মহেশতলা-মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলে শান্তি মিছিল থেকে বামপন্থী নেতৃবৃন্দের গ্রেপ্তারির তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে সিপিআই(এম)। শুক্রবার সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক আটক বামপন্থী নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
এদিন বিকেলে মেটিয়াবুরুজ, গার্ডেনরিচ, মহেশতলায় শান্তি মিছিলের ডাক দিয়েছিল বামপন্থী গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি। ‘সংবিধান বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান তুলে ঐক্যের বার্তা দিতে ছিল এই মিছিল।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুন মহেশতলা থানার সামনেই সংঘর্ষ দেখা গিয়েছিল। স্পষ্টই বোঝা গিয়েছিল বিভাজনের রাজনীতি উসকানি ছড়াচ্ছে।
যে পুলিশ পুরো ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে বহু সময় লাগিয়ে দিয়েছিল তারাই এদিন বামপন্থী নেতা-কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। টেনে-হিঁচড়ে ধাক্কা দিতে দিতে ভ্যানে তোলা হয় বামপন্থী নেতৃবৃন্দকে।
ঘটনার তীব্র নিন্দায় সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, শান্তি সম্প্রীতির জন্য বামপন্থী ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির পক্ষ থেকে মিছিল করলে সরকার তাদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয়, অথচ যারা এই অঞ্চলে অশান্তি, প্ররোচনা ছড়িয়েছে এবং এখনও ছড়াচ্ছে, সেই বিজেপি-তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশের সামনেই।
সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটি বিবৃতিতে বলেছে, মহেশতলা মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং শান্তির জন্য বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ দলসমূহের এক শান্তি মিছিলের কর্মসূচী ছিল বটতলা রেল লাইন থেকে। সেখানে মিছিলে যোগদানের উদ্দেশ্যে সংগঠকরা উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ বিশাল বাহিনী নিয়ে গ্রেপ্তার করা শুরু করে। সিপিআই(এম) কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল মজুমদার সহ সিপিআই এমএল লিবারেশন, আরএসপির নেতৃত্ব-কর্মী সহ ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের গ্রেপ্তার করে লালবাজার, পোর্ট ইত্যাদি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তৃণমূল সরকারের পুলিশের অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী কাজের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে অবিলম্বে কর্মী ও নেতৃবৃন্দকে বিনা শর্তে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সিপি আই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
উল্লেখ্য, এদিন রাতে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁদের।
Comments :0