মঙ্গলবারের এই মিছিলের পরে সন্ধ্যা থেকে শহরের অনেকগুলি জায়গায় রাস্তা দখল করবেন প্রতিবাদীরা। সেখানে বক্তব্য যেমন পেশ করা হবে, তেমনই সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেও ধ্বনিত হবে প্রতিবাদ। এই রাস্তা দখল চলবে রাত পেরিয়ে। রাত পোহালেই মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবস। বুধবার ভোরে মহালয়াও। তখনও চলবে প্রতিবাদ জানানো। কলকাতা, শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় নাগরিকদের জমায়েত থেকে আর জি কর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবি উঠবে।
গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে ট্রেনি তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে খুন করা হয়। শারীরিক নির্যাতনের চিহ্নও মিলেছে। রাজ্য সরকারের আধিকারিক এবং হাসপাতালের প্রশাসকরা এই অপরাধের চিহ্ন লোপাটের চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের সর্বত্র সোচ্চার হন মানুষ। গত প্রায় দু’ মাস ধারাবাহিক আন্দোলন চলেছে নাগরিক, গ্রামবাসীদের। আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠন। এর আগেও গত ১৪আগস্ট রাতদখল করেছেন মানুষ। তারপর লাগাতার মিছিল, সভা, মানববন্ধন হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বেশ কয়েকদিন অবস্থান করেছেন। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করতে বাধ্য হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের চাপে কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের দুই আধিকারিককে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু যে দাবিগুলি আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা উত্থাপন করেছিলেন তার সব দাবি এখনও পূরণ হয়নি। খুন, ধর্ষণের তদন্ত করছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্ট সেই তদন্তের অগ্রগতি খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যেই সেই সংক্রান্ত দু’দিন শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
আগামী ৯অক্টোবর রাজ্যে শারদীয়ার উৎসব শুরুর দিন। সেদিনই সেই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দু’ মাস পূর্ণ হবে। কিন্তু এবারের উৎসব অন্যান্য বারের মতো নয়। এবার প্রতিবাদের উচ্চারণেই উৎসব পালন করবেন রাজ্যবাসী। উৎসবে তীব্র থাকবে দাবি— ‘তিলোত্তমার বিচার চাই।’ আন্দোলনের এই পর্যায় শুরু হচ্ছে উৎসবের মুখে, শুরুয়াতে— মঙ্গলবারের মহামিছিলে।
Comments :0