একনাগাড়ে বৃষ্টি। এর মধ্যেই ভাঙল নদী বাঁধ। মালদহের ভূতনির দক্ষিণ চন্ডিপুরে বাঁধ ভেঙে পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেচ দপ্তরের অস্থায়ী বাঁধের একাংশ বুধবার সকালে জলের তোড়ে ভেসে যায়। ওই এলাকা দিয়ে হু হু করে ঢুকছে গঙ্গা ও ফুলহার নদীর জল। পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা। বিপন্ন হতে পারে ভুতনির দক্ষিন চন্ডিপুর, হীরানন্দপুর ও উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বর্তমানে গঙ্গা নদীর জলস্তর বইছে চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে। এই পরিস্থিতিতে বাঁধ ভেঙে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক। গত মাসেই ওই এলাকায় অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করেছিল সেচ দপ্তর। নবনির্মিত সেই বাঁধের একাংশ এদিন সকালে জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ায় প্রশ্ন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন সিপিআই(এম) নেতা দেবজ্যোতি সিনহা। তাঁর মন্তব্য, 'রাজ্য সরকার ইচ্ছে করে বন্যায় ডুবালো ভুতনির মানুষকে। একবছর আগে আমাদের আশঙ্কা সত্য হল। জেলার প্রধান নদীগুলির জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে, যার ফলে রতুয়া ও মানিকচক ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জলবন্দী বহু মানুষ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে, লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়েছেন এবং তাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের প্রয়োজন। লাল ঝাণ্ডার কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ত্রাণের জন্য।'
Comments :0