— খোদ কলকাতার বুকে আরএসএস-বিজেপি’র বুলডোজার মডেল সুপরিকল্পিতভাবে কার্যকর করছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। নিউমার্কেট সংলগ্ন মধ্য কলকাতার মুসলিম ইনস্টিটিউট হলের আশেপাশে গরিব সংখ্যালঘু মানুষজনের ঝুপড়ি বিনা নোটিসে ভাঙচুর করে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায় পুলিশ। পড়ুয়াদের বই, খাতা, লেখাপড়ার সমস্ত কাগজপত্র নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আচমকা মুসলিম ইনস্টিটিউটের আশেপাশের সমস্ত ঝুপড়ি বিনা নোটিসে ভেঙে দেয় কলকাতা পুলিশ। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সহ সরকারি নথি থাকা সত্ত্বেও ঘরছাড়া হতে হয় কয়েকশো মানুষকে। সরকারি নথি, ছাত্র-ছাত্রীদের বই খাতা সহ যাবতীয় জিনিস নিয়ে গেছে পুলিশ।
খবর পাওয়ার সাথে সাথেই এসএফআই, ডিওয়াইএফআই ও সিআইটিইউ নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। ভাঙার কাজ আটকে দেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে উচ্ছেদ হওয়া মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন। কার নির্দেশে এই উচ্ছেদ অভিযান হলো তার জবাব চান। ছাত্র-যুব ও শ্রমিক নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে ভাঙার কাজ শেষপর্যন্ত আটকে গিয়েছে।
প্রতিবাদী নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন তুলেছেন, এই ভাঙার নির্দেশ কোন কর্তৃপক্ষ দিয়েছে? যে কেউ একটা পে-লোডার বা বুলডোজার ভাড়া করতে পারলেই তো জীবন্ত মানুষ, সে বৈধ, অবৈধ যেমন বসবাসকারী হোক, তাঁদের ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে না। উচ্ছেদের তো বৈধ একটা প্রক্রিয়া, আদেশ, এক্তিয়ার থাকতে হবে। আর ঘর ভাঙা যাবে না। বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকেই। ডিওয়াইএফআই চৌরঙ্গী পশ্চিম আঞ্চলিক কমিটি এলাকার কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান।
Kolkata Bulldozer Model
বুলডোজার মডেল’ কলকাতাতেও! মুসলিম ইনস্টিটিউটে ঘরহারাদের ত্রাণ দিল ছাত্রযুবরা

×
Comments :0