ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মিরিকের রিলিফ ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রবীন সিপিআই(এম) নেতা অশোক ভট্টাচার্য। শুক্রবার ভূমিধসে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দার্জিলিঙ জেলার মিরিক মহকুমার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে গিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন তিনি। সিপিআই(এম) দার্জিলিঙ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ভূমি ধস এলাকায় পৌঁছে যাওয়া প্রতিনিধি দলে প্রবীন পার্টি নেতার সাথে ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য গৌতম ঘোষ, জেলা কমিটির পক্ষে বিকাশ চক্রবর্তী, রাজু সরকার ও সুবীর পাল।
এদিন অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি সৌরনি রিলিফ ক্যাম্প, নওমাইল শিমুল ক্লাব রিলিফ ক্যাম্প এবং নন্দলাল রিলিফ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে আশ্রিত মানুষদের সঙ্গে কথা বসিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দের কাছে বলেন, শনিবার রাতে ভূমিধসের পর রবিবার থেকে এই পাঁচদিন ধরে রিলিফ ক্যাম্পেই রয়েছেন। কিন্তু কবে ঘরে ফিরতে পারবেন তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। যেসব এলাকায় তাঁদের ঘরবাড়ি ছিল, সেই জায়গাগুলো বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতা ও উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছি। এলাকার বাচ্চাদের পড়াশুনা বন্ধ। তারা স্কুলে যেতে পারছে না। পড়াশুনায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে। পাহাড়ের মানুষের এতো বড় বিপদের দিনে প্রিয় পার্টি নেতাকে এতোটা কাছে পেয়ে রিলিফ ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া মানুষ আবেগ প্রবন হয়ে পড়েন।
এই অসহায় পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর প্রবীন সিপিআই(এম) নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, একটা সময় এখানকার বিধায়ক ছিলাম। বহু পুরোনো মানুষের সাথে দেখা হয়েছে। অতীতে মিরিক এলাকায় উন্নয়নের কাজ যেভাবে হয়েছে তাঁরা সেকথা স্মরনে রেখেছেন। দ্রুততার সাথে সরকারের উচিৎ সর্বশান্ত মানুষদের জন্য স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ও চাকরির কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু যারা ভূমি ধসে সম্পূর্ণভাবে ঘর বাড়ি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কি হবে? দাবি জানান, ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকারকেই ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি করে দেবার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার দায়িত্ব নিতে হবে। এই বিপর্যয়ের সময় সরকার ও জিটিএ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না দাঁড়ালে বিপর্যয়গ্রস্ত মানুষজনের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাটা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়বে। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থাগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আবেদন জানান তিনি। পাহাড়ের মানুষ লড়াই করে অতিদ্রুত ফের জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ঘুরে দাঁড়াবেন এই আশা প্রকাশ করেছেন ভট্টাচার্য।
Comments :0