সাংবাদিকরাও আক্রমণের মুখে পড়ছেন বারবার। ডিসেম্বরে দেশজুড়ে বিক্ষোভের পর থেকে ১৫৩ বার আক্রমণ হয়েছে সাংবাদিকদের ওপর। পেরু সরকারের সুরক্ষা কর্মীরাই আক্রমণ করছেন সাংবাদিকদের।
প্রেস বিবৃতিতে দিয়ে আক্রমণের বিশদ জানিয়েছে পেরুর সাংবাদিকদের জাতীয় মঞ্চ এএনপি। জানানো হয়েছে কেবল ১৯ জানুয়ারিতেই ২০ বার সুরক্ষা বাহিনীর হামলার মুখে পড়েন সাংবাদিকরা। জানুয়ারিতে মোট ৯৪ বার হয়েছে আক্রমণ।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভে উত্তাল পেরু। দক্ষিণপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন পেড্রো ক্যাস্টিলো। কিন্তু জাতীয় আইনসভা কংগ্রেসে পাল্লা ভারী দক্ষিণপন্থীদেরই। কংগ্রেসেরই সক্রিয়তায় গত ৭ ডিসেম্বর ক্যাস্টিলোকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকে বিক্ষোভ ভেঙে পড়েছে পেরুতে।
রাষ্ট্রপতি পদে আসীন দিনা বোলুয়ার্তে সরকারকে ঘিরে ক্ষোভ দেশের সর্বত্র ধরা পড়েছে। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী লিমা তো বটেই, অন শহরেও হয়েছে মিছিল। প্রতি ক্ষেত্রেই বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে নেমেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
বোলুয়ার্তে প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ীই অন্তত ৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন বিক্ষোভের জেরে। প্রশাসন জানিয়েছে নিহতদের মধ্যে কয়েকজন সুরক্ষা কর্মীও আছেন। তবে বাকি সবই যে বিক্ষোভকারী, মানতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসনও।
বোলুয়ার্তেকে সম্ভাব্য সঙ্গী হিসেবে মনে করায় নিপীড়ন পর্বে একেবারে চুপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের ধনী সব দেশের সরকার।
বিক্ষোভে প্রধান দাবি বোলুয়ার্তেকে পদত্যাগ করতে হবে। চলতি বছরের গোড়ার দিকেই করাতে হবে জাতীয় সংসদের নির্বাচন।
Comments :0