Delhi 25 Counting

গণনা দিল্লিতে: বিজেপি ৪৪, আপ ২৫ আসনে এগিয়ে

জাতীয়

দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে গণনা শুরুর পর একেবারে প্রাথমিক প্রবণতা জানাচ্ছে আপ এগিয়ে ২৫ আসনে, বিজেপি এগিয়ে ৪৪ আসনে। 
৭০ আসনের বিধানসভায় স্পষ্ট গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩৬ টি আসন।
 দিল্লির মসনদে দু’দশক পর বিজেপিই বসবে বলে গোদী মিডিয়া এবং বিজেপি’র পেটোয়া সংস্থাগুলি একটানা প্রচার চালিয়ে গেলেও আম আদমি পার্টি (আপ) আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শুক্রবার জানিয়েছে, রাজধানীতে ফের ক্ষমতায় ফিরবে তারাই। সত্তর আসনের দিল্লি বিধানসভায় ভোট হয়েছে বুধবার। ফল ঘোষণা হবে শনিবার। সরকার গঠনে দরকার ৩৬ আসন। ভোটের আগে থেকেই নরেন্দ্র মোদীর পছন্দের সংবাদমাধ্যমগুলি দামামা বাজিয়েছে, বিজেপি’র দিল্লি-জয় নিয়ে। ভোটের দিন সন্ধ্যায় প্রকাশিত বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও বিজেপি ঘনিষ্ঠ সমস্ত সংস্থা মোদী বাহিনীর বিপুল জয় দেখিয়েছে। যদিও আপ নেতা গোপাল রাই এদিন জোরের সঙ্গে বলেছেন, ‘পঞ্চাশেরও বেশি আসনে আমরা জিতব। সাত-আটটি কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।’ এরইমধ্যে বিজেপি’র বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার চেষ্টার অভিযোগ উঠে গিয়েছে। আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছেন, তাঁর দলের ১৬ জনকে কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। বাবরপুর কেন্দ্রের আপ প্রার্থী এদিন সরাসরিই জানিয়েছেন, তাঁকে ফোন করে মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বিরোধী শিবির থেকে। দল পাল্টানোর জন্য টাকা ‘অফার’ করাও হচ্ছে।  
আপ নেতৃত্ব দলের সমস্ত প্রার্থীদের সঙ্গে এদিন বৈঠক করেছে। তাঁদের থেকে পাওয়া বাস্তব রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরে সাংবাদিকদের সামনে রাই খোঁচা মেরে বলেন, ‘বুথ ফেরত সমীক্ষার মাধ্যমে বিরোধী দল বিজেপি রাজ্যে তাদের সরকার গড়ার ভাষ্য তৈরি করেছে। আসলে অনিবার্য পরাজয়ের হতাশা থেকেই ওরা এসব করছে।’ রাই জানান, এদিনের বৈঠকে বাবরপুর কেন্দ্রের আপ প্রার্থী জানিয়েছেন, তাঁকে টাকা ‘অফার’ করা হচ্ছে দল ছাড়ার জন্য। বিজেপি বুথ ফেরত সমীক্ষাকে কাজে লাগিয়ে মানসিক চাপ তৈরির চেষ্টা করছে। তবে কোনোভাবেই অপারেশন লোটাস সফল হবে না। আমরা চাই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে গণনা হোক। তবে আমাদের প্রার্থীরাও প্রস্তুত আছেন, গণ্ডগোল হলে তা মোকাবিলা করার জন্য। জনগণ আপকেই সরকার গঠনের অনুমতি দিয়েছে। তাঁদের সেই ইচ্ছা, সেই সিদ্ধান্তের অন্যথা আমরা হতে দেব না। আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া বলেছেন, ‘বিজেপি কখনোই গণতান্ত্রিক পথে বিশ্বাসী নয়। অর্থই ভরসা ওদের। এই গালিগালাজ পার্টি জঘন্য পদ্ধতিতে ভোট করে। শনিবারের পর সব খেলা শেষ হয়ে যাবে।’
এদিকে, কেজরিওয়াল এদিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ‘১৭ সি ফর্ম আপলোড করা হচ্ছে না। এই ফর্মে প্রতিটি নির্বাচনী বুথের ভোট গ্রহণের সমস্ত তথ্যা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেওয়া থাকে। গোটা দিন ধরে আমরা সব বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেক বুথের তথ্য দিয়েছি। যাতে ভোটাররা সেগুলি দেখতে পান। কমিশনের উচিত ছিল এই স্বচ্ছতা বজায় রাখা। দুঃখের বিষয়, তারা সেটা করছে না।’ অন্যান্য রাজ্যগুলির মতোই দিল্লিতেও বিজেপি সমস্তরকমভাবে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিজেপি’র বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনার চেষ্টার অভিযোগ করায় কেজরিওয়ালেকে দিল্লির দুর্নীতিদমন শাখা আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে লড়াই আপ, কংগ্রেস, বিজেপি-র হলেও সংবাদমাধ্যমে মূলত দ্বিমুখী লড়াই দেখানো হচ্ছে। বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও কংগ্রেসকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
 

Comments :0

Login to leave a comment