সঞ্চারী চট্টোপাধ্যায়: তিরুবনন্তপুরম
ধর্মীয় এবং সামাজিক বিচারে প্রান্তিক অংশের মহিলাদের মধ্যেও পৌঁছাচ্ছে মহিলা সমিতি। দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই রয়েছে এই অভিজ্ঞতা। মুসলিম, দলিত এবং আদিবাসী মহিলাদের সংগঠিত করার অভিজ্ঞতা সম্মেলনে ভাগ করে নিচ্ছেন বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা।
গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির ত্রয়োদশ সর্বভারতীয় সম্মেলন। রবিবার চলেছে সাংগঠনিক রিপোর্টের ওপর আলোচনা। তিরুবনন্তপুরমে সম্মেলন মঞ্চে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা জানাচ্ছেন প্রতিনিধিরা।
দলিত মহিলাদের সংগঠিত করার বিশেষ প্রয়াসের কথা জানিয়েছেন মধ্য প্রদেশের প্রতিনিধি। কর্ণাটকে রেগায় যুক্ত মহিলা শ্রমিকদের সংগঠিত করার কাজে বিশেষ সাফল্য এসেছে। সংগঠনের সভানেত্রী মালিনী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যে একশো দিনের কাজ সম্পর্কে মহিলা সমিতির নেত্রী-সংগঠকদের পরামর্শ অনেক সময়ই খারিজ করতে পারছেন না আধিকারিকরা। সংগঠকদের বাস্তব অভিজ্ঞতাই তার বড় কারণ।
মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধি উল্লেখ করেছেন, ঋতুস্রাবে স্বাস্থ্যসম্মত বিধি কী তা নিয়ে সচেতনা প্রসারের কাজ হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে মহিলা সমিতি বিপন্ন অংশের কাছে পৌঁছেছে কোভিডজনিত বাধার মধ্যেও।
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে মালিনী ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার সময় সংগঠন বিশেষ জোর দেয় বিপন্ন মহিলাদের কাছে পৌঁছানোয়। হিন্দু এবং মুসলিম, দুই সম্প্রদায়েরই বিপন্ন মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সংগঠন।’’
ভট্টাচার্য বলেছেন, মনরেগার চালু প্রকল্পের কাজের জন্য আন্দোলন জারি রয়েছে। পাশাপাশি শহরাঞ্চলে এই প্রকল্প প্রসারিত করার পক্ষেও জনমত তৈরির কাজ চালাচ্ছে সংগঠন। শহরাঞ্চলেও কর্মহীনতার সঙ্কট তীব্র।
কোভিডের সময়ে কেরালায় পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায় রাজ্যের বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকার। পরিবেশ এ রাজ্যে সহায়ক ছিল। কিন্তু মহিলা সমিতিও নিজের উদ্যোগে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে থেকেছে। দেশের অন্য প্রান্তে যখন পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘিরে বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে, এ রাজ্যে তাঁদের ‘অতিথি’ বলা হয়েছে সম্মানের সঙ্গে। এই প্রচারে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন মহিলা সংগঠকরা।
এদিন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিদের পক্ষে আলোচনা করেছেন সিক্তা জোয়ারদার। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কোভিডে ত্রাণের কাজে বাধা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও সংগঠন পৌঁছে বিপন্ন অংশের কাছে।
(সম্মেলন মঞ্চে প্রতিনিধিরাই অংশ নিলেন বৃন্দ গান এবং সমবেত নৃত্যে। (নিচে) আলোচনা করছেন এক প্রতিনিধি। ছবি: অচ্যুৎ রায়)।
Comments :0