীয়তা। যাঁদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই সফল হলে সামনে এগনো যাবে, জিতবে প্রগতিশীলতা। সমাজের প্রতিটি স্তরে, প্রতিটি ক্ষেত্রে এটিই মোদ্দা দ্বন্দ্ব।
 

Comments :0

Login to leave a comment