Left Palestine

মোদী সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ, ১৭ জুন প্যালেস্তাইন সংহতি দিবসের ডাক বামপন্থীদের

জাতীয়

বরাবরের অবস্থান বদলে আগ্রাসী ইজরায়েলের পক্ষে থাকছে ভারত। প্যালেস্তিনীয় জনগণের আকাঙ্ক্ষার পক্ষে অবস্থানের ঐতিহাসিক ভূমিকা থেকে সরে যাচ্ছে সরকার। বিদেশনীতিতে অভিমুখের এই বদল লজ্জাজনক। 
১৭ জুন দেশে ‘প্যালেস্তাইনের পক্ষে জাতীয় সংহতি দিবস’ পালনের ডাক দিয়ে একথা বলল বামপন্থী পাঁচ দল। সিপিআই(এম)। সিপিআই, সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি’র সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে এম এ বেবি, ডি রাজা, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, জি দেবরাজন এবং মনোজ ভট্টাচার্য যৌথ বিবৃতিতে এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। 
বামপন্থী দলগুলির আহ্বান: গাজায় ইজরায়েল সরকারের গণহত্যা এবং যুদ্ধ অপরাধের নিন্দা করতে হবে। স্বাধীন প্যালেস্তাইনের স্বীকৃতির দাবিতে লড়াইকে সংহতি জানাতে হবে। ভারত সরকার নীতিগত অবস্থান নিয়ে প্যালেস্তাইনের জনতার পক্ষে দাঁড়াতে হবে। ইজরায়েলের সঙ্গে সবরকম সামরিক এবং সুরক্ষা সহযোগিতা বন্ধ করতে হবে। 
দিল্লিতে মূল কর্মসূচি হবে যন্তর মন্তরে, বেলা এগারোটায়। 
বামপন্থী দলগুলি মোদী সরকারকে মনে করিয়েছে যে উপনিবেশবাদ বিরোধী সংগ্রামের ঐতিহ্য এবং জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে সমর্থনের ঐতিহাসিক অবস্থানের কারণে প্যালেস্তাইনের পক্ষে বরাবর থেকেছে ভারত। নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিদেশনীতি সেই অবস্থান থেকে সরে গিয়েছে। 
প্যালেস্তাইনের একের পর এক বসতিই কেবল গুঁড়িয়ে দিচ্ছে না ইজরায়েলের সেনা। ধ্বংস করেছে হাসপাতাল, স্কুল। অবরোধ করে রেখেছে ত্রাণ বন্টন। গত সপ্তাহে ত্রাণের জন্য মরিয়া জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে গাজার রাফায়। ঘরবাড়ি খুইয়ে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া শিশু নারী বৃদ্ধবৃদ্ধাদের ওপর ফেলেছে বোমা। 
বিশ্বজুড়েই ইজরায়েল প্রশ্নের মুখে পড়ছে। জনমতের চাপে ব্রিটেন, সেদেশে, ইজরায়েলের একাধিক মন্ত্রীর যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মঙ্গলবার পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এবং সঙ্গী আরও তিন ত্রাণকর্মীকে নিজের নিজের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। তার আগে আন্তর্জাতিক ত্রাণ উদ্যোগে পাঠানো জলযান আটকেছে ইজরায়েলের সেনা। স্পেন ইজরায়েলের দূতাবাসের প্রতিনিধিদের ডেকে কড়া আপত্তি জানিয়েছে। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে প্রস্তাব আটকেছে আমেরিকা। কিন্তু নিরাপ্তা পরিষদে বাকি কোনও দেশ আমেরিকা-ইজরায়েল জোটের পক্ষে দাঁড়ায়নি। এই পরিস্থিতিতেও মোদী সরকারের মুখে ইজরায়েলের সেনা আগ্রাসনের নিন্দা শোনা যাচ্ছে না।

Comments :0

Login to leave a comment