বৃহস্পতিবার সকালে হরিয়ানার নারনাউলে একটি স্কুল বাস উল্টে ছয় শিশু মারা গেছে এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। কানিনার উনহানি গ্রামের কাছে জিএল পাবলিক স্কুলের বাসটি উল্টে যায়। জেলা শিক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। গাড়ির চালক হয়তো মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ঈদুল ফিতরের ছুটি থাকা সত্ত্বেও স্কুলটি চালু ছিল’’। তিনি বলেন, নথিপত্র অনুয়ায়ী দেখা যাচ্ছে যে বাসের ফিটনেস শংসাপত্রের মেয়াদ ছয় বছর আগে ২০১৮ সালে শেষ হয়ে গিয়েছে।
প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মহেন্দ্রগড়ে একটি গাড়িকে ওভারটেক করার সময় স্কুল বাসটি উল্টে যায়। একজন পুলিশের আধিকারীক বলেন, ‘‘মহেন্দ্রগড়ের কানিনা শহরে অবস্থিত জিএল পাবলিক স্কুলের বাসটি বৃহস্পতিবার সকালে শিশুদের নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল। উনহানী গ্রামের কাছে ওভারটেক করার সময় হঠাৎ স্কুল বাসটি উল্টে যায়। এ সময় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ও চিৎকারের শব্দ হয়। ঘটনায় ছয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে এবং বেশ কিছু স্কুল শিশু আহত হয়েছে’’।
মহেন্দ্রগড়ের নিহাল হাসপাতালের চিকিৎসক রবি কৌশিক বলেছেন, ‘‘ চার ছাত্রকে মৃত আনা হয়েছিল এবং একজন গুরুতর ছাত্র যাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসা চলাকালীন দুজন মারা গেছে। আহত ছাত্রদেরকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
পুলিশের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাসটিতে মোট ২০ থেকে ২৫ জন জন পড়ুয়া ছিল। আহত শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চালক ঘুমিয়ে ছিলেন নাকি নেশাগ্রস্ত ছিলেন তা খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ ঈদে সব সরকারি অফিস ও স্কুলে ছুটি রয়েছে। এরপরও বেসরকারি স্কুল ছুটি ঘোষণা করেনি।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, স্কুল বাসের চালক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বাসটি খুব দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল এবং ভারসাম্য হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে এবং অনেক শিশুর মৃত্যু হয় অনেকে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন আধিকারীকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ওভারটেক কারণেই দুর্ঘটনার কারণ বলা হচ্ছে।
Comments :0