বাসব বসাক
১৭ মে, ২০২৪-এ দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে অলিভার মিলম্যান দেখিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবিশ্ব অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ যেমনটা ভাবা গিয়েছিল আদতে তার তুলনায় অন্তত ছ’গুণ বৃদ্ধি পেতে চলেছে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণা পত্রে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আদ্রিয়ান বিলাল ও নর্থ-ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ ডিয়েগো কায়েনজিগ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি কমছে ১২% হারে এবং এভাবে চললে চলতি শতকের শেষে জিডিপি কমে যাওয়ার আশঙ্কা ৫০%। গত বছর নভেম্বরে প্রকাশিত এক আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে কেবল ২০২২ সালেই জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলিতে আবিশ্ব উৎপাদন কমেছে ৬.৩%। রিপোর্টটির প্রধান নির্মাতা ডেলাওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ জেমস রাইজিং জানাচ্ছেন, ‘বেলাগাম জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কায় ট্রিলিয়ন ডলারের উৎপাদন হ্রাসের দরুন বিশ্ব আগের তুলনায় অনেকখানি গরিব হয়ে গেছে এবং এই দারিদ্রের বোঝার বেশির ভাগটাই চেপেছে গরিব দেশগুলির ঘাড়ে’।
সাম্প্রতিকতম তথ্য জানাচ্ছে এ বছর ২১ জুলাই, ২০২৪ বিশ্বের উপরিতলের বাতাসের গড় উষ্ণতা পৌঁছেছিল ১৭.০৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, আবিশ্ব জলবায়ু বিষয়ক লিপিবদ্ধ নথির হিসাবে যা কিনা এযাবৎকালের মধ্যে নথিভুক্ত গড় সর্বোচ্চ তাপমান। এরপরেও কি আর বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকে যে চলতি শতকের শেষে সেই ২০১৫-র প্যারিস চুক্তি মোতাবেক বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধিকে আর কোনোভাবেই শিল্পায়নের যুগ শুরু হওয়ার আগের সময়কালের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখা সম্ভব নয়। ১৯৯০-এ গ্রিনল্যান্ড ও অ্যা ন্টার্কটিকা বছরে গড়ে হারিয়েছে ৮১ বিলিয়ন টন বরফ আচ্ছাদন। আর নাসা প্রকাশিত ২০২০-র মার্চের হিসাব অনুযায়ী এর মাত্র দু’দশকের মধ্যেই ওই অঞ্চলের গলে যাওয়া বরফের গড় পরিমাণ ছ’ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল বছরে ৪৭৫ বিলিয়ন টন। প্রখ্যাত সমুদ্র জলতল বিশেষজ্ঞ জন ইংল্যান্ডারের মতে মাত্র ৫% মেরু বরফের গলনের অর্থ সমুদ্রের জলতল ১০ ফুট বৃদ্ধি পাওয়া। এই সেপ্টেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল থোয়াইটস গ্লেসিয়ার কোলাবরেশনের একদল ব্রিটিশ ও মার্কিন বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন দক্ষিণ মেরুর মারফি শৃঙ্গের পূর্বে ওয়ালগ্রিন উপকূলে অবস্থিত বিস্তীর্ণ ও সুবিশাল থোয়াইটস হিমবাহটি এতটাই দ্রুত হারে গলছে যে সমুদ্রতলের উচ্চতা হঠাৎ ক’রেই ভয়ঙ্কর মাত্রায় বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। অর্থাৎ কিনা বিশ্বের সমুদ্র তটবর্তী ১৩০ টি ১০ লক্ষাধিক জনসংখ্যা বিশিষ্ট শহর এবং টোঙ্গা, টুভালু, ভানুয়াতু, পানামার মতো ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রগুলির শিয়রে শমন। কি হবে তখন ওই সব নগর ও রাষ্ট্রের অধিবাসীদের? ইতিমধ্যেই চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ, অথবা স্রেফ স্বদেশভূমির সলিল সমাধি ঘটার কারণে রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই-কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর গড়ে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষকে ভিটেমাটি, জমি জিরেতের মায়া ছেড়ে বেছে নিতে হচ্ছে চরম অনিশ্চিত আর গভীর উদ্বেগময় উদ্বাস্তু জীবন।
নিউইয়র্কস্থিত মাউন্ট সিনাই স্কুল অব মেডিসিনের চিকিৎসক অধ্যাপক পেরি ই শেফিল্ড ও ফিলিপ জে ল্যান্ডরিগান সেই ২০১০ সালেই দেখিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে বারবার সাইক্লোন, বন্যা, খরা বা তাপপ্রবাহের মতো চরম ঘটনাবলির মুখোমুখি হতে হলে তার ঋণাত্মক প্রভাব প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুমনে অনেকখানি গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলে। শারীরিক অসুস্থতার বাইরেও মানসিক ভীতি ও চাপ জনিত সমস্যা, আতঙ্ক, নিদ্রাহীনতা, মানসিক অস্থিরতা, বৌদ্ধিক অক্ষমতা ও অবসাদের শিকার হতে দেখা যায় বিশেষত শিশু-কিশোরদেরকেই। শিশুর সুস্বাস্থ্য ও বিকাশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত নির্ণায়কগুলির ঋণাত্মক বিনির্মাণ ঘটে যায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে। এ রাজ্যেও বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঘনঘন বন্যার ফলে প্রতি বছর নিয়ম করে ঘর ছাড়া হওয়া, খাদ্যের অভাবের মুখোমুখি হওয়া, পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট অথবা দীর্ঘসময়কাল জুড়ে স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনার পাট তুলে দিতে বাধ্য হওয়ায় শিশু কিশোরদের মনে এক ভয়ঙ্কর ও দীর্ঘস্থায়ী আতঙ্ক ও গভীর মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে বৈ কি!
২০২৩ সালে বিশ্বে উত্তোলিত হয়েছে মোট ৮.৭ বিলিয়ন টনেরও বেশি কয়লা আর বিশ্বে যে পরিমাণ কয়লা ব্যবহৃত হয়েছে তা থেকে মোট শক্তি উৎপাদিত হয়েছে ১৬৪.০৩ এক্সাজুল, যেখানে ১৯৬৫ সালে বিশ্বে কয়লা থেকে শক্তি উৎপাদিত হতো মাত্র ৬০ এক্সাজুলেরও কম। মনে রাখা ভালো উন্নত দেশগুলি পূর্বের তুলনায় কয়লার ব্যবহার কিছুটা কমালেও, এখনও জনপ্রতি কার্বন উদ্গীরণের নিরিখে উন্নয়নশীল কোনও দেশই আমেরিকা, কানাডা বা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির ধারে কাছে নেই। কথা ছিল উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে যেহেতু কার্বন উদ্গীরণ হ্রাস করার বিপুল খরচ নির্বাহ করা মুশকিল; তাই উন্নত দেশগুলি মিলে স্বেচ্ছামূলকভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে এ কাজে সাহায্য করতে প্রতি বছরের জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি অর্থ ভাণ্ডটার গড়ে তুলবে। কিন্তু সে সব থেকে গেছে শুধুমাত্র কথার কথা। এই সেপ্টেম্বরেই ওদেশের নাগরিক সমাজ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উষ্মা প্রকাশ ক’রে বলা হয়েছে এই মুহূর্তে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আমেরিকার উচিত বছরে অন্তত ৪৪৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করা। শুধু তাই নয়, রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে তারা ২০০৫ সালে যে পরিমাণ কার্বন উদ্গীরণ করেছে ২০৩৫ সালের মধ্যে তার থেকে ২০৩ %-এরও বেশি কার্বন উদ্গীরণ কমাতে হবে আমেরিকাকে। অথচ আমেরিকা কয়লার ব্যবহারে কিছুটা লোক দেখানো লাগাম টানলেও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের থেকে ৮২ গুণ শক্তিশালী গ্রিন হাউজ গ্যাস মিথেন উদ্গারী তরল প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন ২০৩০-এর মধ্যে ২০০ শতাংশ বাড়াতে চলেছে।
পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে কায়েম করা হয়েছে এক বিকারগ্রস্ত অতি ভোগের সংস্কৃতি। চিরায়ত চাহিদাগুলির বাইরে কেবলমাত্র কর্পোরেট মুনাফার স্বার্থে সুকৌশলে গড়ে তোলা হচ্ছে অতি ভোগের এক কালান্তক দর্শন। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ব্রান্ডগুলির মুনাফা। নাইকি, জারা, বার্শকার মতো একাধিক ব্র্যন্ডের অধিকারী ইন্ডিটেক্স কোম্পানি; এ্যাডিডাস, লুইস ভুইটন, ডায়র, গিভেঞ্জি যার অধীন সেই এলভিএমএইচ; গুচ্চি, ওয়াইএসএল-এর মূল কোম্পানি কেরিং; লুলুলেমন ইত্যাদি বিশ্বের সব থেকে নামজাদা ফ্যাশন কোম্পানিগুলির ২০২২ সালে সম্মিলিত লাভের পরিমাণ ছিল ১.২ ট্রিলিয়ন ডলার। আর তারা ২০২২-এ উদ্গীরণ করেছে মোট ৭৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সমতুল্য পরিমাণ কার্বন। গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে এই ভয়ঙ্কর তথ্য পরিবেশন করেছেন সেলিন ওগুয়েউজ। শুধু তাই নয়, এই ফ্যাশন কোম্পানিগুলিকে জলের অপর্যাপ্ত ব্যবহার ও মাটিতে প্রদূষক পদার্থের পাহাড় গড়ে তোলার জন্যেও দায়ী করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ভোগবাদী দর্শনের সযত্ন সৃজিত মোহও যে ডেকে আনছে জলবায়ু, প্রকৃতি ও পরিবেশের ভয়ানক সর্বনাশ, সে বিষয়ে আর সন্দেহ কি!
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর উন্নয়নশীল দেশগুলির নির্বাচিত সরকারকেও কার্যত এখন এজেন্টে পরিণত করে লুটের রাজত্ব কায়েম করছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। আমাদের দেশেও কর্পোরেট মুনাফার পথ প্রশস্ত করতে একদিকে যেমন লঘু করে ফেলা হচ্ছে বনাধিকার আইন, বন সংরক্ষণ সংশোধনী আইন, জীববৈচিত্র সংশোধনী আইনের মতো পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক একাধিক আইন, অন্যদিকে গত ২২ জুলাই ভারত সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের যে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে তথাকথিত বিকাশের বাগাড়ম্বরের আড়ালে নির্মাণ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহণ ও পর্যটনের মতো ক্ষেত্রগুলিতে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপের কথা বলে কার্যত সরাসরি নস্যাৎ করে দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্যোগের সঙ্গে থাকার এতদিনের অঙ্গীকারকেও। আর তাই ‘বিকাশে’র নামে ছত্তিশগড়ের হাসদেও, এ রাজ্যের দেউচা অথবা ওড়িশার তিজমালি অঞ্চলের আদিবাসী জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষগুলোকে আজ নির্বিচারে উৎখাত করা হচ্ছে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া প্রতিবাদী ওই মানুষগুলোর ওপর নামিয়ে আনা হচ্ছে চূড়ান্ত পুলিশি জুলুমবাজি। বিনা বিচারে গ্রেপ্তার, কর্পোরেট ও সরকারের পোষ্য গুন্ডা বাহিনীর আক্রমণ – এ সব কিছু সহ্য ক’রে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় আসল লড়াইটা লড়ছে এই আদিবাসী মানুষগুলোই; শুধু ভারতে নয়, সমগ্র বিশ্ব জুড়েই। আর লড়ছে নয়া প্রজন্ম। আজ থেকে বছর ছয় আগে পঞ্চদশী গ্রেটা থুনবার্গ সেই ২০১৮ সালে যে লড়াইয়ের সলতে পাকিয়েছিলেন ছাত্র সমাজকে সংগঠিত করে ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার নামক সংগঠন গড়ে তুলে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে ২০১৯ সালে অভূতপূর্ব বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট সফল করার মধ্যে দিয়ে, সেই আন্দোলন এখন আগুনের মতই ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। সঠিক ভাবেই দাবি উঠেছে ‘জলবায়ু নয়, ব্যবস্থা বদলাও’। জলবায়ু ও পরিবেশের যাবতীয় অসুখের শেকড় যে এই প্রচলিত ব্যবস্থার মধ্যেই লুকিয়ে আছে তা ধরে ফেলেছে প্রজন্ম।
আর যখনই বিশ্বজুড়ে নয়া প্রজন্ম পরিবেশ বাঁচাতে ব্যবস্থা বদলের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে তখন থেকেই নেমে এসেছে আক্রমণ। একাধিকবার গ্রেপ্তার হতে হয়েছে গ্রেটাকে। আমাদের দেশেও ২০২১ এ ব্যাঙ্গালুরুর ২২ বছর বয়সি ছাত্রী দিশা রবি ও তার দুই সহযোদ্ধা শান্তনু মুলুক ও নিকিতা জ্যাকবকে অন্যায়ভাবে দেশদ্রোহিতার মিথ্যা মামলায় জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। কেননা তারা সেই সময়কালে দিল্লির উপকণ্ঠে সত্যাগ্রহী কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে কৃষিক্ষেত্রে কর্পোরেট লুট ও তার অভিঘাতে পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন এবং সোশাল মিডিয়ায় বিষয়টি বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিলেন। এর আগে আমরা দেখেছি দিল্লির বুকে ইস্কুলের বাচ্চারা ‘চিপকো’ আন্দোলন থেকে প্রাণিত হয়ে কিভাবে স্রেফ গাছের ডালে ঝুলে থেকে ১৬০০০ গাছকে কাটতে বাধা দিয়েছে। এ রাজ্যেও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিক ও অসাধু ব্যবসায়ীর যোগসাজশে বিরাটির ৯৭ কাঠা জলাভূমি বুজিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা যেমন আপাতত রুখে দিতে পেরেছে পরিবেশ আন্দোলনের যোদ্ধারা, তেমনি নয়ানজুলি বোজানোর বিরুদ্দে আদালতের এবং রাজপথের লড়াই জারি রেখেছেন তারা।
মনে রাখা দরকার ভারতে এই মুহূর্তে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশির বয়স ২৫ বছরের নিচে। তাদের হাত ধরেই আজ সেমিনার, সিম্পোসিয়াম আর বৃক্ষরোপণের গণ্ডি পেরিয়ে, সন্দেহ নেই ক্রমশ সাবালক হচ্ছে দেশ এবং রাজ্যের পরিবেশ আন্দোলন। এ বছর এপ্রিলের পর এই সেপ্টেম্বরের ২০ থেকে ২৭ জলবায়ু-সপ্তাহ পালনের শেষ দিনে আবারও জলবায়ু-ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার। এ রাজ্যেও ২৭ সেপ্টেম্বর টিফিনের সময় স্কুল কলেজ অফিস আদালতে অন্তত মিনিট কুড়ির জন্য জলবায়ু ন্যায়ের দাবিতে সকলকে সোচ্চার হতে আহ্বান জানিয়েছে দৃপ্ত যৌবন। জলবায়ু ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ।
Comments :0