মীর আফরোজ জামান: ঢাকা
বাংলার মাটিতে আওয়ামি লিগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার অর্থ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও মূল্যবোধকে নির্বাসিত করা। স্বাধীনতাবিরোধীদের নগ্ন উল্লম্ফনকে প্রশ্রয় দেওয়া।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে এমনই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আওয়ামি লিগ। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের তীব্র সমালোচনা করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন এই রাজনৈতিক দল।
ইউনুস সরকার আওয়ামি লিগের সরকার বলেছে, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামি লিগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
কড়া প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামি লিগ বলেছে, "আমরা ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী ইউনুস সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি এবং তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’
দলের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘ফ্যাসিস্ট ইউনুস সরকারের এই সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ যথোচিতভাবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে যাবে।’’
আওয়ামি লিগ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নলেছে যে অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে বাংলার জনগণ হতবাক ও ক্ষুব্ধ। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। যে দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, আজ স্বাধীন দেশে সেই আওয়ামি লিগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে জনগণের রায়ে নির্বাচিত না হওয়া অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট ইউনুস সরকার। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট ইউনুস সরকার বাংলাদেশের মাটিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর উর্বর ভূমিতে পরিণত করতে চায়।
উল্লেখ্য, ছাত্রদের সাম্প্রতিক শাহবাগের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামি লিগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে বলে শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামি লিগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শাহবাগের এই বিক্ষোভকে আওয়ামি লিগ যদিও ‘সরকার পোষিত’ আখ্যা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা নুর আহমেদ বকুল এই প্রতিবেদককে বলেন, ইউনুস সরকারের ওই সিদ্ধান্ত সংবিধানের লঙ্ঘন। আমরা নিন্দা জানাচ্ছি।
Comments :0