WOMEN'S RESERVATION BILL

লোকসভায় পাশ মহিলা বিল, আসন সংরক্ষণ চালু কবে রইল প্রশ্ন

জাতীয়

BJP TMC CPIM CONGRESS WOMENS RESERVATION BILL SITARAM YECHURY RAHUL GANDHI AMIT SHAH BENGALI NEWS

মহিলা সংরক্ষণ চালু হবে কবে? এই প্রশ্ন রেখেও প্রায় সব দলের সাংসদরাই সমর্থন জানালেন মহিলাদের আসন সংরক্ষণ বিলে। বুধবার লোকসভায় পাশ হয়েছে এই বিল। 

মহিলা সংরক্ষণ বিল কী ২০৩৪ সালে বাস্তবায়িত হবে? আমরা কি আরেকটা মোদী জুমলা’র সাক্ষী থাকতে চলেছি? মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে যদিও এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিপিআই(এম)’র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

এদিন ইয়েচুরি বলেছেন, আমরা ২৫ বছর ধরে এই বিলের অপেক্ষায় রয়েছি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁর প্রথম কাজ হবে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। কিন্তু এখন বিলে বলা হচ্ছে, প্রথমে জনগণনা হবে, তারপর তার ভিত্তিতে ডিলিমিটেশন হবে, তারপর সংরক্ষণ চালু হবে। অর্থাৎ এই বিল ২০৩৪ সালেও লাগু হবে কিনা, সেটা নিশ্চিত নয়। এটা কি তবে আরেকটা মোদী ‘জুমলা’? 

ইয়েচুরির আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা স্পষ্ট হয়েছে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র কথায়। বুধবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনে এই বিল নিয়ে  বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে ডিলিমিটেশন কমিশন। যদি মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত হয়, সেটার বাস্তবায়ন কে করবে? আমরা যদি হায়দরাবাদ বা ওয়েনাড আসনকে সংরক্ষণের আওতায় আনি, আপনারা বলবেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সেটা করা হয়েছে।’’

অমিত শাহ’র বক্তব্যে ডিলিমিটেশন কমিশনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৮২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, জনগণনার তথ্যের ভিত্তিতে আসন পুনর্বিন্যাস করতে হবে। গঠন করতে হবে ডিলিমিটেশন কমিশন। অপরদিকে এদেশে নতুন সেন্সাসই হবে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পরে। সেই অঙ্কে ২০২৯’র লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনওমতেই এই সংরক্ষণের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অমিত শাহ কেরালার ওয়েনাড আসনের উল্লেখ করেছেন, কারণ ওয়েনাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী ডিলিমিটেশন এবং দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টি নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন। 

রাহুল বলেন, ‘‘বিজেপির তরফে বলার চেষ্টা হচ্ছে, মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ করার জন্য নতুন জনগণনা এবং নতুন করে আসন পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন। তারজন্য ৭-৮ বছর সময় প্রয়োজন। কিন্তু আমরা মনে করি, সরকার চাইলে আজ থেকেই এই সংরক্ষণ কার্যকর করা সম্ভব।’’

বিরোধীদের বক্তব্য, সংরক্ষণের মাধ্যমে মহিলাদের অধিকার সুনিশ্চিত করার কোনও ইচ্ছা বিজেপির নেই। ২০২৪’র ‘কঠিন’ নির্বাচনের আগে এই বিল পেশ করে মহিলা ভোটের একটা অংশ সুনিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ। 

বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ বলছেন, ১৯৮৩ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment