South 24 Parganas Raped

রেহাই পেলেন না ৭৫ বছরের বৃদ্ধাও! দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ

রাজ্য জেলা

তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পাশে এবার ধর্ষিতা হলেন এক বৃদ্ধা। দুস্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পেলেন না ৭৫ বছরের ওই বৃদ্ধাও। পরপর ৩ জন তাঁকে ধর্ষণ করে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। এমনকি মারধরও করা হয় তাঁকে। নির্যাতিতা ওই বৃদ্ধাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। শনিবার রাতে বর্বরোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে নোদাখালি থানার অন্তর্গত বজবজ ২ ব্লকেররানিয়া অঞ্চল এলাকায়। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় মানুষেরা। সিপিআই(এম) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক রতন বাগচী এই ঘটনায় সাংবাদিকদের এক প্রতিক্রীয়ায় বলেছেন, রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর সময়কালে মহিলারাও নিরাপদ নয়। গোটা রাজ্য জুড়ে শিশু, মহিলাদের উপর নির্যাতন, অত্যাচার বেড়েই চলেছে। ৭৫ বছরের বৃদ্ধাও ছাড় পেলেন না। দুস্কৃতীদের দৌরাত্ব বেড়েই চলেছে। আইনের কোন শাসন নেই। অপরাধীরা মনে করছে রাজ্যে তাদের সরকার চলছে। 
স্থানীয় গ্রামবাসীদের কথায়, রাজ্যে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। আর অশীতিপর বৃদ্ধাও ধর্ষিতা হচ্ছেন। মহিলাদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। আইনের কোন শাসন নেই। এই ঘটনা যেনো আবার পুলিশধামাচাপা না দেয়। তদন্ত করে অপরাধীদের খুঁজে গ্রেপ্তার করতে হবে ও কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এদিকে বৃদ্ধাকে পরপর ধর্ষণের ঘটনার খবর মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তেই রবিবার ঘটনাস্থলে আসেন সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মোহন চন্দ্র নস্করসহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা এদিন জানান, তৃণমূল কার্যালয়ের পাশে একটি চালাতে ওই বৃদ্ধা থাকতেন। গ্রামের ভিতরে তাঁদের বাড়ি থাকলেও ওই দম্পতি ঠাকুরের এই চালাতেই বাস করতেন। বছর দুয়েক আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর বৃদ্ধা এখানে একাই থাকতেন। দুপুরে বাড়িতে খাওয়ার সময় টুকু ছাড়া সব সময় তিনি কালি প্রতিমার কাছেই থাকতেন। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পাশে ওই চালাতেই প্রায় প্রতিদিন মদ, মাংসের আসর বসে। শনিবার রাত প্রায় ১ টা নাগাদ মোটর বাইকে ৪ জন দুস্কৃতী আসে। তারা ওই বৃদ্ধাকে দিয়ে কালি প্রতিমার সোনার নাক ছাবি খুলিয়ে নেয়। শীতের নিস্তব্ধ রাতে কালি প্রতিমার সামনেই ওই চালায় পরপর ৩ জন ধর্ষণ করে। এমনকি বৃদ্ধাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর ওই দুস্কৃতীরা মোটর বাইকে চম্পট দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। ঘটনার পর নোদাখালি থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে মুচিশা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করে। রবিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে তাঁকে নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ। বৃদ্ধাকে ধর্ষণের ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মুখে কুলুপ এঁটেছেন ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার আধিকারিকরাও। সিপিআই(এম) বুড়ুল সাতগাছিয়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক প্রবীর দাস জানিয়েছেন, বিচারের দাবিতে নির্যাতিতা ওই বৃদ্ধার পাশে দাঁড়াতে সিপিআই(এম) ও মহিলা ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন।

Comments :0

Login to leave a comment