বহু বছর ধরে চাষের জমি থেকে কৃষকদের উচ্ছেদ রুখলেন কৃষকরা। কর্ণাটকের টুমকুরের কৃষকরা। সারা ভারত কৃষক সভার নেতৃত্বে হয়েছে প্রতিরোধ। রাজ্যের বন দপ্তরকে আপাতত পিছু হটতে হয়েছে প্রতিরোধের মুখে পড়ে।
এলাকার কৃষকনেতা দোদনজাইয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশের আক্রমণে আহত হয়েছেন মোট ৩০ কৃষক।
বন দপ্তর দু’দিন আগেই যায় টুমকুর জেলার কেপিআরএস গুব্বি মহকুমায়। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যান বন দপ্তরের আধিকারিকরা। কৃষকরা প্রতিবাদ জানান। কিন্তু প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করেই পরিখা খোঁড়া হয় যাতে জমিতে চাষ না করতে পারেন কৃষকরা।
কর্ণাটকে পরিভাষায় বনাঞ্চল লাগোয়া এমন জমি ‘বগায়র হুকুম’, মানে বিনা অনুমতিতে চাষের জমি। কৃষকসভার বক্তব্য, প্রজন্মের পর প্রজন্ম চাষ করলেও সরকারই পাট্টা দেয়নি কৃষকদের।
মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ‘বগায়র হুকুম’ জমিতে চাষাবাদের বৈধ অনুমতিপত্র দেওয়ার ঘোষণাও করেছে বিধানসভায়। কার্যক্ষেত্রে একেবারে উলটো পথে চলছে বিজেপি সরকার। উচ্ছেদ করা হচ্ছে কৃষকদের। ব্রিটিশ শাসনের কায়দা একেবারে হুবহু অনুসরণ করা হচ্ছে।
কৃষক সভা জানিয়েছে যে নালা খোঁড়ার বৈধ আদেশ দেখাতে পারেনি বন দপ্তর। কিন্তু প্রতিবাদে নামায় কৃষকদের ওপর আক্রমণ হয়। কেপিআরএস গুব্বি তালুকে কৃষক সভার সভাপতি দোদনজাইয়া মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তাঁর মাথায় ৩১টি সেলাই পড়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নালা বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার চাষের জমিতে ফের ঢুকেছেন কৃষকরা। এদিন কৃষকরা হাতে লাল পতাকা নিয়ে ট্র্যাক্টরে লাল পতাকা লাগিয়ে নিজেদের চাষের জমি নিজেদের দখলে নেন।
Comments :0