শুধুমাত্র পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। ২০১৮'র পঞ্চায়েতও ছিল রক্তক্ষয়ী। তবে ২০২৪'র পঞ্চায়েত নির্বাচনে বোমা বাজি, ব্যালট লুঠ, ছাপ্পা, হুমকি, গুলির মুখের দাঁড়িয়েও জায়গায় জায়গায় প্রীতিরোধ করেছে বামপন্থী কর্মী সমর্থকেরা। তারপরেও তৃণমূলের আগ্রাসী মনোভাবে প্রাণ হারাতে হয়েছে ১৩ জনের।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর তৃণমূলের দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বেই প্রাণ গেছে ৬ তৃণমূল কর্মীর। বাকিদের মধ্যে রয়েছে ৩জন সিপিআই(এম) কর্মী, ১ জন কংগ্রেস কর্মী ও ১ বিজেপি কর্মী। বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা করেন কমিশনার রাজীব সিনহা। আদালত থেকে রাজ্যপাল সকলের ভর্ৎসনার মুখে পরেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে কার্যত ঢিলেঢালাই নিরাপত্তা। এমনকি স্পর্শকাতর বুথ গুলোতেও সাধারণ বুথ গুলোর মতো নিরাপত্তা রক্ষী দিয়ে নির্বাচন করানোর অভিযোগ রয়েছে কমিশনের বিরুদ্ধে।
শনিবার সকাল সাতটায় শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। ৭৩,৮৮৭টি আসনে চলছে ভোট গ্রহণ। ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫.৭৬ কোটি। নির্বাচনে লড়ছেন ২.০৬ লক্ষ প্রার্থী। ২২টি জেলা পরিষদে রয়েছে ৯২৮টি আসন, ৯,৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৬৩,২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে নির্বাচন চলছে।
Comments :0