প্রধানমন্ত্রী বিহারে প্রচার শুরু করবেন ২৪ অক্টোবর। এর মধ্যেই প্রচারে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অমিত শাহ। প্রচারের মুখ্য বিষয় ‘অনুপ্রবেশ’ এবং এসআইআর। অনুপ্রবেশের নামে বিভাজনের এই রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রচার করছে সিপিআই(এম)।
পূর্ব চম্পারনের পিপরা বিধানসভা কেন্দ্রে মনোনয়ন পত্র জমা দেন সিপিআই(এম) প্রার্থী রাজমঙ্গল প্রসাদ। মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর হয়েছে জনসভাও। জনসভায় বিজেপি জোট এবং বিভাজনের নীতিকে হারানোর আহ্বান জানিয়েছেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য অমরা রাম।
বিহারে চার কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম আগেই ঘোষণা করেছে সিপিআই(এম)। মানঝিতে ডঃ সত্যেন্দ্র যাদব, সমস্তিপুরে অজয় কুমার, হায়াঘাট কেন্দ্রে শ্যাম ভারতী এবং পিপরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজমঙ্গল প্রসাদ।
পিপরার সমাবেশে ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক লালন চৌধুরী এবং অবধেশ কুমারও।
বক্তারা বলেছেন, বিভাজনের রাজনীতি এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতির রাজনীতির বিরুদ্ধে রায় দিতে চান বিহারের জনতা। অবধেশ কুমার বলেছেন, কুড়ি বছর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর সঙ্গে জোট গড়ে সরকারে রয়েছে বিজেপি। অথচ স্বরাষ্টরমন্ত্রীর কথায় উন্নয়ন কী হয়েছে বোঝা যাচ্ছে না।
অনুপ্রবেশ ধরারা নাম করে এসআইআর হলেও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্কাশের পরও কমিশন জানায়নি অনুপ্রবেশকারী হওয়ায় নাম বাদ গিয়েছে কাদের।
এদিকে অমিত শাহ বলেছেন যে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে ভোট লড়লেও ফল ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবে এনডিএ। তার পালটা রবিবার নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ’র একাধিক নেতা বলেছেন যে ভোটে জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন নীতীশই। জেডিইউ’র সঙ্গে বিজেপি’র বিরোধ তীব্র হয়েছে চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিকে নিয়ে।
রবিবার কংগ্রেস দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। নভেম্বরের ৬ এবং ১১ তারিখ, দু’দফায় ভোট বিহারে। ১৪ নভেম্বর হবে ফলগণনা। বিহারের নির্বাচনেই বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করে নির্বাচন কমিশন। জনতার কাছে যে নথি থাকে সেগুলিকে বাদ দিয়ে অন্য নথির তালিকা প্রকাশ করে ভোটদাতাকে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে বলা হয়। খসড়া তালিকাতেই বাদ পড়েছে ৬৫ লক্ষ নাম। প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা ঘিরে সুপ্রিম কোর্টে কমিশন বারবার ধাক্কা খেয়েছে। মুসলিমদের নাম বাদের হার অস্বাভাবিক কেন তা নিয়ে কমিশন প্রশ্নের মুখে পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
এরই মধ্যে রবিবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ২৫ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করল আসাউদ্দীন ওয়েইসির দল এআইএমআইএম। মুসলিম সংখ্যালঘু প্রধান সীমাঞ্চলের পাশাপাশি মিথিলাঞ্চলেই বেশি প্রার্থী দিয়েছেন ওয়েইসি।
এখনো পর্যন্ত ৪৮ প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। বিজেপি-জেডিইউ জোট বিরোধী মহাগটবন্ধনে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি রবিবারও। আরজেডি, কংগ্রেস, বামপন্থীদের সঙ্গে একাধিক দল রয়েছে এই নির্বাচবনী জোটে।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের পাশাপাশি এবার বিহার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের নবনির্মিত জনসূর্য পার্টি।
Bihar CPI-M
বিহারে প্রচারে অমরা রাম, অনুপ্রবেশের নামে বিভাজনের রাজনীতিকে ধিক্কার সিপিআই(এম)’র

×
Comments :0