এসএসসি চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলো মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার মধ্য শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চের রায়ের মডিফিকেশন চাইলো পর্ষদ।
পর্ষদের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদনে বলা হয়েছে যত দিন না পর্যন্ত নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে বা চলতি শিক্ষাবর্ষ যতদিন না শেষ হচ্ছে ততদিন যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের চাকরিতে বহাল রাখতে। পর্ষদের কথায় ২৫,৫৭২ জনের চাকরি বাতিলের যেই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে তার ফলে রাজ্যের স্কুল গুলো সমস্যার মুখে পড়বে।
ইতিমধ্যে দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারের এই দুর্নীতির ফলে যোগ্যদের চাকরি গিয়েছে। অনেক স্কুল সঙ্কটের মুখে পড়েছে। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা রয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলা। প্রথমে হাইকোর্ট তারপর সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমানে টাকা। শিক্ষা ব্যবস্থার মাথায় বসে থাকা বহু আধিকারিককে জেলে যেতে হয়েছে, যদিও অনেকে জামিন পেয়েছে বিভিন্ন মামলায়।
রাজ্য সরকারের দুর্নীতির কারণে ২৫,৫৭২ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। চাকরি হারাদের এদিন নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠক করেন মমতা। তিনি এই বৈঠকেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন নির্দিষ্ট বক্তব্য রাখতে পারেননি। ফের শুনিয়েছেন প্রতিশ্রুতি। তার সরকারের দুর্নীতির জন্য প্রায় এক লক্ষ মানুষ আজ সঙ্কটের মুখে আর তিনি কোন দায় নিচ্ছেন না।
শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তার প্রমাণিত তদন্তের মাধ্যমে। আদালত বার বার এসএসসিকে বলেছিল যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা জমা দিতে। কিন্তু এসএসসি তা করেনি। ওএমআর শিট পুড়িয়েছে এসএসসি। আর এই দুর্নীতির ফলাফল ভুগতে হচ্ছে যোগ্য চাকরিহারাদের।
Comments :0