GAZA

গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড়ে হামলা ইজরায়েলের, নিহত ৫, নিখোঁজ ৫০

আন্তর্জাতিক

একমুঠো খাবারের জন্য। গাজার এই ছবি সোশাল মিডিয়া থেকে।

ত্রাণের ট্রাক লক্ষ্য করে বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। চরম ক্ষুধায় আক্রান্ত গাজায় ময়দা ভরা ট্রাক ঘিরে জনতার ভিড়ে পড়েছে বোমা। প্যালেস্তাইনের অন্তত ৫ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আরও ৫০। 
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে প্যালেস্তিনীয়দের হটিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন সরাসরি। আমেরিকার দোসর ইজরায়েল আরও আগ্রাসী আক্রমণ শানিয়ে চলেছে গাজার একের পর এক বসতিতে।
গাজায় ইজরায়েলের অবরোধে ঢুকতে পারছে না ত্রাণের সরঞ্জাম। ক্ষুধা, অপুষ্টিতে মহামারীর আশঙ্কা জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। আন্তর্জাতিক জনমত তীব্র ইজরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে। তবু বেপরোয়া ইজরায়েল।
প্যালেস্তাইনের নাগরিকরা সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘হত্যার আনন্দে মেতে উঠেছে ইজরায়েলের সেনা।’ গাজার জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরের কাছে শনিবারও বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। ত্রাণের সারিতে এর আগেও দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলে। প্রতিবারই বলা হয়েছে যে ভিড়ে মিশে ছিল হামাসের সদস্যরা। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ বলেছেন, ‘গাজার পরিস্থিতি নিষ্ঠুর সংঘাতের নিষ্ঠুরতম পর্বে পৌঁছেছে’। প্যালেস্তিনীয়রা ক্ষুধায় মরছেন। দরকারের তুলনায় এক চামচ ত্রাণও ঢুকতে দিচ্ছে না ইজরায়েল। 
গত শুক্রবার গাজায় ময়দার ট্রাকে বোমা পড়ার পর ৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বলা হয়েছে যে আরও ৫০ জনের খোঁজ এখনও নেই, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারের কাজ চলছে।
বরাবরের মতো ইজরায়েল দাবি করেছে নিহতেরা  বন্দুকবাজ, লুটেরা। ত্রাণ লুট করতে এসেছিল তারা।  
শুক্রবারই গাজার দক্ষিণে দশ শিশুকে ঘরে রেখে নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন চিকিৎসক আলা আল নাজার। কয়েক ঘন্টা বাদে তাঁর সাত সন্তানের ঝলসে যাওয়া দেহ পৌঁছেছিল সেই হাসপাতালেই। গাজার অসামরিক প্রশাসন জানিয়েছে ইজরায়েলের সেনার হামলাতেই মৃত্যু এই শিশুদের। তাদের বয়স ১২ বছর থেকে ৭ মাস।
এদিকে ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ঘিরে ক্ষোভ সমানে বাড়ছে। গাজায় হামাসের হাতে বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, নেতানিয়াহু অনির্দিষ্টকাল যুদ্ধ চালিয়ে যেতে আগ্রহী। বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য আলোচনা চালানোর ভাবনা বিন্দুমাত্র নেই।

Comments :0

Login to leave a comment