parliament panel report

জন ধন যোজনা সহ নানা প্রকল্পে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ শ্রম মন্ত্রক

জাতীয়

parliament panel report


 জাঁকজমক করে নরেন্দ্র মোদী সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী জন ধন যোজনা (পিএম-এসওয়াইএম)। বিভিন্ন সময় মোদী-শাহ সহ তাবড় বিজেপি নেতা থেকে স্থানীয় নেতারা জন ধন যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পের বড়াই করতে থাকেন, ‘আচ্ছে দিন’র সাফাই দিয়ে। কিন্তু বাস্তবে প্রকল্পগুলির কী দুরবস্থা, তা স্পষ্ট হলো সংসদীয় প্যানেলের রিপোর্ট থেকেই। সংসদীয় কমিটি সোমবার পেশ করা এক রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করেছে, কেন্দ্রের শ্রম মন্ত্রকের অধীনস্ত প্রধান প্রকল্পগুলির অধিকাংশই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই’র খবর থেকে জানা গিয়েছে, শ্রম, বস্ত্র এবং দক্ষতার বিকাশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি ওই রিপোর্টে উদ্বেগের সঙ্গে জানিয়েছে, পিএম এসওয়াইএমে নতুন করে ১ কোটি উপভোক্তার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবছর ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭১ উপভোক্তা হয়েছেন এই প্রকল্পে। একইভাবে দেখা যাচ্ছে, ‘ন্যাশনাল পেনশন স্কিম ফর ট্রেডার্স, শপকিপার্স এবং সেল্‌ফ এমপ্লয়েড পার্সনস’ প্রকল্পের অবস্থা আরও খারাপ। লক্ষ্যমাত্রা ছিল, ২৫ লক্ষ উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত করার। কিন্তু এই প্রকল্পে মাত্র ৪ হাজার ৮৭৯ জন নাম লিখিয়েছেন। ‘ন্যাশনাল ডেটাবেস অব আনঅর্গানাইজড ওয়ার্কার্স’ (এনডিইউডব্লিউ) প্রকল্পে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত এমন পাঁচ কোটির নাম নথিভুক্ত করার ‘টার্গেট’ নেওয়া হলেও মাত্র ১ কোটি ৫২ লক্ষ নাম উঠেছে এ বছর ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। 
একাধিক প্রকল্পে এভাবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তার দায় অবশ্য মোদী সরকার চাপিয়েছে মহামারীর ঘাড়ে। দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি, এমনই দাবি সরকারি আধিকারিকদের। এই রিপোর্টে বাজেট বরাদ্দ এবং সংশোধিত হিসাবের উল্লেখও করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে ১৬,৮৯৩.৬৮ কোটি অর্থ বরাদ্দ করা হয় এই প্রকল্পগুলিতে খরচের জন্য। সংশোধিত হিসাবে তা কমে দাঁড়ায় ১৬,১১৭.৬৫ কোটিতে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই বছর ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৩,০৯২.৯৯ কোটি খরচ হয়েছে মাত্র। প্রকল্পভিত্তিক আলোচনাও রয়েছে রিপোর্টে। পিএমএসওয়াইএমে বাজেট বরাদ্দের ২৭ শতাংশ, এনডিইউডব্লিউ’তে ৩০ শতাংশ,  শ্রম উন্নয়ন প্রকল্পে ৩০ শতাংশ এবং দাস শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে বরাদ্দের ৪৮ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে। এই অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই বরাদ্দের ৯০ শতাংশ বরাদ্দ ব্যবহার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে শ্রম মন্ত্রক।

Comments :0

Login to leave a comment