আরজি কর কান্ডে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী এবং চিকিৎসক কুনাল সরকারকে তলব করলো কলকাতা পুলিশ। দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সমাজিকমাধ্যমে তারা ভুয়ো খবর প্রচার করেছেন এবং নির্যাতীতার পরিচায় তারা প্রকাশ্যে এনেছেন। যদিও দুই চিকিৎসক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আরজি কর কান্ডে প্রথম থেকে সরব হয়েছিলেন চিকিৎসক গোস্বামী।
সংবাদমাধ্যমকে চিকিৎসক গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘‘হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পেয়েছি। এখনও পর্যন্ত কোন চিঠি হাতে আসেনি। জানি না কি কারণে কলকাতা আমাকে তলব করলো।’’ তিনি আরও বলেন যে, তদন্তের স্বার্থে তিনি সব রকম সহযোগীতা করবেন। তবে তার বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ আনা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।
আরজি করের নির্যাতীতার পরিবারের সাথে দেখা করেন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস’-র প্রতিনিধিরা। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চিকিৎসক গোস্বামী বলেন, ‘‘হত্যার পর ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রচার চলছে কোনও কোনও জায়গায়। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। ধর্ষণ করেই হত্যা করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার সাক্ষ্য দিচ্ছে ময়না তদন্ত রিপোর্টই।’’ তিনি বলেন, ‘‘পরিবারের অনুমান একজন এভাবে নির্যাতন করতে পারে না। ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখে আমাদেরও মনে হয়েছে একাধিক যুক্ত থাকতে পারে। সিমেন নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর বোঝা যাবে একাধিক অপরাধী জড়িত কিনা।’’
চিকিৎসক কুনাল সরকার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘চিঠি পেয়েছি। তবে শহরে না থাকায় এখন হাজিরা দিতে পারবো না বলে পুলিশকে জানিয়েছি।’’
অন্যদিকে রবিবার বিকেলের মধ্যে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লাল বাজারের পক্ষ থেকে। শনিবার রাতে সন্দীপ ঘোষ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের গ্রেপ্তারির দাবি করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি এক্সহ্যান্ডেলে লেখেন যে, সন্দীপ ঘোষ এবং বিনীত গোয়েলকে সিবিআই হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। এছাড়া সেমিনার রুমের পাঁচিল ভাঙা নিয়েও সরব হন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তারপরই সকালের সমন পাঠানো হয় তৃণমূলের সাংসদকে।
RG KAR POLICE SUMMONS
আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ করায় ডেকে পাঠানো দুই চিকিৎসক এবং সাংসদকে
×
Comments :0